শ্রীরামপুর (হুগলি), 8 এপ্রিল: হুগলির রিষড়ায় যেতে পারল না তথ্য অনুসন্ধানকারী দল ৷ ওই দলের সদস্যদের শনিবার শ্রীরামপুরের বাঙ্গিহাটিতে দিল্লি রোডের উপরেই আটকে দেয় পুলিশ ৷ পুলিশের বক্তব্য, রিষড়ায় 144 ধারা জারি রয়েছে, তাই সেখানে যেতে দেওয়া হবে না ৷ এই নিয়ে দীর্ঘক্ষণ ওই তথ্য অনুসন্ধানকারী দলের সদস্যদের সঙ্গে পুলিশের কথা কাটাকাটি হয় ৷ শেষে তাঁরা সেখান থেকে ফিরে যান ৷
গত রবিবার সন্ধ্যায় রামনবমীর মিছিলকে কেন্দ্র করে গোলমাল ছড়িয়েছিল হুগলির রিষড়ায় ৷ পরদিন সোমবারও অশান্ত ছিল পুরো এলাকা ৷ পরিস্থিতি সামলাতে পুলিশ মোতায়েন করা হয় এলাকায় ৷ কিন্তু বাইরে থেকে অন্য কাউকে এলাকায় প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি ৷ পরপর দু’দিন চেষ্টা করেও রিষড়ায় যেতে পারেননি বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ৷ রিষড়ায় যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ও ৷ তিনিই ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারেননি পুলিশি বাধার জেরে ৷
এই পরিস্থিতিতে শনিবার রিষড়ার অশান্ত এলাকা পরিদর্শনে যাওয়ার চেষ্টা করে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি অফ হিউম্যান রাইটস ভায়োলেশনের এক প্রতিনিধি দল ৷ কিন্তু 144 ধারা জারি থাকায় চন্দননগর কমিশনারেটের পুলিশ তাদেরও রিষড়ায় যেতে দেয়নি ৷ ওই তথ্য অনুসন্ধানকারী দলের সদস্য রাজপাল সিং বলেন, ‘‘আমরা রিষড়ায় গিয়ে মানুষের সঙ্গে কথা বলতাম । সেদিন পুলিশের কি ভূমিকা ছিল, মানুষের কতটা ক্ষতি হয়েছে, সে বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করতাম ৷ সেই কাজে আমাদের বাধা দেওয়া হয়েছে ।’’
এছাড়াও ওই প্রতিনিধি দলের সদস্যদের বক্তব্য, দেশের নাগরিক হিসেবে তাঁদের যে কোনও জায়গায় যাওয়ার অধিকার আছে ৷ 144 ধারা জারি থাকলে, তাঁরা একজন একজন করে যেতেন ৷ তার পরও পুলিশ তাঁদের যেতে দেয়নি ৷ সেই সূত্রেই হরিয়ানা পুলিশের প্রাক্তন আইজি প্রশ্ন তুলেছেন, কেন তাঁদের আটকে দেওয়া হল ? তাঁদের জন্য কী ক্ষতি হবে ?
যদিও এই নিয়ে পুলিশের তরফে কিছু জানানো হয়নি ৷ তবে পুলিশের একটি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, যেহেতু বেশ কিছু জায়গায় 144 ধারা জারি করা আছে, তাই কাউকে যেতে দেওয়া হয়নি ৷
আরও পড়ুন: ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরলেও আতঙ্কিত রিষড়ার মানুষ