ETV Bharat / state

মৌ পালকরা না আসায় পরাগ মিলনে ঘাটতি, ফলন কমেছে তরমুজের

ধনেখালি ব্লকে গরমের মরশুমে প্রায় দুশো একর জমিতে তরমুজ চাষ হয়ে থাকে। আলু ওঠার পরই অনেকেই তিলের চাষ করেন।বেশ কয়েক বছর ধরে বিকল্প চাষ হিসাবে তরমুজ চাষ করছেন বহু চাষি। অন্য দিকে লকডাউনের জেরে কীটনাশক পেতেও অসুবিধা হচ্ছে।

watermelon
ফলন কমেছে তরমুজের
author img

By

Published : Apr 22, 2020, 5:00 PM IST

হুগলি, 22 এপ্রিল : লকডাউনের জেরে ভিন জেলা থেকে মৌ পালকরা না আসায় ফলন কমেছে তরমুজের ।এবার চাষের খরচও উঠবে না বলে দাবি, ধনিয়াখালির তরমুজ চাষিদের।তরমুজ চাষের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করে মৌমাছি।তরমুজের ফুল ফোটার পর সেই ফুলের মেয়াদ দশ থেকে বারো ঘণ্টা।এই সময়ের মধ্যে পরাগ সংযোগ না ঘটালে পরাগ মিলনের ক্ষমতা হারায় সেই ফুল।আম তিল সহ বিভিন্ন ফুলের মধু সংগ্রহ করতে দুই 24 পরগনা সহ নদিয়া,মুর্শিদাবাদ থেকে হুগলির বিভিন্ন জায়গায় এই সময় মৌমাছি নিয়ে আসেন মৌ পালকরা।

হুগলির ধনিয়াখালিতে প্রচুর তিল চাষ হয়।সেই তিলের মধু সংগ্রহে বাক্স নিয়ে হাজির হন মৌ-পালকরা।মৌমাছি থাকায় তরমুজ চাষে উৎসাহী হন ধনিয়াখালির চাষিরা।তবে এবারে লকডাউনের জেরে মৌ পালকরা না আসায় ব্যাপক প্রভাব পড়েছে তরমুজ চাষে।যেখানে বিঘা প্রতি ফলন হত তিন কুইন্টালের উপর, সেখানে এবারে ফলন প্রায় অর্ধেক।


ধনেখালি ব্লকে গরমের মরশুমে প্রায় দুশো একর জমিতে তরমুজ চাষ হয়ে থাকে।আলু ওঠার পরই অনেকেই তিলের চাষ করেন।বেশ কয়েক বছর ধরে বিকল্প চাষ হিসাবে তরমুজ চাষ করছেন বহু চাষি। অন্য দিকে লকডাউনের জেরে কীটনাশক পেতেও অসুবিধা হচ্ছে।জমিতে কীটনাশক না দেওয়ার ফলে তরমুজে বেড়েছে পোঁকার উপদ্রপ।ফলনে প্রভাব পড়েছে তারও।কৃষি গবেষকরাও বলছেন, চাষিদের দাবি অমূলক নয়।যেকোনও ফুল থেকে ফল তৈরি হতে পরাগ মিলন জরুরি।

তরমুজের ক্ষেত্রে অনুঘটকের কাজটা করে মৌমাছি না হয় কিট পতঙ্গ।যেহেতু ধনিয়াখালিতে মৌ পালকরা আসেন, তাঁদের মৌমাছি মধু সংগ্রহ করতে নেমে পরাগ সংযোগ ঘটায়, আর তাতেই ভালো ফলন পান চাষিরা। অন্যান্য কিটের থেকে মৌমাছি সেই কাজ ভালো করতে পারে । কারণ তারা ঝাঁকে ঝাঁকে থাকে। এবার মৌ পালকরা না আসায় পরাগ মিলনে ঘাটতি থেকে গেছে তাই ফলন কম।

যেটুকু ফলন হয়েছে তাও বিক্রি হচ্ছে না বলে দাবি চাষিদের।কারণ লকডাউনের জেরে বাইরে যাচ্ছে না তরমুজ।ধনেখালি থেকে বিহার-ওড়িশা-সহ ভিন রাজ্যে রপ্তানি করা হয় তরমুজ।এবারে তাও বন্ধ । ফলে ব্যাপক ক্ষতির মুখে চাষিরা।তরমুজ চাষে বিঘা প্রতি খরচ 10 থেকে 15 হাজার টাকা,সেই টাকাও উঠবে কিনা চিন্তায় ধনিয়াখালির তরমুজ চাষিরা।

কৃষি গবেষক তথা দীনবন্ধু অ্যান্ড্রুজ় কলেজের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর তন্ময় ঘোষ বলেন, চাষিরা যে যুক্তি দেখিয়েছেন তা বিজ্ঞানসম্মত। কারণ মৌমাছি পায়ের মাধ্যমে তরমুজ ফুলের পরাগ সংযোগ ঘটায় আর তার পর তরমুজ ফল উৎপাদন হয়।তিনি আরও বলেন ,তরমুজ ফুল ফোটার পর 12 ঘণ্টার মধ্যে পরাগ সংযোগ না হলে ফুল নষ্ট হয়ে যায় এবং স্বাভাবিক ভাবেই ফলন কম হয়।যে সব চাষি তরমুজ চাষ করেন, তাঁরা মৌমাছিও পালন করতে পারেন । এরফলে একদিকে তরমুজের উৎপাদন বাড়বে অন্যদিকে মৌমাছি পালনের মাধ্যমে মধু সংগ্রহ করে আয়ও করতে পারবেন।


