আরামবাগ, 22 জুলাই: দিল্লিতে লকেট চট্টোপাধ্যায়ের চোখে জল! এদিকে হুগলিতেও কান্নায় ভেঙে পড়লেন তৃণমূলের লোকসভা সাংসদ অপরূপা পোদ্দার ৷ তিনি কাঁদতে কাঁদতে জানান, পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির মহিলা সাংসদরা সুরক্ষিত ৷ তবে বাংলার তৃণমূল সাংসদরা ত্রিপুরায় সুরক্ষিত নন ৷ শুক্রবার এভাবেই বিজেপির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়কে পালটা আক্রমণ করলেন তৃণমূল সাংসদ অপরূপা পোদ্দার ৷
21 জুলাই ছিল তৃণমূলের শহিদ দিবসের সমাবেশ ৷ অন্যদিকে, দেশজুড়ে মণিপুর বিতর্কে আগুন জ্বলছে ৷ শুক্রবার দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করে পাঁচলার বিজেপির মহিলা প্রার্থীকে নির্যাতনের ঘটনা তুলে ধরেন হুগলির সাংসদ ৷ ধর্মতলায় শহিদ দিবসের মঞ্চ থেকে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, বাংলার বদনাম বরদাস্ত করা হবে না ৷
এদিন অপরূপা বলেন, "ত্রিপুরায় পৌরসভা নির্বাচনের সময় আমি এবং দোলা সেন গিয়েছিলাম ৷ তখন জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পর পুলিশ ও গুন্ডাবাহিনী আমাদের প্রাণে মেরে ফেলবার চেষ্টা করেছিল ৷" এরপর লকেট চট্টোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে সাংসদের প্রশ্ন, আজ যাঁরা বড় বড় কথা বলছেন ৷ তাঁরা সেদিন কোথায় ছিলেন ?
আরও পড়ুন: 'মমতা নারী নির্যাতনকে ছোট ঘটনা বলেন', বাংলা নিয়ে বলতে গিয়ে চোখে জল লকেটের
এর পাশাপাশি তৃণমূল সাংসদের কথায় উত্তরপ্রদেশের হাথরাসে গণধর্ষণ থেকে শুরু করে ওড়িশার বালেশ্বরে ট্রেন দুর্ঘটনার প্রসঙ্গও উঠে আসে ৷ অপরূপার অভিযোগ, লকেট চট্টোপাধ্যায় বিজেপি সাংসদ থাকাকালীনই হাথরাসে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে ৷ এমনকী নির্যাতিতার গায়ে পেট্রল ঢেলে পুড়িয়ে মেরে ফেলা হয়েছিল ৷ তখন কোথায় ছিল বিজেপি নেত্রীর মানবিকতা?
অপরূপার দাবি, ওড়িশার বালেশ্বরে ট্রেন দুর্ঘনায় 500 জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে ৷ কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন যাত্রীদের সুরক্ষা নিয়ে আলাদা বন্দোবস্ত করেছিলেন ৷ বিজেপি জমানায় সে সব নেই ৷ তাই এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ৷ তখনও কেউ কোনও মানবিকতা দেখায়নি বলে ৷ তাঁর কথায়, "একজন মহিলা হয়ে আপনি (লকেট) আরেকজন মহিলার নামে মিথ্যা কথা বলছেন ! বাঙালি হিসেবে আপনার গর্বিত হওয়া উচিত ৷ আপনি পশ্চিমবঙ্গে সুরক্ষিত মহিলা সাংসদ ৷"
আরও পড়ুন: বিরোধী নেতারা রাজি হলে মুখ্যমন্ত্রীদের প্রতিনিধি দল নিয়ে মণিপুর যেতে চান মমতা
ত্রিপুরায় তৃণমূলের প্রতিনিধি দল যাওয়া প্রসঙ্গে অপরূপা বলেন, "আমরা পশ্চিমবঙ্গের সাংসদরা ত্রিপুরায় গেলে সুরক্ষিত নই । ভোটের দিন সেখানে সিসি ক্যামেরা ছিল ৷ কে চুলের মুঠি ধরেছে, তা জানি ।" বিজেপিকে আক্রমণ করে অপরূপা জানান, বাংলার মহিলারা অনেক সুরক্ষিত ৷ কারণ এখানকার মুখ্যমন্ত্রীর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ কিন্তু দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অথবা কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি কেউই এখনও মণিপুরে যাননি। তাঁদের সেখানে অবশ্যই যাওয়া উচিত ৷