ETV Bharat / state

খুনের পর গণধর্ষণ, বলাগড়ের ঘটনায় 2 অপরাধীর ফাঁসির আদেশ

বলাগড়ে খুনের পর গণধর্ষণের ঘটনায় গৌরব মণ্ডল ও কৌশিক মালিককে ফাঁসি আদেশ দিল চুঁচুড়া জেলা আদালত ৷ 22 জানুয়ারি চুঁচুড়া আদালতের অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট সেশন জাজ (সেকেন্ড কোর্ট) মানসরঞ্জন সান্যাল গৌরব মণ্ডল ও কৌশিক মালিককে দোষী সাব্যস্ত করেন ।

Balagarh rape
ফাইল ছবি
author img

By

Published : Jan 27, 2020, 3:07 PM IST

Updated : Jan 29, 2020, 9:43 AM IST

চুঁচুড়া, 27 জানুয়ারি : খুনের পর গণধর্ষণ ৷ বলাগড়ে দোষী সাব্যস্ত দুই অপরাধীকে ফাঁসির আদেশ দিল চুঁচুড়া জেলা আদালত ৷ অন্য এক অভিযুক্তের বয়স 18 বছরের কম হওয়ায় তার বিচার চলছে জুভেনাইল আদালতে ৷ 22 জানুয়ারি ওই দুই যুবককে দোষী বলে ঘোষণা করেছিল চুঁচুড়া জেলা আদালত ৷

কিশোরীকে অপহরণ করে প্রথমে খুন ও পরে মৃতদেহের সঙ্গে গণধর্ষণ করে মাটিতে পুঁতে ফেলা হয়েছিল ৷ ঘটনাটি 2014 সালের 12 ডিসেম্বরের ৷ টিউশন পড়ে সাইকেলে চেপে গৃহশিক্ষিকার বাড়ি থেকে ফিরছিল কিশোরী । সেই সময়, তাকে অপরহরণ করে গৌরব মণ্ডল ওরফে শানু, কৌশিক মালিক ও স্বরূপ মজুমদার । জোর করে কিশোরীকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে । ভয়ে চিৎকার করতে থাকে কিশোরী । অবস্থা বেগতিক বুঝে তাকে জোর করে খানিক দূরে এক ইটভাটার পিছনে টেনে নিয়ে যায় তিনজন । পরে শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলে । এদিকে খোঁজ শুরু হয় কিশোরীর বাড়ির তরফে । মোবাইলে একাধিকবার ফোন করেও পাওয়া যায়নি মেয়েকে । পরে সেই ফোন থেকেই কিশোরীর বাবার কাছে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে শানুরা । এখানেই শেষ নয় । মৃতদেহের সঙ্গে ধর্ষণ করে তারা । যাবতীয় প্রমাণ ধুয়ে মুছে সাফ করতে সেই রাতেই মৃতদেহটি একটি বস্তায় ভরে গঙ্গার ধারে পুঁতে ফেলে ।

পরদিন বলাগড় থানায় অভিযোগ দায়ের করেন কিশোরীর বাবা । তদন্তে নেমে সেদিনই তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ । গঙ্গার পার থেকে উদ্ধার হয় মৃতদেহ । ময়নাতদন্তে জানা যায়, শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় কিশোরীকে । খুনের পর মৃতদেহের সঙ্গে ধর্ষণ করা হয় । ধৃতদের বিরুদ্ধে 363,364/A,376(2),302,201,34 ও 6 POCSO ধারায় মামলা দায়ের হয় । এরপর 22 জানুয়ারি চুঁচুড়া আদালতের অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট সেশন জাজ (সেকেন্ড কোর্ট) মানসরঞ্জন সান্যাল গৌরব মণ্ডল ও কৌশিক মালিককে দোষী সাব্যস্ত করেন । অপরাধের সময় স্বরূপ মজুমদারের বয়স 18 বছরের নিচে ছিল, তাই জুভেনাইল আদালতে তার বিচার চলছে ।

চুঁচুড়া, 27 জানুয়ারি : খুনের পর গণধর্ষণ ৷ বলাগড়ে দোষী সাব্যস্ত দুই অপরাধীকে ফাঁসির আদেশ দিল চুঁচুড়া জেলা আদালত ৷ অন্য এক অভিযুক্তের বয়স 18 বছরের কম হওয়ায় তার বিচার চলছে জুভেনাইল আদালতে ৷ 22 জানুয়ারি ওই দুই যুবককে দোষী বলে ঘোষণা করেছিল চুঁচুড়া জেলা আদালত ৷

