শ্রীরামপুর, 5 অগাস্ট : বিকল্প চাষের কথা বলছে সরকার ৷ সেই মতো স্ট্রবেরি, ড্রাগনের চাষ করছেন হুগলি জেলার একদল চাষি ৷ যদিও বাজার ভাল না ৷ চাষিদের আবেদন, যাতে করে ড্রাগন, স্ট্রবেরির মতো ফল বাজারজাত করা যায়, সঠিক দাম পাওয়া যায় তার ব্যবস্থা করুক সরকার ।
1 বিঘা জমিতে ড্রাগন চাষে খরচ 2 লক্ষ টাকা ৷ বাজারে ড্রাগনের দাম কেজি প্রতি 300-400 টাকা ৷ হুগলির পাণ্ডুয়া, বলাগড়, শ্রীরামপুরে চাষ হচ্ছে ড্রাগনের ৷ সরকারিভাবে চেষ্টা চালানো হচ্ছে যাতে করে বিদেশে ড্রাগন ও স্ট্রবেরি রপ্তানি করা যায় । ইতিমধ্যে বরবটি ও লাফার মতো সবজি আরব ও ইতালিতে রপ্তানি করা হচ্ছে । কিন্তু সমস্যা হল এই ফল দেশের বড় অংশের মানুষের কাছে এখনও অপরিচিত ৷ বলছেন চাষিরা ৷
পাণ্ডুয়ার এক চাষি অপূর্ব সরকার তিন বিঘা জমিতে ড্রাগন চাষ করেছেন । ভাল ড্রাগন উৎপাদন হলেও বাজার পাচ্ছেন না । অপূর্ববাবু বলেন, "ধান বা আলুর যা বাজার তাতে চাষিরা দেনাগ্রস্থ হচ্ছেন । তাই উদ্যোগ নিয়েছি ড্রাগন এবং স্ট্রবেরি চাষের । দু'বছর ধরে করোনার কারণে ড্রাগনের বাজার পাচ্ছি না । কলকাতায় যেতে পারছি না । শহর ও শহরতলির লোকেরাই এই ফল খান । গ্রামের মানুষ এই ফলের উপকারিতা সম্পর্কে অবগত নন ।"
মগড়ার চাষি মানবেন্দ্র ঘোষ বলেন, "20 দিন অন্তর ড্রাগনের ফল হয় । জৈব সারে খুব কম খরচে চাষ সম্ভব । তবে ড্রাগন ফলের পরিচিতি মানুষের মধ্যে খুবই কম । অর্থকরী ফসল হলেও বাজারে দাম পাওয়া কঠিন হচ্ছে । সরকারি সহযোগিতা পেলে চাষ বাড়তে পারব ।"
আরও পড়ুন: রাসায়নিক মিশ্রিত জলে ফসল নষ্ট, চাষিদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু
এই বিষয়ে হুগলি জেলা কৃষি বিপণন দফতরের সচিব শেখ ফিরদোসুর রহমান বলেন, "ড্রাগনের বিক্রি কম । মূল কারণ খেতে অভ্যস্ত নই আমরা । তার জন্যই বাজারজাত করতে অসুবিধা হচ্ছে । তবে সুফল বাংলা প্রকল্পের মাধ্যমে যাতে বিক্রি করা যায় সেই চেষ্টা করব । আগামী দিনে এর প্রচার বাড়লে কিষান মান্ডিতে বিক্রি করার ব্যবস্থা হয়ে যাবে ।"