শ্রীরামপুর, 22 ডিসেম্বর: চুল্লি খারাপ দুটি শ্মশানেরই ৷ ফলত, কোভিড মৃতদেহ রাখার অভাব দেখা গিয়েছে মর্গে ৷ কোভিডে মারা গেলে সমস্যা পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকেই । এমনই ঘটনা ঘটেছে শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতালের মর্গে।
বর্তমানে মর্গে মৃতদেহ রাখার জায়গা আছে বারোটি ৷ কিন্তু এই মুহূর্তে মৃতদেহ পড়ে রয়েছে সতেরোটি ৷ বাড়তি মৃতদেহ রাখার অভাবেই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। অন্যদিকে, হুগলি জেলার শ্রীরামপুর শ্রমজীবী কোভিড হাসপাতাল ও ডানকুনির সেভেন রেঞ্জার্স কোভিড হাসপাতালের নিজস্ব কোনও মর্গ নেই। মৃতদেহ রাখা হয় শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতালের মর্গে ৷ চন্দননগর এবং ভদ্রেশ্বর শ্মশানে দাহ করা হয় সেইসব মৃতদেহ। বর্তমানে দুটি শ্মশানেরই বৈদ্যুতিন চুল্লি খারাপ থাকায় মৃতদেহ দাহ করা যাচ্ছে না।
শ্রমজীবী হাসপাতালের পরিচালনার দায়িত্বে থাকা গৌতম সরকার বলেন, প্রথম থেকেই ওয়ালস হাসপাতালে কোভিড মৃতদেহ পাঠানো হয় গাড়ির মাধ্যমে৷ কিন্তু আজ জানানো হয় হাসপাতালের মর্গ এখন ভরতি ৷ মৃতদেহ রাখা যাবে না । গতকালের সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী, কোভিড মৃতদেহ তুলে দেওয়া হবে পরিবারের হাতে । তবে এতেও দেখা গিয়েছে সমস্যা ৷ মৃতদেহ নিয়ে কোথায় যাবেন, কোথায় দাহ করবেন এসব বিষয়েই মৃতের পরিবারের মনে থেকে যাচ্ছে দ্বন্দ্ব ৷ কোভিড মৃতদেহের জন্য নির্দিষ্ট হাসপাতালই করা উচিত । এমনটাই মনে করছেন মৃতের পরিবারের একাংশ ৷ রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান প্রবীর ঘোষাল বলেন, দুটি শ্মশানের বৈদ্যুতিন চুল্লি খারাপের কারনেই সমস্যা হচ্ছে । প্রশাসনিক ভাবে কথা চলছে ৷ আশা করা যায় খুব দ্রত সমস্যার সমাধান হবে ৷
আরও পড়ুন: বাংলায় টুইট মোদির, নেতাজি স্মরণে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন