ETV Bharat / state

করোনার তৃতীয় ঢেউ থেকে শিশুদের বাঁচাতে সতর্কতাতেই জোর চিকিৎসকদের - করোনা থেকে শিশুদের সুরক্ষা

18 বছরের নিচের শিশু ও কিশোরদের ভ্যাকসিনেশন হয়নি । এই পরিস্থিতিতে তাঁদের সংক্রমণ থেকে বাঁচাতে মাস্ক এবং প্রয়োজনীয় নিয়মবিধি মানার উপর জোর দিচ্ছেন চিকিৎসকরা ৷ আর 5 বছরের নিচের শিশুদের বাড়ি থেকে বের করতে নিষেধ করেছেন চিকিৎসকরা ৷

caution-is-a-way-to-save-children-from-the-third-wave-of-corona-says-doctors
করোনার তৃতীয় ঢেউ থেকে শিশুদের বাঁচাতে সতর্কতাই হাতিয়ার বলছেন চিকিৎসকরা
author img

By

Published : Jul 23, 2021, 2:48 PM IST

Updated : Jul 23, 2021, 7:30 PM IST

হুগলি, 23 জুলাই : করোনা দ্বিতীয় ঢেউ এখনও যায়নি ৷ তারই মাঝে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা করছে চিকিৎসক মহল ৷ যা নিয়ে ইতিমধ্যে সরকারের তরফে নানা সতর্কতা অবলম্বন করার কথা বলা হচ্ছে ৷ কিন্তু, দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রকোপ কমতেই ফের একবার বেলাগাম হয়ে উঠেছে মানুষ ৷ লকডাউন শিথিল হতেই নিয়মবিধির তোয়াক্কা না করে অধিকাংশই মাস্ক ছাড়া বেরিয়ে পড়ছেন ৷ যে ছবি ধরা পড়েছে হুগলি জেলায় ৷ ইতিমধ্যে হুগলির গোঘাট, জাঙ্গিপাড়া, সিঙ্গুর, পোলবা, কোন্ননগর ও চুঁচুড়ায় কনটেনমেন্ট ও মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন তৈরি করা হয়েছে সংক্রমণের জেরে ৷ এই পরিস্থিতিতে মানুষের এমন বেলাগাম আচরণ করোনার তৃতীয় ঢেউকে আরও বেশি করে ভয়ঙ্কর করে তুলতে পারে বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা ৷ আর যার প্রভাব সবচেয়ে বেশি শিশুদের উপর পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে ৷ কারণ প্রাপ্তবয়স্কদের ভ্যাকসিনেশন হলেও, শিশু ও কিশোরদের ভ্যাকসিনেশন এখনও হয়নি ৷ ফলে তাঁদের সংক্রমিত হওয়া সম্ভাবনা বেশি বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা ৷ আর তাদের মধ্যে সংক্রমণ ঠেকাতে একমাত্র মাস্ক ব্য়বহার সহ অন্যান্য কোভিডবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা ৷

এ নিয়ে চুঁচুড়া জেলা হাসপাতালের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ পার্থ ত্রিপাঠী জানান, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ক্ষেত্রে বাচ্চাদের আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যাটা কিছুটা বেশি দেখা গিয়েছে ৷ বাচ্চাদের হাসপাতালেও ভর্তি হতে দেখা গিয়েছে ৷ তবে, এখনও পর্যন্ত করোনায় শিশু এবং কিশোরদের কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হয়নি । করোনায় যে সমস্ত শিশুর মৃত্যু হয়েছে সেগুলির ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, অন্য রোগে আক্রান্ত ছিল তারা ৷ তবে, তিনি সাবধান করেছেন, যে শিশুরা ক্যান্সারে বা হৃদরোগে আক্রান্ত, তাদের ক্ষেত্রে করোনা মারাত্মক আকার নিতে পারে । তৃতীয় ঢেউয়ে 18 বছরের বেশি বয়সীদের ভ্যাকসিনেশন হওয়ার কারণে সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা কম ৷

অন্যদিকে, 18 বছরের নিচের শিশু ও কিশোরদের ভ্যাকসিনেশন হয়নি । বাড়িতে থাকার কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়েনি ৷ ফলে 18 বছরের কমবয়সীদের করোনা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকছে । সেই জায়গা থেকে বলা হচ্ছে, যে মিউটেটেড ভাইরাস আসবে ৷ সেই ভাইরাসে শিশুদের আক্রান্ত হওয়া সংখ্যা বেশি থাকবে ৷ ডব্লুএইচও এবং এআইএমএস এনিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছে ৷ তবুও সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে বলে জানাচ্ছেন চুঁচুড়া জেলা হাসপাতালের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ৷ ভারত সহ পশ্চিমবঙ্গে শিশুরা করোনা আক্রান্ত হলে কীভাবে সুস্থ করা হবে, সে নিয়ে ইতিমধ্যে চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে । তার জন্য প্রতিটি জেলা হাসপাতালে পেডিয়াট্রিক ইনসেন্টিভ কেয়ার ইউনিট (MICU) এবং নিউনেটাল ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (NICU) চালু করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন চুঁচুড়া জেলা হাসপাতালের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ পার্থ ত্রিপাঠী ৷

আরও পড়ুন : অক্টোবরেই করোনার তৃতীয় ঢেউ ? কতটা সুরক্ষিত শিশুরা...

তিনি বলেন, ‘‘আমরা আশা করছি জুলাই মাসের শেষে এবং আগস্ট মাসের প্রথম দিকেই পিআইসিইউ ও এমআইসিইউ শুরু হয়ে যাবে । আমাদের জেলা হাসপাতালে কুড়িটি পিআইসিইউ ও ছ’টি বেডের এনআইসিইউ চালু করার কথা হয়েছে । তার জন্য সবরকম প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র এসে গিয়েছে । এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের ট্রেনিং দেওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে ।’’ বাচ্চাদের সংক্রমণ রুখতে মাস্ক পড়া জরুরি বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক পার্থ ত্রিপাঠী ৷ তিনি এও জানান, শিশুদের ক্ষেত্রে করোনায় বিশেষ কোনও ওষুধ লাগে না ৷ সাধারণত চিকিৎসকরা যে ওষুধ দেন, জ্বর এলে সেই ওষুধ দিলেই কাজ হবে ৷

শিশুদের বাঁচাতে সতর্কতাতেই জোর চিকিৎসকদের

আরও পড়ুন : Covid-19 : সরকারি বিধি-নিষেধ শিকেয়, করণদিঘিতে চলছে একাধিক কিন্ডারগার্টেন

এ নিয়ে হুগলি জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শুভ্রাংশু চক্রবর্তী বলেন, ‘‘শিশুরা করোনা আক্রান্ত হবে এটা আপেক্ষিক বিষয় । 18 বছরের উপরের বেশিরভাগ মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে । একটা ধারণা করা হচ্ছে, যেহেতু 18 বছরে কম বয়সী বাচ্চাদের ভ্যাকসিন দেওয়া হয়নি, সেক্ষেত্রে সংক্রমণের একটা সম্ভাবনা থাকতে পারে । সরকার চিন্তাভাবনা শুরু করেছে 18 বছরের কম বয়সী শিশু এবং কিশোররা করোনা আক্রান্ত হলে, কীভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে । জেলা স্বাস্থ্য দফতরের তরফেও আমরা চিন্তাভাবনা করছি ৷ তাদের কীভাবে সুরক্ষিত রাখা যায় । বা কীভাবে চিকিৎসা ব্যবস্থা করা যায় । একদম সদ্যোজাত থেকে শুরু করে শিশু এবং কিশোরদের ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে । আমাদের চিকিৎসকদের ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে । 6 জন শিশু চিকিৎসককে এই কাজের জন্য নিয়োগ করা হবে । তাঁরা অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী এবং চিকিৎসকদের কঠিন পরিস্থিতির সামাল দেওয়ার বিষয়টি নিয়েও নির্দেশ দেবেন ।

আরও পড়ুন : হামের টিকা কোভিড থেকে সুরক্ষিত রাখতে পারে শিশুদের : রিপোর্ট

অন্যদিকে, করোনার প্রথম ঢেউয়ে ছোট শিশুদের মধ্যে সংক্রমণের আশঙ্কা কমই ছিল, যা এখনও কম । এমনকি করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সদ্যোজাত থেকে বাকি বয়সের শিশুরা করোনা আক্রান্ত হয়নি । তবে, কিশোর বয়সের যারা, তারা বেশি সংখ্যায় করোনা আক্রান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন হুগলির জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক । এই পরিস্থিতিতে করোনাকে রুখতে গেলে সব বয়সের মানুষের ভ্যাকসিনেশন প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন তিনি । কিন্তু সেটা বাস্তবিক ক্ষেত্রে কতটা সম্ভব সে নিয়ে সন্দেহ আছে । সতর্কীকরণ হিসেবে 5 বছর বা তার কম বয়সী শিশু এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের কোভিড বিধি মেনে চলতে হবে ও মাস্ক পড়তে হবে । তবে, 5 বছরের নিচের শিশুদের মাস্ক পড়ানো যাবে না বলে জানিয়েছেন তিনি ৷ তাদের বাড়িতে রাখাই উচিত হবে । হুগলি জেলায় 12 লক্ষের বেশি মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়ে গেছে ।

