পাণ্ডুয়া , 13 অক্টোবর : ট্রেন চালুর দাবিতে হুগলির বিভিন্ন জায়গায় রেল অবরোধ চলছে । স্পেশাল ট্রেনে সাধারণ মানুষ চড়লে তাদের নামিয়ে দেওয়া হচ্ছে । এমনকী , মারধর করা হচ্ছে । এই অভিযোগ জানিয়ে শনিবার রেলের DRM-কে বিষয়টি দেখার জন্য আবেদন করেছিল অবরোধকারীরা । অভিযোগপত্র জমা করেছিল । এখন সেই অভিযোগপত্র রেলে ওঠার ছাড়পত্র হয়েছে । আর তা নিয়ে রীতিমতো ব্যবসা শুরু হয়েছে পাণ্ডুয়া স্টেশন এলাকায় । অভিযোগ , স্টেশন চত্ত্বরে একটি জেরক্সের দোকান 3 টাকা থেকে 5 টাকার বিনিময়ে আবেদন পত্রের জেরক্স বিক্রি করছে । আর কয়েকজন ট্রেনের ছাড়পত্র ভেবে তা কিনে নিয়ে যাচ্ছে । স্থানীয়রা অনেকেই এই ঘটনার প্রতিবাদ করছে । তবে ওই ব্যবসায়ীর দাবি , লোকে যদি জেরক্স করে নিয়ে যায় তাতে আর দোষ কী আছে । কিন্তু অভিযোগ , দোকান থেকে অবৈধ কারবার চলছে । অভিযোগের ভিত্তিতে সন্ধেবেলায় পাণ্ডুয়া থানার পুলিশ এসে দোকান বন্ধের নির্দেশ দেয় ।
ট্রেন চালুর দাবিতে শনিবার থেকেই হুগলির বিভিন্ন জায়গায় অবরোধ শুরু হয়েছে । দিন মজুর , পরিচারিকা , অল্প বেতনের চাকরি করা সাধারণ মানুষ যারা প্রতিদিন শহরতলি থেকে কলকাতায় রোজগারের জন্য আসে । সেক্ষেত্রে ট্রেনই তাদের ভরসা । কিন্তু প্রায় আট মাস ধরে সেই ট্রেন বন্ধ । কিন্তু কাজ না করলে তো সংসার চলবে না । তাই বাধ্য হয়ে রেলের স্টাফ স্পেশাল ট্রেনে উঠছে তারা । অভিযোগ, কখনও হেনস্থা করে তাদের নামিয়ে দিচ্ছে রেল পুলিশ । আবার কখনও ফাইন করছে টিকিট পরীক্ষক । শনিবার এর প্রতিবাদে পাণ্ডুয়া , খন্যান , হুগলি-সহ বেশ কয়েকটি স্টেশনে বিক্ষোভ অবরোধ করে যাত্রীরা । গতকালও চুঁচুড়ায় অবরোধ হয় । হাওড়ার লিলুয়ায় স্টেশন ম্যানেজারের ঘর ভাঙচুর হয় । স্পেশাল ট্রেনের ইন্সপেকশন নোডাল অফিসার মহম্মদ আসলাম যাত্রীদের দাবি লিখিতভাবে জানাতে বলেন । সেইমতো যাত্রীরা লিখিতভাবে তাদের দাবি জানায় । অভিযোগ, সেই দাবি লেখা কাগজ জেরক্স করে ট্রেনে ওঠার ছাড়পত্র হিসাবে রীতিমতো ব্যবসা চলছে স্টেশনে ।
এর প্রতিবাদে সামিল হয়েছে খেলোয়াড় রহিম নবি-সহ বেশ কয়েকজন । রহিম নবি বলেন , "রেলের এই কাগজ কীভাবে বিক্রি হচ্ছে । এর দায়িত্ব কে নেবে । কারা এসবে মদত দিচ্ছে আমি জানি না ।রেলের ছাড়পত্র টিকিট কাউন্টার থেকে দেবে । জেরক্সের দোকান দেবে কেন । এর অবশ্যই তদন্ত হওয়া উচিত । "