ETV Bharat / state

নির্দেশিকাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে স্কুলে বিলি মিড ডে মিলের চাল, আলু

এক জায়গায় সাতজনের বেশি জমায়েত করা চলবে না ৷ এই সরকারি নির্দেশিকাকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে জেলার বিভিন্ন স্কুলে দেখা গেল অভিভাবকদের জমায়েত ৷ মিড ডে মিলের চাল ও আলু নিতে দেখা গেল তাদের ।

স্কুলে জমায়েত
স্কুলে জমায়েত
author img

By

Published : Mar 23, 2020, 8:43 PM IST

চন্দননগর, 23 মার্চ : সরকারি নির্দেশিকা সত্ত্বেও অনেককে একসঙ্গে জড়ো হয়ে হুগলির বিভিন্ন স্কুলে মিড ডে মিলের চাল নিতে দেখা গেল ৷ চন্দননগর বঙ্গ বিদ্যালয় স্কুলের পড়ুয়াদের মাথাপিছু দু'কিলো চাল এবং দু'কিলো আলু দেওয়া হয় । আর সেখানে কোনও সরকারি নিয়মের তোয়াক্কা না করেই একাধিক অভিভাবককে লাইনে দাঁড়িয়ে চাল, আলু নিতে দেখা গেল । যেখানে সাতজনের বেশি একসঙ্গে এক জায়গায় থাকার কথা নয়, সেখানে কীভাবে স্কুলগুলি এভাবে মিড ডে মিল বিলি করল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ৷

আজ জেলার একাধিক স্কুলে সকাল এগারোটা থেকে বিকেল তিনটে পর্যন্ত মিড ডে মিলের চাল ও আলু দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয় ৷ সরস্বতী বারুই নামে এক অভিভাবক বলেন, "স্কুল থেকে আলাদা করে মিড ডে মিলের চাল, আলু দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়নি । একসঙ্গে লাইনে দাঁড়ানো ছাড়া আমাদের কোনও উপায় নেই ।" অনেক জায়গায় অভিভাবকদের পরিবর্তে পড়ুয়ারা চাল নিতে যায় ৷ এই প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে সরস্বতীদেবী বলেন, "শিক্ষকরা বার বার বলে দিয়েছিলেন যাতে পড়ুয়ারা স্কুলে না আসে । তাও এসেছে ৷ কী করা যাবে ?"

Mid day mill distribution
নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে স্কুলে বিলি চাল, আলু
অন্যদিকে চালে পোকা নিয়ে অভিভাবকদের একাংশ ক্ষোভপ্রকাশ করেন । তাঁদের অভিযোগ, স্কুল থেকে যে চাল দেওয়া হচ্ছে, তাতে অসংখ্য পোকা রয়েছে ৷ আর এই চাল খেয়েই অসুস্থ হতে পারে পড়ুয়ারা । মিড ডে মিলের দায়িত্বে থাকা এক শিক্ষক রবীন্দ্রনাথ ঘোষাল বলেন, "দু'দিনের কাজ একদিনে করতে গিয়েই অনেকে এসেছেন এই চাল ও আলু নিতে । সেক্ষেত্রে কযেকজন এক জায়গায় জড়ো হচ্ছেন ঠিকই কিন্তু আমাদের কিছু করার নেই । একরকম বাধ্য হয়েই করতে হচ্ছে ।"
Mid day mill distribution
মিড ডে মিলের চালে পোকা, অভিযোগ অভিভাবকদের
শ্রীরামপুর রমেশ চন্দ্র গার্লস হাই স্কুলের প্রাইমারি সেকশনে আজ সরকারি নিয়ম অনুযায়ী দু'কিলো চাল ও আলু বরাদ্দ করা হয় । কিন্তু অভিভাবকদের অভিযোগ, 300 গ্রাম আলু আর কিছু চাল দিয়ে ছেড়ে দিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ । তাদের বক্তব্য, সময় কম থাকায় পর্যাপ্ত পরিমাণে আলুর জোগান দেওয়া সম্ভব হয়নি ।

চন্দননগর, 23 মার্চ : সরকারি নির্দেশিকা সত্ত্বেও অনেককে একসঙ্গে জড়ো হয়ে হুগলির বিভিন্ন স্কুলে মিড ডে মিলের চাল নিতে দেখা গেল ৷ চন্দননগর বঙ্গ বিদ্যালয় স্কুলের পড়ুয়াদের মাথাপিছু দু'কিলো চাল এবং দু'কিলো আলু দেওয়া হয় । আর সেখানে কোনও সরকারি নিয়মের তোয়াক্কা না করেই একাধিক অভিভাবককে লাইনে দাঁড়িয়ে চাল, আলু নিতে দেখা গেল । যেখানে সাতজনের বেশি একসঙ্গে এক জায়গায় থাকার কথা নয়, সেখানে কীভাবে স্কুলগুলি এভাবে মিড ডে মিল বিলি করল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ৷

আজ জেলার একাধিক স্কুলে সকাল এগারোটা থেকে বিকেল তিনটে পর্যন্ত মিড ডে মিলের চাল ও আলু দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয় ৷ সরস্বতী বারুই নামে এক অভিভাবক বলেন, "স্কুল থেকে আলাদা করে মিড ডে মিলের চাল, আলু দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়নি । একসঙ্গে লাইনে দাঁড়ানো ছাড়া আমাদের কোনও উপায় নেই ।" অনেক জায়গায় অভিভাবকদের পরিবর্তে পড়ুয়ারা চাল নিতে যায় ৷ এই প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে সরস্বতীদেবী বলেন, "শিক্ষকরা বার বার বলে দিয়েছিলেন যাতে পড়ুয়ারা স্কুলে না আসে । তাও এসেছে ৷ কী করা যাবে ?"

Mid day mill distribution
নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে স্কুলে বিলি চাল, আলু
অন্যদিকে চালে পোকা নিয়ে অভিভাবকদের একাংশ ক্ষোভপ্রকাশ করেন । তাঁদের অভিযোগ, স্কুল থেকে যে চাল দেওয়া হচ্ছে, তাতে অসংখ্য পোকা রয়েছে ৷ আর এই চাল খেয়েই অসুস্থ হতে পারে পড়ুয়ারা । মিড ডে মিলের দায়িত্বে থাকা এক শিক্ষক রবীন্দ্রনাথ ঘোষাল বলেন, "দু'দিনের কাজ একদিনে করতে গিয়েই অনেকে এসেছেন এই চাল ও আলু নিতে । সেক্ষেত্রে কযেকজন এক জায়গায় জড়ো হচ্ছেন ঠিকই কিন্তু আমাদের কিছু করার নেই । একরকম বাধ্য হয়েই করতে হচ্ছে ।"
Mid day mill distribution
মিড ডে মিলের চালে পোকা, অভিযোগ অভিভাবকদের
শ্রীরামপুর রমেশ চন্দ্র গার্লস হাই স্কুলের প্রাইমারি সেকশনে আজ সরকারি নিয়ম অনুযায়ী দু'কিলো চাল ও আলু বরাদ্দ করা হয় । কিন্তু অভিভাবকদের অভিযোগ, 300 গ্রাম আলু আর কিছু চাল দিয়ে ছেড়ে দিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ । তাদের বক্তব্য, সময় কম থাকায় পর্যাপ্ত পরিমাণে আলুর জোগান দেওয়া সম্ভব হয়নি ।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.