চন্দননগর, 1 এপ্রিল: রামনবমীর মিছিলকে কেন্দ্র করে হাওড়ার কাজী পাড়ার ঘটনা নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন রাজ্য়ের পুর ও নগরন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ৷ এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানান, কেন্দ্রীয় সরকারের ফ্য়াক্ট ফাইন্ডিং কমিটি বা টিম আসলে একপ্রকার চোখে ধুলো দেওয়া ছাড়া আর কিছুই নয় ৷ পাশাপাশি রাজ্য়ের ছোট-খাটো ঘটনা ঘটলেই যেভাবে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধিরা চলে আসছেন, তা নিয়েও উষ্মা প্রকাশ করেছেন রাজ্য়ের মন্ত্রী ৷
শনিবার রাজ্য়ের পুর ও নগরন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, "কেন্দ্রের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম এসব আইওয়াশ ছাড়া আর কিছুই নয়।" পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার খুব কড়াভাবে শিবপুরের এই ঘটনার মোকাবিলা করেছে ৷ এদিন তিনি বলেন, "মুখ্যমন্ত্রীর নজর রয়েছে এর উপর। ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম এর আগেও এসেছে, কী হয়েছে তাতে?" এদিন, হুগলির চন্দননগরে পাঁচ মিলিয়ন গ্যালন প্রতিদিন জল উৎপাদনে সক্ষম কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ৷ সেখানে এসেই এই মন্তব্য করেন ফিরহাদ। 60 কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত এই জল প্রকল্প থেকে গোটা চন্দননগর শহরের মানুষের জলের চাহিদা মিটবে বলেই জানিয়েছেন তিনি ।
প্রসঙ্গত, চন্দননগর পুর নিগমের 33 টি ওয়ার্ড। সব ওয়ার্ডে পরিশ্রুত পানীয় জল পাওয়া যায় না বলে নাগরিকদের অভিযোগ। বোড়াই চন্ডীতলায় কেএমডিএ-এর এই প্রকল্প পাঁচ মিলিয়ান গ্যালন জল সরবরাহ করতে পারবে বলে জানা গিয়েছে। এর জন্য ছ'টি ওভারহেড রিজার্ভার তৈরিও করা হয়েছে। 60 কোটি টাকা খরচ হয়েছে এই প্রকল্পে। উত্তর চন্দননগরে পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডে এই প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। ছিলেন চন্দননগরের বিধায়ক তথা রাজ্য়ের মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন, চন্দননগর পৌরনিগমের মেয়র রাম চক্রবর্তী, পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি-সহ পুলিশ ও প্রশাসনের আধিকারীকরা।
আরও পড়ুন: বিস্ফোরক সরবরাহের অভিযোগে এনআইএ-র জালে দু’জন
এদিন ফিরহাদ হাকিম বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিবাদ করে কেন্দ্রের থেকে টাকা আদায়ের প্রচেষ্টা করছে। কেন্দ্র যেভাবে মানুষকে বঞ্চনা করছে তার জন্য তিনি সরব হয়েছেন।" পাশাপাশি তিনি বলেন, "জল দেওয়ার থেকে পুণ্য় কাজ আর কিছু নেই ৷ তাই যেখানেই জল প্রকল্পের কিছু থাকে আমি চলে যাই। যখন বিরোধী ছিলাম তখন রাজ্যে দু'টো জল প্রকল্প ছিল। এখন 104টে প্রকল্প হয়ে গেল।" মন্ত্রী জানিয়েছেন, এখানে কিছু পাইপ লাইনের কাজ বাকি আছে। সেগুলি হয়ে গেলে চন্দননগরের সব এলাকায় জল পৌঁছে যাবে। এর পরে সাড়ে তিন কিলোমিটার পাইপ লাইনের কাজ বাকি আছে ৷ 10 কোটি টাকায় সেই কাজও হবে বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, "ড্রেনেজ সিস্টেমটা ভালো করে করতে হবে। মানুষের জন্য কাজ করতে পেরে আমরা খুশি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন আমরা বাংলার শাসক নই মানুষের সেবা করি।"