হুগলি, 22 এপ্রিল : লকডাউনের জেরে ভিন জেলা থেকে মৌ পালকরা না আসায় ফলন কমেছে তরমুজের ।এবার চাষের খরচও উঠবে না বলে দাবি, ধনিয়াখালির তরমুজ চাষিদের।তরমুজ চাষের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করে মৌমাছি।তরমুজের ফুল ফোটার পর সেই ফুলের মেয়াদ দশ থেকে বারো ঘণ্টা।এই সময়ের মধ্যে পরাগ সংযোগ না ঘটালে পরাগ মিলনের ক্ষমতা হারায় সেই ফুল।আম তিল সহ বিভিন্ন ফুলের মধু সংগ্রহ করতে দুই 24 পরগনা সহ নদিয়া,মুর্শিদাবাদ থেকে হুগলির বিভিন্ন জায়গায় এই সময় মৌমাছি নিয়ে আসেন মৌ পালকরা।

হুগলির ধনিয়াখালিতে প্রচুর তিল চাষ হয়।সেই তিলের মধু সংগ্রহে বাক্স নিয়ে হাজির হন মৌ-পালকরা।মৌমাছি থাকায় তরমুজ চাষে উৎসাহী হন ধনিয়াখালির চাষিরা।তবে এবারে লকডাউনের জেরে মৌ পালকরা না আসায় ব্যাপক প্রভাব পড়েছে তরমুজ চাষে।যেখানে বিঘা প্রতি ফলন হত তিন কুইন্টালের উপর, সেখানে এবারে ফলন প্রায় অর্ধেক।


ধনেখালি ব্লকে গরমের মরশুমে প্রায় দুশো একর জমিতে তরমুজ চাষ হয়ে থাকে।আলু ওঠার পরই অনেকেই তিলের চাষ করেন।বেশ কয়েক বছর ধরে বিকল্প চাষ হিসাবে তরমুজ চাষ করছেন বহু চাষি। অন্য দিকে লকডাউনের জেরে কীটনাশক পেতেও অসুবিধা হচ্ছে।জমিতে কীটনাশক না দেওয়ার ফলে তরমুজে বেড়েছে পোঁকার উপদ্রপ।ফলনে প্রভাব পড়েছে তারও।কৃষি গবেষকরাও বলছেন, চাষিদের দাবি অমূলক নয়।যেকোনও ফুল থেকে ফল তৈরি হতে পরাগ মিলন জরুরি।

তরমুজের ক্ষেত্রে অনুঘটকের কাজটা করে মৌমাছি না হয় কিট পতঙ্গ।যেহেতু ধনিয়াখালিতে মৌ পালকরা আসেন, তাঁদের মৌমাছি মধু সংগ্রহ করতে নেমে পরাগ সংযোগ ঘটায়, আর তাতেই ভালো ফলন পান চাষিরা। অন্যান্য কিটের থেকে মৌমাছি সেই কাজ ভালো করতে পারে । কারণ তারা ঝাঁকে ঝাঁকে থাকে। এবার মৌ পালকরা না আসায় পরাগ মিলনে ঘাটতি থেকে গেছে তাই ফলন কম।

যেটুকু ফলন হয়েছে তাও বিক্রি হচ্ছে না বলে দাবি চাষিদের।কারণ লকডাউনের জেরে বাইরে যাচ্ছে না তরমুজ।ধনেখালি থেকে বিহার-ওড়িশা-সহ ভিন রাজ্যে রপ্তানি করা হয় তরমুজ।এবারে তাও বন্ধ । ফলে ব্যাপক ক্ষতির মুখে চাষিরা।তরমুজ চাষে বিঘা প্রতি খরচ 10 থেকে 15 হাজার টাকা,সেই টাকাও উঠবে কিনা চিন্তায় ধনিয়াখালির তরমুজ চাষিরা।

কৃষি গবেষক তথা দীনবন্ধু অ্যান্ড্রুজ় কলেজের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর তন্ময় ঘোষ বলেন, চাষিরা যে যুক্তি দেখিয়েছেন তা বিজ্ঞানসম্মত। কারণ মৌমাছি পায়ের মাধ্যমে তরমুজ ফুলের পরাগ সংযোগ ঘটায় আর তার পর তরমুজ ফল উৎপাদন হয়।তিনি আরও বলেন ,তরমুজ ফুল ফোটার পর 12 ঘণ্টার মধ্যে পরাগ সংযোগ না হলে ফুল নষ্ট হয়ে যায় এবং স্বাভাবিক ভাবেই ফলন কম হয়।যে সব চাষি তরমুজ চাষ করেন, তাঁরা মৌমাছিও পালন করতে পারেন । এরফলে একদিকে তরমুজের উৎপাদন বাড়বে অন্যদিকে মৌমাছি পালনের মাধ্যমে মধু সংগ্রহ করে আয়ও করতে পারবেন।


ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.