হুগলি, 23 জুলাই : করোনা দ্বিতীয় ঢেউ এখনও যায়নি ৷ তারই মাঝে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা করছে চিকিৎসক মহল ৷ যা নিয়ে ইতিমধ্যে সরকারের তরফে নানা সতর্কতা অবলম্বন করার কথা বলা হচ্ছে ৷ কিন্তু, দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রকোপ কমতেই ফের একবার বেলাগাম হয়ে উঠেছে মানুষ ৷ লকডাউন শিথিল হতেই নিয়মবিধির তোয়াক্কা না করে অধিকাংশই মাস্ক ছাড়া বেরিয়ে পড়ছেন ৷ যে ছবি ধরা পড়েছে হুগলি জেলায় ৷ ইতিমধ্যে হুগলির গোঘাট, জাঙ্গিপাড়া, সিঙ্গুর, পোলবা, কোন্ননগর ও চুঁচুড়ায় কনটেনমেন্ট ও মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন তৈরি করা হয়েছে সংক্রমণের জেরে ৷ এই পরিস্থিতিতে মানুষের এমন বেলাগাম আচরণ করোনার তৃতীয় ঢেউকে আরও বেশি করে ভয়ঙ্কর করে তুলতে পারে বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা ৷ আর যার প্রভাব সবচেয়ে বেশি শিশুদের উপর পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে ৷ কারণ প্রাপ্তবয়স্কদের ভ্যাকসিনেশন হলেও, শিশু ও কিশোরদের ভ্যাকসিনেশন এখনও হয়নি ৷ ফলে তাঁদের সংক্রমিত হওয়া সম্ভাবনা বেশি বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা ৷ আর তাদের মধ্যে সংক্রমণ ঠেকাতে একমাত্র মাস্ক ব্য়বহার সহ অন্যান্য কোভিডবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা ৷

এ নিয়ে চুঁচুড়া জেলা হাসপাতালের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ পার্থ ত্রিপাঠী জানান, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ক্ষেত্রে বাচ্চাদের আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যাটা কিছুটা বেশি দেখা গিয়েছে ৷ বাচ্চাদের হাসপাতালেও ভর্তি হতে দেখা গিয়েছে ৷ তবে, এখনও পর্যন্ত করোনায় শিশু এবং কিশোরদের কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হয়নি । করোনায় যে সমস্ত শিশুর মৃত্যু হয়েছে সেগুলির ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, অন্য রোগে আক্রান্ত ছিল তারা ৷ তবে, তিনি সাবধান করেছেন, যে শিশুরা ক্যান্সারে বা হৃদরোগে আক্রান্ত, তাদের ক্ষেত্রে করোনা মারাত্মক আকার নিতে পারে । তৃতীয় ঢেউয়ে 18 বছরের বেশি বয়সীদের ভ্যাকসিনেশন হওয়ার কারণে সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা কম ৷

অন্যদিকে, 18 বছরের নিচের শিশু ও কিশোরদের ভ্যাকসিনেশন হয়নি । বাড়িতে থাকার কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়েনি ৷ ফলে 18 বছরের কমবয়সীদের করোনা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকছে । সেই জায়গা থেকে বলা হচ্ছে, যে মিউটেটেড ভাইরাস আসবে ৷ সেই ভাইরাসে শিশুদের আক্রান্ত হওয়া সংখ্যা বেশি থাকবে ৷ ডব্লুএইচও এবং এআইএমএস এনিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছে ৷ তবুও সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে বলে জানাচ্ছেন চুঁচুড়া জেলা হাসপাতালের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ৷ ভারত সহ পশ্চিমবঙ্গে শিশুরা করোনা আক্রান্ত হলে কীভাবে সুস্থ করা হবে, সে নিয়ে ইতিমধ্যে চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে । তার জন্য প্রতিটি জেলা হাসপাতালে পেডিয়াট্রিক ইনসেন্টিভ কেয়ার ইউনিট (MICU) এবং নিউনেটাল ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (NICU) চালু করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন চুঁচুড়া জেলা হাসপাতালের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ পার্থ ত্রিপাঠী ৷

আরও পড়ুন : অক্টোবরেই করোনার তৃতীয় ঢেউ ? কতটা সুরক্ষিত শিশুরা...

