ETV Bharat / state

Bekareshwar Baba : বেকারত্বের জ্বালা থেকে মুক্তি পেতে হিন্দমোটরবাসীর ভরসা বেকারেশ্বর বাবা

নানা গল্প প্রচলিত আছে এই মন্দিরকে ঘিরে ৷ স্থানীয় মানুষের বিশ্বাস অনেকেই চাকরি পেয়েছেন এই মন্দিরে পুজো দিয়ে । কারও মতে, বেকারেশ্বর বাবার আশীর্বাদেই তাঁরা প্রতিষ্ঠা পেয়েছেন ৷

Bekareshwar Baba
লকডাউনে বেকারত্বের জ্বালা থেকে মুক্তি পেতে একমাত্র ভরসা হিন্দমোটরের বেকারেশ্বর বাবা।
author img

By

Published : Oct 21, 2021, 11:04 PM IST

হিন্দমোটর, 21 অক্টোবর : বেকারত্বের জ্বালা থেকে হিন্দমোটরে উদ্ভব বেকারেশ্বর বাবার । করোনা ও লকডাউনের ফলে বেড়েছে এই বেকারত্বের সমস্যা । তাই বেকার যুবকদের একমাত্র ভরসা হয়ে উঠেছে হিন্দ মোটরের এই বেকারেশ্বর বাবার মন্দির।

নানা গল্প প্রচলিত আছে এই মন্দিরকে ঘিরে৷ স্থানীয় মানুষের বিশ্বাস অনেকেই চাকরি পেয়েছেন এই মন্দিরে পুজো দিয়ে । কারও মতে, বেকারেশ্বর বাবার আশীর্বাদেই তাঁরা প্রতিষ্ঠা পেয়েছেন ৷ কেউ ম্যানেজার হয়েছেন, কেউ আবার রেলে চাকরি পেয়েছে এখানে পুজো দিয়ে৷ সবমিলিয়ে আস্থা ও ভক্তি মিলে এখানকার মানুষের মনে এক আলাদাই স্থান বেকারেশ্বর বাবার৷ এখানে একটা নিয়ম আজও চলে আসছে। এই মন্দিরের পাশে রয়েছে একটি চায়ের দোকান ৷ এলাকারই কোনও বেকার যুবক এই দোকান চালান এবং তিনি ভাল চাকরি বা ব্যবসা পেয়ে গেলে তখন অন্য কোনও বেকার এই দোকান চালাতে শুরু করেন ৷ এত বছর ধরে এই নিয়মই চলে আসছে ৷

আরও পড়ুন : 1 Billion Vaccine : 100 কোটি ডোজের উদযাপনে তেরঙা আলোয় উদ্ভাসিত মেটকাফ হল ও কারেন্সি বিল্ডিং

এই এলাকার পাশেই হিন্দমোটর কারখানা-সহ অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে গিয়েছে এই 50 বছরের মধ্যে। বেকার যত বেড়েছে চাকরি পাওয়ার আশায় বেকারেশ্বর বাবার প্রতি বিশ্বাস যেন আরও বেড়েছে এই এলাকার মানুষের। কলকাতা থেকেও এখানে পুজো দিতে আসেন অনেকে। এলাকাবাসীরাও বাবার সেবা করেন। স্থানীয় মানুষরাও বাবার প্রতি আস্থা রেখেছেন। জানা যায়, দীর্ঘ প্রায় 50 বছর আগে কয়েকজন বেকার যুবক গঙ্গায় স্নান করতে গিয়ে একটি ভারী পাথর কুড়িয়ে এনেছিলেন, তাঁকেই দেবতা জ্ঞানে পুজো শুরু হয়। প্রথমে একটি খেজুর গাছের নীচে নতুন দেবতা স্থান পান। তখন নাম হয়— ‘বাবা খেজুরেশ্বর’। পরে দেবতার নাম ও স্থান দু'বার বদলায়। শেষে বাবা বেকারেশ্বর মন্দিরের প্রতিষ্ঠা হয়।

বেকারত্বের জ্বালা থেকে মুক্তি পেতে হিন্দমোটরবাসীর ভরসা বেকারেশ্বর বাবা

স্থানীয় কিছু যুবক চাকরি না পেয়ে সমস্যায় পড়েছিলেন সে সময়ে। এলাকায় অন্য চোখে দেখা হত তাঁদের। একসময় এমন যায় চা দোকানি চা দিতেও আপত্তি করতেন । সেই সময় স্থানীয় ওই বেকার যুবকরা রাতারাতি চায়ের সরঞ্জাম কিনে চায়ের দোকান খোলেন এই মন্দিরের পাশে। যাঁর অবস্থা খুব খারাপ সেই এই দোকান চালাবে বলে ঠিক হয়। তারপর থেকে এই রীতি চলে আসছে। এই দোকান চালিয়ে কেউ ব্যাঙ্ক ম্যানেজার হয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, অনেকেরই আবার বাবার কাছে প্রার্থনা করে বেকারত্ব ঘুচেছে। এখনও বহু বেকার যুবক-যুবতী প্রার্থনা করতে আসেন এখানে । এছাড়াও স্থানীয় মানুষ এই বেকারেশ্বর বাবার পুজো করেন ভক্তিভরে। দু'বেলা পুজো হয় বাবার।

হিন্দমোটর, 21 অক্টোবর : বেকারত্বের জ্বালা থেকে হিন্দমোটরে উদ্ভব বেকারেশ্বর বাবার । করোনা ও লকডাউনের ফলে বেড়েছে এই বেকারত্বের সমস্যা । তাই বেকার যুবকদের একমাত্র ভরসা হয়ে উঠেছে হিন্দ মোটরের এই বেকারেশ্বর বাবার মন্দির।

নানা গল্প প্রচলিত আছে এই মন্দিরকে ঘিরে৷ স্থানীয় মানুষের বিশ্বাস অনেকেই চাকরি পেয়েছেন এই মন্দিরে পুজো দিয়ে । কারও মতে, বেকারেশ্বর বাবার আশীর্বাদেই তাঁরা প্রতিষ্ঠা পেয়েছেন ৷ কেউ ম্যানেজার হয়েছেন, কেউ আবার রেলে চাকরি পেয়েছে এখানে পুজো দিয়ে৷ সবমিলিয়ে আস্থা ও ভক্তি মিলে এখানকার মানুষের মনে এক আলাদাই স্থান বেকারেশ্বর বাবার৷ এখানে একটা নিয়ম আজও চলে আসছে। এই মন্দিরের পাশে রয়েছে একটি চায়ের দোকান ৷ এলাকারই কোনও বেকার যুবক এই দোকান চালান এবং তিনি ভাল চাকরি বা ব্যবসা পেয়ে গেলে তখন অন্য কোনও বেকার এই দোকান চালাতে শুরু করেন ৷ এত বছর ধরে এই নিয়মই চলে আসছে ৷

আরও পড়ুন : 1 Billion Vaccine : 100 কোটি ডোজের উদযাপনে তেরঙা আলোয় উদ্ভাসিত মেটকাফ হল ও কারেন্সি বিল্ডিং

এই এলাকার পাশেই হিন্দমোটর কারখানা-সহ অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে গিয়েছে এই 50 বছরের মধ্যে। বেকার যত বেড়েছে চাকরি পাওয়ার আশায় বেকারেশ্বর বাবার প্রতি বিশ্বাস যেন আরও বেড়েছে এই এলাকার মানুষের। কলকাতা থেকেও এখানে পুজো দিতে আসেন অনেকে। এলাকাবাসীরাও বাবার সেবা করেন। স্থানীয় মানুষরাও বাবার প্রতি আস্থা রেখেছেন। জানা যায়, দীর্ঘ প্রায় 50 বছর আগে কয়েকজন বেকার যুবক গঙ্গায় স্নান করতে গিয়ে একটি ভারী পাথর কুড়িয়ে এনেছিলেন, তাঁকেই দেবতা জ্ঞানে পুজো শুরু হয়। প্রথমে একটি খেজুর গাছের নীচে নতুন দেবতা স্থান পান। তখন নাম হয়— ‘বাবা খেজুরেশ্বর’। পরে দেবতার নাম ও স্থান দু'বার বদলায়। শেষে বাবা বেকারেশ্বর মন্দিরের প্রতিষ্ঠা হয়।

বেকারত্বের জ্বালা থেকে মুক্তি পেতে হিন্দমোটরবাসীর ভরসা বেকারেশ্বর বাবা

স্থানীয় কিছু যুবক চাকরি না পেয়ে সমস্যায় পড়েছিলেন সে সময়ে। এলাকায় অন্য চোখে দেখা হত তাঁদের। একসময় এমন যায় চা দোকানি চা দিতেও আপত্তি করতেন । সেই সময় স্থানীয় ওই বেকার যুবকরা রাতারাতি চায়ের সরঞ্জাম কিনে চায়ের দোকান খোলেন এই মন্দিরের পাশে। যাঁর অবস্থা খুব খারাপ সেই এই দোকান চালাবে বলে ঠিক হয়। তারপর থেকে এই রীতি চলে আসছে। এই দোকান চালিয়ে কেউ ব্যাঙ্ক ম্যানেজার হয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, অনেকেরই আবার বাবার কাছে প্রার্থনা করে বেকারত্ব ঘুচেছে। এখনও বহু বেকার যুবক-যুবতী প্রার্থনা করতে আসেন এখানে । এছাড়াও স্থানীয় মানুষ এই বেকারেশ্বর বাবার পুজো করেন ভক্তিভরে। দু'বেলা পুজো হয় বাবার।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.