ETV Bharat / state

Bloodied Bodies Recovered: বন্ধ ঘর থেকে গৃহবধূ ও শিশুকন্যার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার আরামবাগে

আরামবাগে ভাড়া বাড়ির ঘর থেকে গৃহবধূ এবং তাঁর মেয়ের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার ৷ গুরুতর অবস্থায় আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালে ভরতি স্বামী ৷ ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন বলে ধারনা পুলিশের ৷

Bloodied Bodies Recovered
রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার
author img

By

Published : Aug 7, 2023, 8:16 PM IST

স্থানীয় তৃণমূল নেতা সৈয়দ মগবুল হোসেন

আরামবাগ, 7 অগস্ট: আরামবাগে ভাড়া বাড়ির ঘর থেকে রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার এক গৃহবধূ এবং তাঁর ছ'বছরের শিশুকন্যার। মৃতার স্বামীকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে ভরতি করা হয়েছে হাসপাতালে। আরামবাগের গোঘাট থানার কামারপুকুর এলাকার চাঞ্চল্যকর এই ঘটনায় মৃত মহিলার নাম শিল্পা দত্ত ও মেয়ের নাম আদৃজা দত্ত। প্রাথমিক তদন্তে মৃতদেহে ধারালো অস্ত্রের আঘাত পাওয়া গিয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। এর থেকেই প্রাথমিকভাবে বিষয়টিকে খুন বলেই মনে করছে পুলিশ। শিল্পা দত্তের স্বামী মৃণাল দত্ত বর্তমানে গুরুতর আহত অবস্থায় আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন ৷ তিনি তামিলনাড়ুর এক হোটেলে কর্মরত বলে জানা গিয়েছে ৷ স্বাভাবিকভাবেই বাড়ির মধ্যে থেকেই দেহ উদ্ধারের ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায় ৷

মৃত গৃহবধূর দাদা রাজদীপ দে কামারপুকুর অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি ৷ সোমবার সকালে মৃণাল দত্ত ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা বাড়ির দরজা দীর্ঘক্ষণ না-খোলায় সন্দেহ হয় প্রতিবেশীদের। এরপরেই খবর দেওয়া হয় পুলিশকে ৷ খবর যায় রাজদীপ দে'র কাছেও ৷ পুলিশ দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে দেহগুলি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। স্থানীয় তৃণমূল নেতা সৈয়দ মগবুল হোসেন বলেন, "কামারপুকুর অঞ্চলের সভাপতির বোন, ভগ্নিপতি ও ভাগ্নি পাশের একটি বাড়িতে ভাড়া থাকত ৷ কাল সন্ধে পর্যন্ত সব ঠিকঠাক ছিল ৷ তবে আজ গেট না-খোলায় বাড়িওয়ালা তৃণমূল নেতা রাজদীপ দে'কে খবর দেয় ৷ তিনি এসে দরজা ভেঙে দেখেন তিনজনেই রক্তাক্ত অবস্থায় ঘরে পরে রয়েছে ৷ গেটে ভেতর থেকে খিল লাগানো ছিল ৷ এরপর পুলিশ এসে তিনজনকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় ৷ মা ও মেয়ের মৃত্যু হয়েছে ৷"

আরও পড়ুন: সম্পত্তি বিবাদে বধূ-সহ তিনজনকে খুন, অভিযুক্ত শ্বশুর-দেওর

রাজদীপের দে'র বোন ও জামাইবাবু তাঁদের 6 বছরের শিশুকন্যাকে নিয়ে কামারপুকুর বিদ্যুৎ দফতরের অফিসের পিছনে একটি বাড়ি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন । সেভাবে কোনও পারিবারিক অশান্তি ছিল না তাঁদের মধ্যে। পুলিশ বাড়িতে ঢুকে রক্তাক্ত দেহে একাধিক ধারালো অস্ত্রের আঘাত দেখতে পায়। এরপর দেহগুলি উদ্ধার করে আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয় । পুলিশের প্রাথমিক অনুমান ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন করা হয়েছে তাঁদের। যদিও কীভাবে এই ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। জ্ঞান ফিরলে মৃতার স্বামীকে জিজ্ঞাসা করে ঘটনার আঁচ পেতে চাইছে পুলিশ ৷ ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত শুরু করেছে গোঘাট থানার পুলিশ।

