পাণ্ডুয়া, 2 ডিসেম্বর: সিমলাগড়ে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যের বাইকে আগুন ঘিরে উত্তেজনা। পঞ্চায়েত ভোটের আগে এই ঘটনায় একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ, পালটা অভিযোগ তুলছে শাসক-বিরোধী দুই শিবির (Controversy in Simlagarh)।
বৃহস্পতিবার রাত 11টা নাগাদ দুর্গাপদ গায়েন দেখেন তাঁর বাইককে কে বা কারা আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। জল দিয়ে নেভানোর আগেই তাঁর বাইক পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। তিনি পাণ্ডুয়ার সিমলাগড় ভিটাসিন গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের সদস্য। রাতের অন্ধকারে তাঁর বাইকে আগুন ধরিয়ে দেওয়ায় যথেষ্ট উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হয় ওই এলাকায় (Controversy Rises as TMC Leader Bike Caught Fire)।
অন্যান্য পঞ্চায়েত সদস্যদের দাবি, পঞ্চায়েত ভোটের আগে বিরোধীরা ভয় দেখানোর জন্যই এই কাজ করেছে। সামনেই পঞ্চায়েত ভোট, তাই হয়তো তাকে প্রাণে মেরে ফেলা চেষ্টাও করছে বিরোধীরা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পাণ্ডুয়া থানার পুলিশ (Pandua Police)। যদিও হুগলি জেলা বিজেপি সভাপতি তুষার মজুমদার এ বিষয়ে বলেন, "তৃণমূলের কাজই হচ্ছে বিরোধীদের চক্রান্ত খুঁজে বার করা। বিরোধীরা এই কাজ করেছে বলে মনে হয় না। ওরা নিজেরাই পুড়িয়ে মানুষের সহানুভূতি নিতে চাইছে। যাতে পঞ্চায়েত ভোটের আগে মানুষের চোখে বিরোধীদের খারাপ করা যায়। উনি না দেখে বিরোধীদের দোষারোপ করছেন।"
প্রাক্তন বিধায়ক ও সিপিএম নেতা আমজাদ হোসেন বলেন, "তৃণমূল ও বিজেপি পশ্চিমবাংলায় রাজনীতিতে দুর্বিতায়ন ঘটিয়েছে। আর এই দুর্বৃত্তরাই এই ধরনের কাজ করছে। তৃণমূল, তৃণমূলের কাছে নিরাপদ নয়। রোজই তো ঘটনা ঘটছে পঞ্চায়েতের টিকিট পাওয়া নিয়ে। আসলে নিজেদের ভাগাভাগি নিয়েই এই গণ্ডগোল। সেই কারণেই এই ঘটনা ঘটছে।
আরও পড়ুন: শাসক-বিরোধীর দলিত প্রেম সুপরিকল্পিত ভোট অংক, মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা