হুগলি, 27 মার্চ: কোরোনা নিয়ে সচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগ নিল হুগলি জেলার বেশ কয়েকটি এলাকা । কোরোনার জেরে গ্রাম ও শহরতলিতে বিদেশ এবং অন্য রাজ্য থেকে ফিরেছেন বহু প্রবাসী । সেই আতঙ্কেই দিনগুনছে মানুষজন । যদি বাইরে থেকে ভাইরাস বহন করে গ্রামে ফেরেন তাহলেই ছড়িয়ে যেতে পারে কোরোনা । সেই ভয়ে পাণ্ডুয়া ব্লকের খন্যানের মাতৃপল্লী গ্রামে ঢোকার মুখেই বাঁশের ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে ৷ লাগানো হয়েছে পোস্টারও ৷ সেখানে বাইরের মানুষের প্রবেশ নিষেধ বলে লিখে দেওয়া হয়েছে ৷ অন্য একটি পোস্টারে লেখা, "ঘরে থাকুন নিরাপদে থাকুন ।"
অন্যদের সচেতন করার পাশাপাশি গ্রামের মানুষরা নিজেরাও সচেতন । বিশেষ কাজ ছাড়া বাইরে বেরোচ্ছেন না কেউ ৷ গ্রামের ভেতরে বাইরের লোকের প্রবেশ নিষেধ ৷ যেখানে দেশের বেশিরভাগ জায়গার মানুষজন বেপরোয়াভাবে বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছে সেখানে বেশিমাত্রায় সচেতন মাতৃপল্লীর বাসিন্দারা ৷ পাণ্ডুয়া ব্লকে রুজি-রুটির টানে বহু মানুষই পরিবার নিয়ে দেশ ও বিদেশে গিয়েছেন । কেউ অন্য রাজ্যে সোনার কাজ করেন ৷ বছরে দু-একবার তাঁরা গ্রামের বাড়ি ফেরেন । কিন্তু এখন কোরোনার দাপটে বাড়ি ফিরতে হয়েছে সকলকেই ৷ ফলে কোরোনা আতঙ্ক তৈরি হয়েছে পাণ্ডুয়ার বিভিন্ন গ্রামে । সরকারি তরফে বাইরে থাকা আসা মানুষদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার জন্য নির্দেশ দেওয়া হলেও আতঙ্ক কাটেনি এলাকাবাসীর ৷ তাই গ্রামের ঢোকার মুখেই লাগানোা হয়েছে ব্যারিকেড ৷
খন্যানের এই গ্রামে ঢোকা নিয়ে দেওয়া এই নির্দেশিকা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন । এই নিয়ে পাণ্ডুয়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি চাঁপা হাজরা বলেন, "বাইরে থেকে কেউ গ্রামে এলে প্রথমে তাকে পাণ্ডুয়া গ্রামীণ হাসপাতালে পরীক্ষা করাতে হচ্ছে ৷ তারপরই তাকে বাড়ি ফেরানো হচ্ছে । তাছাড়া সেরকম বুঝলে হোম কোয়ারেন্টাইনেও রাখা হচ্ছে । এখনও পর্যন্ত ভিন রাজ্য ও বিদেশ থেকে 400 মানুষ ফিরেছেন পাণ্ডুয়া ব্লকে । এছাড়াও চন্দননগর ও ভদ্রেশ্বরের কিছু জায়গায় পাড়ায় প্রবেশের মুখেই অচেনা ব্যক্তির প্রবেশ নিষেধ বলে পোস্টার লাগানো আছে ৷