চন্দননগর, 30 জানুয়ারি: "সরকারে থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা করে যাচ্ছেন, আগামী চার-চারটে সরকার লেগে যাবে সেটাকে শোধরাতে ।" চন্দননগরে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে এই ভাষাতেই রাজ্য সরকারকে একহাত নিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh at Chandannagar) ৷ চাঁছাছোলা ভাষায় আক্রমণ করে তিনি বলেছেন, "বাংলায় কোনও নিরাপত্তা নেই, আর মুখ্যমন্ত্রী প্রমোশন চাইছে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য ।"
রবিবার প্রাতঃভ্রমণে গিয়ে চন্দননগর পৌরনিগম ভোটের প্রচার (Chandannagar Municipal Corporation Election 2022) সারলেন দিলীপ ঘোষ ৷ জ্যোতির মোড়ে চা পান করেন । তাঁর দাবি, "চন্দননগর পৌরনিগমের মানুষজন তৃণমূলকে ক্ষমতায় এনেছিল । কিন্তু নিজেদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণে আড়াই বছরও বোর্ড চলল না । এই তো তৃণমূলের যোগ্যতা । কাটমানি আর সিন্ডিকেটের মারামারিতে মানুষের প্রাণ যাচ্ছে । আর পৌরসভার বোর্ড ভেঙে দিয়ে মানুষের অধিকারকে অসম্মান করা হচ্ছে । আমরা মনে করছি চন্দননগরের মানুষ এবার যোগ্য জবাব দেবে ।"
রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে বলে অভিযোগ করেন বিজেপি নেতা ৷ বলেন, "বাংলায় মহিলাদের কোনও নিরাপত্তা নেই । গাড়িতে শ্লীলতাহানি করা হচ্ছে । এই পরিস্থিতির মধ্যে কোথায় যাব আমরা । মানুষ ক্ষেপে আছে বলে ভোট করছে না পৌরনিগমের বোর্ডগুলি । মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারকে কেড়ে নিয়ে জোর করে সরকার চালানোর চেষ্টা চলছে । ওপারে তো বোমা ফাটলেই অর্জুন সিংয়ের নাম হয় । বিজেপিকে আটকানোর ও অর্জুন সিংকে শেষ করার চেষ্টা চলছে । শুভেন্দুর ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে । বিরোধীশূন্য করে রাজনীতি কেন ?"
আরও পড়ুন: Dilip Ghosh Criticises TMC : সাংসদ কোটার টাকা আটকে সুদ খাচ্ছে সরকার, টুইটারে সরব দিলীপ
ইছাপুরে তৃণমূল নেতা খুন প্রসঙ্গে দিলীপের যুক্তি, "ওখানে গুলি চালানোটা লোকের ফ্যাশন । গঙ্গার ওপারে গুলি বন্দুকের আওয়াজ পাওয়া যায় । সেটা এখন গোটা বাংলায় ছড়িয়ে গিয়েছে । দিদিমণি (Dilip Ghosh attacks Mamata Banerjee) বলেছিলেন শিল্পের কথা । এখন গুলি-বোমা শিল্প তৈরি হয়েছে । এখন সেটা ভারী শিল্পে পরিণত হয়েছে । বস্তা বস্তা বোমা পাওয়া যাচ্ছে । বান্ডিল বান্ডিল বন্দুক পাওয়া যাচ্ছে । বিহার উত্তরপ্রদেশে যারা গুলি বন্দুকের ব্যবসা করত, তারা এখন পশ্চিমবাংলায় চলে এসেছে ।"
শনিবার বিজেপির প্রাক্তন জেলা সভাপতি সুবীর নাগের তৃণমূল সাংসদের সঙ্গে সংবর্ধনা নেওয়া প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা বলেন, কাউকে যদি ডেকে সংবর্ধনা দেন, তিনি নিয়েছেন । সুবীর নাগকে দলে ডাকা হয় না, এটা ঠিক নয় । তিনি একটি জেলার অবজারভার ছিলেন । তিনি নির্বাচনী প্রচারও করেছেন । বিজেপিতে নেতারা ক্ষোভ-বিক্ষোভ দেখাতে পারেন । তাঁরা যেটা চেয়েছিলেন, হয়তো সেটা পাননি । দল সবাইকে সমান নজরেই দেখে । ব্যক্তিগত এজেন্ডা পার্টিতে চলবে না ।
আরও পড়ুন : Dilip Criticises TMC : রাজ্যসভার লোভ দেখিয়ে দল চালানো যায় না, তৃণমূলকে কটাক্ষ দিলীপের
মতুয়া বিতর্কে দিলীপ বলেন, মতুয়া ভোটব্যাঙ্ক বিজেপির সঙ্গে আছে । আদিবাসীরাও বিজেপির সঙ্গেই আছে । ভারতীয় জনতা পার্টি সবাইকে সঙ্গে নিয়ে চলে । নেতাদের ব্যক্তিগত সমস্যা নিয়ে তাঁরা বলেছেন। সেটা দলের কোনও সমস্যা নয় ।