কিশোরীকে অপহরণ করে প্রথমে খুন ও পরে মৃতদেহের সঙ্গে গণধর্ষণ করে মাটিতে পুঁতে ফেলা হয়েছিল ৷ ঘটনাটি 2014 সালের 12 ডিসেম্বরের ৷ টিউশন পড়ে সাইকেলে চেপে গৃহশিক্ষিকার বাড়ি থেকে ফিরছিল কিশোরী । সেই সময়, তাকে অপরহরণ করে গৌরব মণ্ডল ওরফে শানু, কৌশিক মালিক ও স্বরূপ মজুমদার । জোর করে কিশোরীকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে । ভয়ে চিৎকার করতে থাকে কিশোরী । অবস্থা বেগতিক বুঝে তাকে জোর করে খানিক দূরে এক ইটভাটার পিছনে টেনে নিয়ে যায় তিনজন । পরে শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলে । এদিকে খোঁজ শুরু হয় কিশোরীর বাড়ির তরফে । মোবাইলে একাধিকবার ফোন করেও পাওয়া যায়নি মেয়েকে । পরে সেই ফোন থেকেই কিশোরীর বাবার কাছে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে শানুরা । এখানেই শেষ নয় । মৃতদেহের সঙ্গে ধর্ষণ করে তারা । যাবতীয় প্রমাণ ধুয়ে মুছে সাফ করতে সেই রাতেই মৃতদেহটি একটি বস্তায় ভরে গঙ্গার ধারে পুঁতে ফেলে ।

পরদিন বলাগড় থানায় অভিযোগ দায়ের করেন কিশোরীর বাবা । তদন্তে নেমে সেদিনই তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ । গঙ্গার পার থেকে উদ্ধার হয় মৃতদেহ । ময়নাতদন্তে জানা যায়, শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় কিশোরীকে । খুনের পর মৃতদেহের সঙ্গে ধর্ষণ করা হয় । ধৃতদের বিরুদ্ধে 363,364/A,376(2),302,201,34 ও 6 POCSO ধারায় মামলা দায়ের হয় । এরপর 22 জানুয়ারি চুঁচুড়া আদালতের অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট সেশন জাজ (সেকেন্ড কোর্ট) মানসরঞ্জন সান্যাল গৌরব মণ্ডল ও কৌশিক মালিককে দোষী সাব্যস্ত করেন । অপরাধের সময় স্বরূপ মজুমদারের বয়স 18 বছরের নিচে ছিল, তাই জুভেনাইল আদালতে তার বিচার চলছে ।

Intro:একটি ছাত্র ,একটি শিক্ষক নিয়েই পড়াশোনা চলছে পোলবার একটি স্কুলে।তাও মাঝে মধ্যেই তালা বন্ধ থাকে এই স্কুলটি।স্থায়ী শিক্ষকের অভাবে বন্ধ হতে বসেছে ভোয়া গাছি জুনিয়ার হাই স্কুলটি।সর্বশিক্ষা মিশনের আর্থিক অনুদানে লক্ষাধিক টাকা খরচ করে তৈরি হয়েছিল স্কুল ব্রিলিং শৌচালয়।2015 সালে 27 জন ছাত্র ও 2 জন অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক দিয়ে শুরু হয় এই স্কুল।স্কুলে স্থায়ী শিক্ষক নিয়োগ না হওয়ায় অন্য দূরে স্কুলে চলে যায় ছাত্ররা।পঞ্চম শ্রেণী থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত ছাত্র ছাত্রী পড়াশোনা করত।কিন্তু পাশেই গ্রামের ভোয়া গাছি নিন্ম বুনিয়াদি স্কুলে শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী পড়ে।প্রাথমিক পেড়িয়ে দূরে না গিয়ে গ্রামের শিক্ষার্থীরা যাতে গ্রামের স্কুলেই পড়তে পাড়ে সেই উদ্যেশ্যে তৈরী করা হয়েছিল ভোয়াগাছি জুনিয়ার হাই স্কুল।প্রথম বছর যারা ফোর পাশ করে ফাইভে ওঠে তারা ভর্তি হয়।কিন্তু ভালো শিক্ষক না থাকায় পরের বছর সব অন্য স্কুলে চলে যায়।এবছর একজন ছাত্র পরে তাও প্রতিবন্ধী।রোজ দিন স্কুলে আসে না সে।স্থানীয় গ্রামবাসীরা বলেন যে উদ্যেশ্য নিয়ে স্কুল চালু হয়েছিলো তা ব্যার্থ হয়েছে।ভোয়াগাছি প্রাথমিক স্কুলে প্রধান শিক্ষকের মতে স্থায়ী শিক্ষক না থাকার পাশাপাশি মাধ্যমিক স্কুল না হওয়ায় অভিভাবকরা ছেলেমেয়েদের স্কুলে ভর্তি করতে চান না।দূর হলেও আকনা,সোনাটিকরি অথবা পোলবা হাই স্কুলে পাঠিয়ে দেন।ভোয়াগাছির মত রাজহাট গ্রাম পঞ্চায়েতেরই নলবোনা,কোরলাতে জুনিয়ার হাই স্কুল তৈরী হলেও তা চালু হয়নি।
হুগলি জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ গোপাল রায় বলেন মাননীয় শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জী আগেই বলেছেন যে সমস্ত স্কুলে এই রকম অবস্থা তা পরিদর্শন করা।প্রশাসনের তরফে আমরা চেষ্টা করছি যাতে উপযুক্ত ব্যবস্থা করা।এছাড়া স্থানীয় গ্রামবাসীকে অনুরোধ করব তারাও যাতে ঐ স্কুলে ছাত্র ছাত্রীদের ভর্তি করেন।Body:WB_HGL_02_POLBA SCHOOL PROBLEM_7203418Conclusion:
Last Updated : Jan 29, 2020, 9:43 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.