চুঁচুড়া, 27 জানুয়ারি : খুনের পর গণধর্ষণ ৷ বলাগড়ে দোষী সাব্যস্ত দুই অপরাধীকে ফাঁসির আদেশ দিল চুঁচুড়া জেলা আদালত ৷ অন্য এক অভিযুক্তের বয়স 18 বছরের কম হওয়ায় তার বিচার চলছে জুভেনাইল আদালতে ৷ 22 জানুয়ারি ওই দুই যুবককে দোষী বলে ঘোষণা করেছিল চুঁচুড়া জেলা আদালত ৷
কিশোরীকে অপহরণ করে প্রথমে খুন ও পরে মৃতদেহের সঙ্গে গণধর্ষণ করে মাটিতে পুঁতে ফেলা হয়েছিল ৷ ঘটনাটি 2014 সালের 12 ডিসেম্বরের ৷ টিউশন পড়ে সাইকেলে চেপে গৃহশিক্ষিকার বাড়ি থেকে ফিরছিল কিশোরী । সেই সময়, তাকে অপরহরণ করে গৌরব মণ্ডল ওরফে শানু, কৌশিক মালিক ও স্বরূপ মজুমদার । জোর করে কিশোরীকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে । ভয়ে চিৎকার করতে থাকে কিশোরী । অবস্থা বেগতিক বুঝে তাকে জোর করে খানিক দূরে এক ইটভাটার পিছনে টেনে নিয়ে যায় তিনজন । পরে শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলে । এদিকে খোঁজ শুরু হয় কিশোরীর বাড়ির তরফে । মোবাইলে একাধিকবার ফোন করেও পাওয়া যায়নি মেয়েকে । পরে সেই ফোন থেকেই কিশোরীর বাবার কাছে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে শানুরা । এখানেই শেষ নয় । মৃতদেহের সঙ্গে ধর্ষণ করে তারা । যাবতীয় প্রমাণ ধুয়ে মুছে সাফ করতে সেই রাতেই মৃতদেহটি একটি বস্তায় ভরে গঙ্গার ধারে পুঁতে ফেলে ।
পরদিন বলাগড় থানায় অভিযোগ দায়ের করেন কিশোরীর বাবা । তদন্তে নেমে সেদিনই তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ । গঙ্গার পার থেকে উদ্ধার হয় মৃতদেহ । ময়নাতদন্তে জানা যায়, শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় কিশোরীকে । খুনের পর মৃতদেহের সঙ্গে ধর্ষণ করা হয় । ধৃতদের বিরুদ্ধে 363,364/A,376(2),302,201,34 ও 6 POCSO ধারায় মামলা দায়ের হয় । এরপর 22 জানুয়ারি চুঁচুড়া আদালতের অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট সেশন জাজ (সেকেন্ড কোর্ট) মানসরঞ্জন সান্যাল গৌরব মণ্ডল ও কৌশিক মালিককে দোষী সাব্যস্ত করেন । অপরাধের সময় স্বরূপ মজুমদারের বয়স 18 বছরের নিচে ছিল, তাই জুভেনাইল আদালতে তার বিচার চলছে ।