বৈদ্যবাটি, 12 ডিসেম্বর : রাজ্য থেকে বর্ষা বিদায় নিয়েছে অনেকদিন হল ৷ এখন তো বছরশেষে ডিসেম্বরের জাঁকিয়ে ঠান্ডা উপভোগ করার সময় ৷ হুগলির বৈদ্যবাটির পৌরসভার চার নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের ভাগ্যে সে সুখ কই ! বর্ষার জমা জল এখনও এলাকার বাসিন্দাদের ভোগান্তির একমাত্র কারণ ৷ কাদা প্যাচপ্যাচে রাস্তায় ইট পেতে কোনওরকমে যাতায়াত করতে হয় ৷ তার উপর সাপখোপের ভয় তো রয়েছেই ৷ এলাকার চার নম্বর ওয়ার্ডের মানিক ঘোষের বাগান এলাকায় সারাবছর ব্যবহার করতে হয় গামবুট ৷ এমনই অভিযোগ এলাকার বাসিন্দাদের (Stagnant water problem at Baidyabati ) ৷
নির্বাচনের সময় এলেই দুয়ারে এসে হাজির হন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা ৷ প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরি বয়ে যায় ৷ নির্দিষ্ট প্রার্থীকে ভোট দিলে 'চুটকি'-তে সব সমস্যার সমাধানের আশ্বাস পান এলাকাবাসী ৷ কিন্তু ভোট মিটে যাওয়ার পর পরিস্থিতির বদল হয় না ৷ বৈদ্যবাটির চার নম্বর ওয়ার্ডের মানিক ঘোষের বাগান এলাকার বাসিন্দারা এর ভুক্তভোগী ৷ সামনেই পৌরসভার ভোট ৷ স্বাভাবিকভাবেই ভোট চাইতে জনগণের সামনে দাঁড়াতেই হবে নেতাদের ৷ কিন্তু তাঁর আগে বৈদ্যবাটির চার নম্বর ওয়ার্ডের নিকাশি ব্যবস্থা চরম অস্বস্তিতে ফেলেছে তৃণমূলকে ৷ আজ স্থানীয় মহিলারা মিলে তেঁতুলতলা জিটি রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান ৷ এরপর ওয়ার্ড অফিসে গিয়ে এলাকার পৌর প্রশাসক তথা চাঁপদানির বিধায়ক অরিন্দম গুঁইকে ঘিরে ক্ষোভ উগরে দেন তাঁরা (Baidyabati residents face stagnant water and bad roads problem) ৷
বৈদ্যবাটির চার নম্বর ওয়ার্ডের নিকাশি ব্যবস্থার হাল এত খারাপ কেন ? পৌর প্রশাসক অরিন্দম গুঁইয়ের বক্তব্য়, "ওই এলাকায় যাঁরা বসবাস করছেন তাঁরা নতুন বসতি গড়েছেন । তাই অনেকের মিউটেশন হয়নি ৷ বাড়ির প্ল্যান নেই । তবে এলাকার বাসিন্দা হিসেবে তাঁদের দাবি থাকতেই পারে ৷" এদিকে নিকাশি ব্যবস্থার হালের কারণ হিসেবে শাসকদলের নেতাদের দুর্নীতিকে দায়ী করছে বিরোধীরা ৷ স্থানীয়দের এই বিক্ষোভকে স্বতস্ফূর্ত বলছেন বিজেপি নেতা স্নেহাংশ মহন্ত ৷ তাঁর কথায়, "এই ওয়ার্ডে বহু রাস্তা এখনও কাঁচা হয়ে পড়ে আছে । রাস্তা তৈরির টাকা এলেও তা নেতাদের পকেটে চলে যাচ্ছে । এই পৌরসভার 4, 11 এবং 17 নম্বর ওয়ার্ডে কোনও উন্নতি হয়নি ৷ কিছু লোক দেখানো কাজ করে দায় সারেন নেতারা ।"
আরও পড়ুন : Rickshaw pullers facing problem : টোটো-অটোর বাড়-বাড়ন্তে হারিয়ে যাচ্ছে রিকশা
বিরোধীদের কথায় অবশ্য কান দিতে নারাজ পৌর প্রশাসক ৷ পৌরভোটের আগে এসব মন্তব্য করে বিজেপির তরফে উত্তেজনা সৃষ্টি করার চেষ্টা হচ্ছে বলেই মত তাঁর ৷ তিনি বলেছেন, "বৈদ্যবাটি পৌরসভার চার নম্বর ওয়ার্ডে যা কাজ হয়েছে তা অন্য কোনও ওয়ার্ডে হয়নি । তবু বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি খুঁত খুঁজছে ৷ তাই কিছু লোক নিয়ে এসে রাস্তা অবরোধ করছে ৷ ওরা জানে না যে এই রাস্তা তৈরি নিয়ে প্রপোজাল জমা দেওয়া আছে ৷ টাকা এলেই রাস্তার কাজ শুরু হয়ে যাবে ।"