তিনি বলেন, ‘‘আমরা আশা করছি জুলাই মাসের শেষে এবং আগস্ট মাসের প্রথম দিকেই পিআইসিইউ ও এমআইসিইউ শুরু হয়ে যাবে । আমাদের জেলা হাসপাতালে কুড়িটি পিআইসিইউ ও ছ’টি বেডের এনআইসিইউ চালু করার কথা হয়েছে । তার জন্য সবরকম প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র এসে গিয়েছে । এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের ট্রেনিং দেওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে ।’’ বাচ্চাদের সংক্রমণ রুখতে মাস্ক পড়া জরুরি বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক পার্থ ত্রিপাঠী ৷ তিনি এও জানান, শিশুদের ক্ষেত্রে করোনায় বিশেষ কোনও ওষুধ লাগে না ৷ সাধারণত চিকিৎসকরা যে ওষুধ দেন, জ্বর এলে সেই ওষুধ দিলেই কাজ হবে ৷

শিশুদের বাঁচাতে সতর্কতাতেই জোর চিকিৎসকদের

আরও পড়ুন : Covid-19 : সরকারি বিধি-নিষেধ শিকেয়, করণদিঘিতে চলছে একাধিক কিন্ডারগার্টেন

এ নিয়ে হুগলি জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শুভ্রাংশু চক্রবর্তী বলেন, ‘‘শিশুরা করোনা আক্রান্ত হবে এটা আপেক্ষিক বিষয় । 18 বছরের উপরের বেশিরভাগ মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে । একটা ধারণা করা হচ্ছে, যেহেতু 18 বছরে কম বয়সী বাচ্চাদের ভ্যাকসিন দেওয়া হয়নি, সেক্ষেত্রে সংক্রমণের একটা সম্ভাবনা থাকতে পারে । সরকার চিন্তাভাবনা শুরু করেছে 18 বছরের কম বয়সী শিশু এবং কিশোররা করোনা আক্রান্ত হলে, কীভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে । জেলা স্বাস্থ্য দফতরের তরফেও আমরা চিন্তাভাবনা করছি ৷ তাদের কীভাবে সুরক্ষিত রাখা যায় । বা কীভাবে চিকিৎসা ব্যবস্থা করা যায় । একদম সদ্যোজাত থেকে শুরু করে শিশু এবং কিশোরদের ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে । আমাদের চিকিৎসকদের ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে । 6 জন শিশু চিকিৎসককে এই কাজের জন্য নিয়োগ করা হবে । তাঁরা অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী এবং চিকিৎসকদের কঠিন পরিস্থিতির সামাল দেওয়ার বিষয়টি নিয়েও নির্দেশ দেবেন ।

আরও পড়ুন : হামের টিকা কোভিড থেকে সুরক্ষিত রাখতে পারে শিশুদের : রিপোর্ট

অন্যদিকে, করোনার প্রথম ঢেউয়ে ছোট শিশুদের মধ্যে সংক্রমণের আশঙ্কা কমই ছিল, যা এখনও কম । এমনকি করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সদ্যোজাত থেকে বাকি বয়সের শিশুরা করোনা আক্রান্ত হয়নি । তবে, কিশোর বয়সের যারা, তারা বেশি সংখ্যায় করোনা আক্রান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন হুগলির জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক । এই পরিস্থিতিতে করোনাকে রুখতে গেলে সব বয়সের মানুষের ভ্যাকসিনেশন প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন তিনি । কিন্তু সেটা বাস্তবিক ক্ষেত্রে কতটা সম্ভব সে নিয়ে সন্দেহ আছে । সতর্কীকরণ হিসেবে 5 বছর বা তার কম বয়সী শিশু এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের কোভিড বিধি মেনে চলতে হবে ও মাস্ক পড়তে হবে । তবে, 5 বছরের নিচের শিশুদের মাস্ক পড়ানো যাবে না বলে জানিয়েছেন তিনি ৷ তাদের বাড়িতে রাখাই উচিত হবে । হুগলি জেলায় 12 লক্ষের বেশি মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়ে গেছে ।

Last Updated : Jul 23, 2021, 7:30 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.