শ্রীরামপুর, 2 ফেব্রুয়ারি: কারখানায় সিলিন্ডার ফেটে মৃত্যু হল দুই শ্রমিকের (Two Workers Dies) ৷ আহত হয়েছেন কমপক্ষে পাঁচজন । ঘটনাটি ঘটেছে শ্রীরামপুরের পিয়ারাপুরে দিল্লি রোডের ধারের স্টিল কারখানায় ৷ মৃতরা হলেন গুয়েরাম দলুই(48), বাড়ি পিয়ারাপুরে এবং পঙ্কজ দাসের (20) বাড়ি বেলু এলাকায় । আহতদের মধ্যে দু'জনকে শ্রীরামপুরের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে (Cylinder Blast in factory at Serampore) ।
জানা গিয়েছে, প্রায় 900 শ্রমিক কাজ করে গণেশ স্টিল কারখানায় ৷ ওই কারখানায় শ্রমিকরা এদিন গ্যাস কাটিংয়ের কাজ করছিলেন । সেই সময় হঠাৎ সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণে কয়েকজন আহত হন ৷ ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় একজনের ৷ হাসপাতালে নিয়ে গেলে আরও একজনের মৃত্যু হয় । শ্রমিক অসন্তোষ ও উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হয়। শ্রমিকরা অফিস ঘরে ভাঙচুর চালায় । পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে আসে শ্রীরামপুর থানার পুলিশ । খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান চাঁপদানির বিধায়ক অরিন্দম গুইঁ ।
কারখানার এক শ্রমিক বলেন, "লোহা নিয়ে এসে গ্যাস কাটিংয়ের কাজ চলছিল ৷ সেই সময় হঠাৎই বিকট একটা শব্দ শুনে ছুটে এসে দেখি দুজন মেঝের মধ্যে পড়ে রয়েছেন । কারুর হাত দিয়ে রক্ত ঝরছে ৷ আবার কারুর পা দিয়ে রক্ত ঝরছে । কারুর আবার হাত-পা উড়ে গিয়েছে । মনে হচ্ছে বারুদের সেল ছিল । দুর্ঘটনার পর সেটি পাশেই পড়েছিল । আমরা চাই মৃতের পরিবারকে সাহায্য দিতে হবে ।" অপর শ্রমিক বুলু দাস জানান, মাঝেমধ্যেই এখানে দুর্ঘটনা ঘটে । মৃতদের মধ্যে তাঁর ভাইপো রয়েছেন । যে জায়গায় বিস্ফোরণ হয়েছে তার পাশের ঘরেই তিনি কাজ করছিলেন ৷ হঠাৎই বিকট একটা শব্দ শোনা যায় । বারুদের একটি সেল হঠাৎই ফেটে যায় ।
কারখানার কর্তৃপক্ষের তরফে দুলাল রায় বলেন, "আমাদের এখানে লোহার স্ক্র্যাপের কাজ হয় । কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে ৷ শ্রমিকদের পরিবারগুলিকে সাহায্য করা হবে । আমি এখনও পর্যন্ত ঘটনাস্থলে যাইনি ৷ কীভাবে হয়েছে সেটা বলতে পারব না। আহতদের হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করেছি ।" বিধায়ক অরিন্দম গুইঁ বলেন, "লোহা কাটাইয়ের কাজ চলছিল । সেখানে একটি বিস্ফোরণ হয় । ঘটনাস্থলেই দু'জনের মৃত্যু হয় । তাঁদের মধ্যে গুরুতর আহত তিনজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে । মনে করা হচ্ছে, ডিফেন্সের কোন জিনিস থেকে হয়েছে বিস্ফোরণ । কতটা সঠিক সেটা দেখতে হবে খতিয়ে । কম পরিশ্রমে শ্রমিকরা কাজ করছে ৷ সেখানে এ ধরনের কাজ করানো হচ্ছে, এটা ঠিক নয় । সাহায্য দিতে হবে তাদেরকে । এলাকার যে সমস্ত কারখানাগুলো রয়েছে তাদের কাগজপত্র ঠিক আছে কি না, সেটা দেখা দরকার ।"
আরও পড়ুন: হরিয়ানায় গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে মৃত একই পরিবারের ছ'জনই ইসলামপুরের বাসিন্দা