জাঙ্গিপাড়া, 9 অক্টোবর: জাঙ্গিপাড়ার শ্রীহট্টে নাবালিকার রহস্য মৃত্যু ৷ রবিবার এলাকা পরিদর্শনে গেল বিজেপির একটি প্রতিনিধি দল ৷ প্রথমে থানায় তদন্তকারী আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা ৷ তারপর সেখান থেকে মৃত নাবালিকার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে যান তাঁরা (BJP Delegation Meets With Dead Minor Girl Family) ৷ বিজেপির এই প্রতিনিধি দলে ছিলেন আইনজীবী তথা বিজেপি নেত্রী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল (Priyanka Tiberwal), রাজ্য বিজেপির সম্পাদক বিমান ঘোষ-সহ অন্যান্যরা ৷ তবে, পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করার আগে, তাঁদের গ্রামবাসীদের বাধার মুখে পড়তে হয় ৷ পরে অবশ্য নিহত ওই নাবালিকার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করে বিজেপি নেতৃত্ব ৷ প্রসঙ্গত, এ দিন সকালে কংগ্রেসের তরফে শ্রীহট্টা গ্রামে একটি প্রতিনিধি দল গেলে গ্রামবাসীরা তাঁদের লাঠি নিয়ে তাড়া করেন ৷
উল্লেখ্য, দশমীর রাতে ঠাকুর দেখতে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে যায় ওই নাবালিকা ৷ শনিবার স্থানীয় একটি ঝিল থেকে তার দেহ উদ্ধার হয় ৷ ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায় জাঙ্গিপাড়া থানার শ্রীহট্ট এলাকায় ৷ পরিবারের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, ধর্ষণ করে তাঁদের মেয়েকে খুন করা হয়েছে ৷ পুলিশ তদন্তে নেমে ঝিলের পাশ থেকে একজোড়া জুতো উদ্ধার করেছে ৷ পরিবার সূত্রে জানা যায়, দশমীর রাতে ভাই-বোনেদের সঙ্গে নিয়ে ঠাকুর দেখতে বের হয় ওই নাবালিকা ৷ বাকিরা বাড়ি ফিরলেও, ওই নাবালিকার খোঁজ পাওয়া যায়নি ৷ এর পর পরিবারের লোক থানায় গেলে পুলিশ কোনও সহযোগিতা করেনি বলেও অভিযোগ উঠেছে ৷
আরও পড়ুন: কংগ্রেস প্রতিনিধি দলকে মৃত নাবালিকার বাড়ি যেতে বাধা গ্রামবাসীদের
নিখোঁজ থাকার চার দিন পর শনিবার সকালে বাড়ি থেকে এক কিলোমিটার দূরে জাঙ্গিপাড়া থানার শ্রীহট্ট এলাকায় একটি ঝিলে নাবালিকার দেহ ভাসতে দেখেন স্থানীয়রা ৷ পরিবারের লোকজন এসে পোষাক দেখে নাবালিকাকে সনাক্ত করে ৷ এ দিন পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে এসে বিজেপি নেত্রী প্রিয়াঙ্কার টিবরেওয়াল বলেন, ‘‘পুরো রাজ্যটাকেই ধর্ষণ ও খুনে ভরিয়ে ফেলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে অত্যন্ত দুর্ব্যবহার করেছে পুলিশ ৷ আমাদেরও বাধা দিয়েছে ৷ আমি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে, এই মামলাটি নিজে নেওয়ার চেষ্টা করব ৷’’ এই ঘটনায় রাজ্য প্রশাসনকে ধিক্কার জানিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল ৷