স্থানীয় তৃণমূল নেতা সৈয়দ মগবুল হোসেন

আরামবাগ, 7 অগস্ট: আরামবাগে ভাড়া বাড়ির ঘর থেকে রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার এক গৃহবধূ এবং তাঁর ছ'বছরের শিশুকন্যার। মৃতার স্বামীকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে ভরতি করা হয়েছে হাসপাতালে। আরামবাগের গোঘাট থানার কামারপুকুর এলাকার চাঞ্চল্যকর এই ঘটনায় মৃত মহিলার নাম শিল্পা দত্ত ও মেয়ের নাম আদৃজা দত্ত। প্রাথমিক তদন্তে মৃতদেহে ধারালো অস্ত্রের আঘাত পাওয়া গিয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। এর থেকেই প্রাথমিকভাবে বিষয়টিকে খুন বলেই মনে করছে পুলিশ। শিল্পা দত্তের স্বামী মৃণাল দত্ত বর্তমানে গুরুতর আহত অবস্থায় আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন ৷ তিনি তামিলনাড়ুর এক হোটেলে কর্মরত বলে জানা গিয়েছে ৷ স্বাভাবিকভাবেই বাড়ির মধ্যে থেকেই দেহ উদ্ধারের ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায় ৷

মৃত গৃহবধূর দাদা রাজদীপ দে কামারপুকুর অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি ৷ সোমবার সকালে মৃণাল দত্ত ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা বাড়ির দরজা দীর্ঘক্ষণ না-খোলায় সন্দেহ হয় প্রতিবেশীদের। এরপরেই খবর দেওয়া হয় পুলিশকে ৷ খবর যায় রাজদীপ দে'র কাছেও ৷ পুলিশ দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে দেহগুলি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। স্থানীয় তৃণমূল নেতা সৈয়দ মগবুল হোসেন বলেন, "কামারপুকুর অঞ্চলের সভাপতির বোন, ভগ্নিপতি ও ভাগ্নি পাশের একটি বাড়িতে ভাড়া থাকত ৷ কাল সন্ধে পর্যন্ত সব ঠিকঠাক ছিল ৷ তবে আজ গেট না-খোলায় বাড়িওয়ালা তৃণমূল নেতা রাজদীপ দে'কে খবর দেয় ৷ তিনি এসে দরজা ভেঙে দেখেন তিনজনেই রক্তাক্ত অবস্থায় ঘরে পরে রয়েছে ৷ গেটে ভেতর থেকে খিল লাগানো ছিল ৷ এরপর পুলিশ এসে তিনজনকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় ৷ মা ও মেয়ের মৃত্যু হয়েছে ৷"

আরও পড়ুন: সম্পত্তি বিবাদে বধূ-সহ তিনজনকে খুন, অভিযুক্ত শ্বশুর-দেওর

রাজদীপের দে'র বোন ও জামাইবাবু তাঁদের 6 বছরের শিশুকন্যাকে নিয়ে কামারপুকুর বিদ্যুৎ দফতরের অফিসের পিছনে একটি বাড়ি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন । সেভাবে কোনও পারিবারিক অশান্তি ছিল না তাঁদের মধ্যে। পুলিশ বাড়িতে ঢুকে রক্তাক্ত দেহে একাধিক ধারালো অস্ত্রের আঘাত দেখতে পায়। এরপর দেহগুলি উদ্ধার করে আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয় । পুলিশের প্রাথমিক অনুমান ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন করা হয়েছে তাঁদের। যদিও কীভাবে এই ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। জ্ঞান ফিরলে মৃতার স্বামীকে জিজ্ঞাসা করে ঘটনার আঁচ পেতে চাইছে পুলিশ ৷ ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত শুরু করেছে গোঘাট থানার পুলিশ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.