হুগলি, 6 এপ্রিল: সরকারি স্কুলে খসে পড়ছে পলেস্তারা, স্কুল বিল্ডিংয়ের চারিদিকে ফাটল। অসংখ্য গাছ গজিয়ে রয়েছে স্কুলের দেওয়ালে। যেকোনও সময় ভেঙে পড়তে পারে স্কুলের ক্লাস রুম। আতঙ্কে রয়েছে ছাত্রছাত্রীরা। এমনই ঘটনা ঘটেছে পাণ্ডুয়ার জামনার ভোঁপুর যজ্ঞেশ্বর বিদ্যাপীঠের (collapse of government school in Bhonpur)। অভিভাবক থেকে শিক্ষক সকলেরই অভিযোগ, স্কুলের এমন অবস্থা হলেও কেউ নজর দেয়নি।
তিন বছর ধরে এভাবে ভগ্নপ্রায় দশা এই স্কুলের। বর্তমানে স্কুলে প্রায় এক হাজার দশজন পড়ুয়া রয়েছে। কিন্তু যেভাবে ক্লাস রুম থেকে মিড-মিলের রান্নার ঘর প্রায় ভেঙে পড়ছে তাতে সকলেই আতঙ্কিত । অভিভাবকরা ভয় পাচ্ছেন ছাত্রছাত্রীদের স্কুলে পাঠাতে। ফলে এই অবস্থায় কমছে পড়ুয়ার সংখ্যা। এর মধ্যেও কোনও রকমে শিক্ষক-শিক্ষিকারা পঠন পাঠন চালিয়ে যাচ্ছেন। ক্লাস রুম ভেঙে পড়ার কারণে অন্য ক্লাসে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। যে কোনও সময় বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। ইতিমধ্য়ে প্লাস্টার খসে বেশ কয়েকজন পড়ুয়া আহত হয়েছে । অভিযোগ, স্কুলের এমন অবস্থা হলেও কেউ নজর দেয়নি।
ছাত্রী শম্পা সাধুঁখা জানায়, স্কুলের ভবন ভাঙছে, যে কোনও সময় দুর্ঘটনা হতে পারে, সব সময় ভয়ে ভয়ে থাকি। আতঙ্ক নিয়েই ক্লাস করতে হচ্ছে । বিজ্ঞানের প্র্যাকটিক্যাল ক্লাস বন্ধ করে সেই ঘরে সাধারণ ক্লাস করতে হচ্ছে।
আরও পড়ুন : Canning Fish Farming: উৎকর্ষ বাংলার মাধ্যমে মাছ চাষে ঘুরে দাঁড়াতে চায় ক্যানিং
প্রধান শিক্ষক অরূপ কুমার ঘোষ জানান, বিভিন্ন সরকারি দফতরে জানিয়ে কোনও সুরাহা হয়নি। তাই সরকার যাতে স্কুলের দিকে নজর দেয় এবং দ্রুত সংস্কারের ব্যবস্থা করে তার জন্য আবেদন করা হয়েছে। সার্কেল ইন্সপেক্টরের মাধ্যমে আবেদন করা হয়েছে শিক্ষা দফতরে।
হুগলি জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ গোপাল রায় বলেন, "করোনার জন্য দু'বছর প্রায় স্কুল বন্ধ ছিল। জল জমে থাকায় ছাদ নষ্ট হয়ে গিয়েছে । ছাদ থেকে জল চুঁইয়ে পরে দেওয়াল ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে । যে স্কুলগুলো ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে সেগুলোর বিষয়ে শিক্ষা দফতরকে তালিকা পাঠানো হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসুকেও জানানো হয়েছে। খানাকুলের একটি স্কুলে সংস্কারের কাজ চলছে। ভোঁপুর যজ্ঞেশ্বর স্কুল বহু প্রাচীন সেই কারণে ভবন ভগ্নপ্রায় হয়েছে। দ্রুত যাতে ভোঁপুর স্কুলেও সংস্কারের কাজ শুরু হয় তারজন্য চেষ্টা করব।"