কলকাতা, 21 মার্চ: অয়ন ও শ্বেতার (Ayan Sweta) সম্পর্কে নতুন মোড় ৷ তাদের সম্পর্কের শুরু বলাগর থেকেই । প্রমোটারি ও নিয়োগ কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার আগে অয়ন শীল একজন সাধারণ সরকারি কর্মচারী হিসাবেই কর্মজীবন শুরু করেছিলেন । এই কর্মস্থল থেকেই বান্ধবী শ্বেতার সঙ্গে ধীরে ধীরে সম্পর্কের ডাল-পালা মেলা শুরু হয় অয়নের । তবে একে অপরের ঘনিষ্ঠ হতে সময় যেমন লাগেনি বেশি দিন৷ তেনমই কর্মস্থল থেকে অয়নের বাড়ি পর্যন্ত আসতে শ্বেতা যে আরও কম সময় নিয়েছিল, তা প্রতিবেশিদের কথাতেই স্পষ্ট ৷
অয়ন শীল 2018 সালে পাণ্ডুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে অ্যাসিস্টেন্ট এক্সিকিউটিভ হিসাবে কাজ করত । পরে ডুমুরদহ নিত্যনন্দপুর এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতেও বেশ কিছু দিন কাজ করেন । অয়নের তৎকালীন সহকর্মীরা জানাচ্ছেন, বিলাস বহু গাড়ি করে মাসে চার থেকে পাঁচ দিন মাত্র অফিসে আসতেন অয়ন । সেই অফিস থেকেই আলাপ শ্বেতার সঙ্গে । সহকর্মীরা জানাচ্ছেন, মাঝে মধ্যে শ্বেতা অয়নের সঙ্গে একই গাড়িতে যাতায়াত করত । শেষে অয়ন-শ্বেতার সম্পর্ক এমন জায়গায় পৌঁছোয় যে, জগুদাসপাড়ার আবাসনে এক সময় একসঙ্গে থাকতে শুরু করে তারা ।
শ্বেতা চক্রবর্তী নৈহাটির বাসিন্দা । প্রথমে জিরাট পঞ্চায়েতে ডেটা এন্ট্রির অপারেটরের কাজ করতে । পরবর্তী কালে 2016 সালে ডুমুরদহ নিত্যনন্দপুর পঞ্চায়েতে যোগ দেয় । সেখানেই অয়নের সঙ্গে তার আলাপ । বেশ কিছুদিন একসঙ্গে ছিলেন অয়নের এবিএস টাওয়ারের একটি ফ্ল্যাটে । পরে কামারহাটি পৌরসভায় স্থায়ী পদে কাজ করতেন শ্বেতা । ইডি সূত্রে খবর, অয়নের সঙ্গে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে শ্বেতার নাম আছে । সম্পর্ক যত গভীর হয়েছে অয়নের আরও কাছে এসেছে এই যুবতী । বর্তমানে একটি সিনেমায় অভিনেত্রী ছিলেন শ্বেতা । এটাই সিনেমাই তার প্রথম কাজ বলে জানা গিয়েছে ।
আবাসনের বাসিন্দা বিশ্বনাথ মোদক বলেন, "এক যুবতীকে থাকতে দেখেছি । খুব আধুনিক সাজ পোশাক পড়ত । যুবতী বেশ কিছুদিন এখানে ছিল । কিন্তু অয়নের গেস্ট যারা, তাদের সঙ্গে কথা বলতে আমাদের অস্বস্তি হত ।" বিশ্বনাথবাবু আরও জানান, একটা প্রোজেক্টের জন্য অয়নকে বিশ্বাস করে তিনি 20 লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন । কিন্তু এবিএস টাওয়ারের কাজ শুরু হওয়ায় সেই প্রজেক্ট বাতিল হয় । এখনও তিন লক্ষ টাকা অয়নের থেকে পাবেন বলে দাবি করেছেন তিনি ।
আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতিতে দ্বিতীয় সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট পেশ ইডি'র, নাম রয়েছে কুন্তলের
ডুমুরদহ নিত্যনন্দপুর এক নম্বর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান শ্যামাপ্রসাদ রায় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "অয়ন শীল পঞ্চায়েতের কর্মী হলেও কাজকে গুরুত্ব দিতেন না । মাসে কয়েকদিন আসতেন এক ঘন্টা থেকে চলে যেতেন । সেই কারণে বলাগড় বিডিওকে লিখিত অভিযোগও জানাই । 2020 সালে পদত্যাগ করে কাজ থেকে । এর পর আর কোন সম্পর্ক নেই আমাদের সঙ্গে ।"