ব্যান্ডেল, 19 এপ্রিল: বিষধর হোক বা নির্বিষ - সাপ দেখলেই মেরে ফেলার প্রবণতা থাকে অধিকাংশ মানুষের । তাই শুধু প্রচার ও সচেতন করাই নয়, ব্যান্ডেলের চন্দন ক্লেমেন্ট সিং সর্পকূলকে রক্ষা করার জন্য নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ৷ তিনি লোকালয়ে সাপ (Animal lover helps to keep snakes alive) ঢুকলেই তাকে উদ্ধার করতে ছুটে যান । সেই প্রাণীর চিকিৎসার প্রয়োজন হলে সে সব কিছু করার পর তাকে নিরাপদ স্থানে ছেড়ে দেওয়ার ব্যবস্থাও করেন । এখনও পর্যন্ত কয়েকশো সাপ উদ্ধার করেছেন তিনি (snake is a part of ecosystem)। তা করতে গিয়ে দু'বার চন্দ্রবোড়ার ছোবলও খেয়েছেন । তবে লক্ষ্য থেকে সরে যাননি চন্দন ৷
লোকালয়ে সাপ দেখলেই ডাক পড়ে চন্দনের (Hooghly news)। তৎক্ষণাৎ তিনি বাইক নিয়ে বেরিয়ে যান তাঁর সাপ ধরার সরঞ্জাম নিয়ে । শুধু সাপ নয়, পশুপ্রেমী এই মানুষটি পাখি, বক, বানর-সহ নানা পশুপাখি উদ্ধার করেন । তাদের পরিচর্যার জন্য বাড়িতে রাখার ব্যবস্থাও করেছেন । কিন্তু তা পর্যাপ্ত নয় । সঠিক পরিকাঠামো দরকার । বাগান করা, প্রাকৃতিক পরিবেশে পশুপাখিদের ঘর তৈরি করা, প্রজাপতির জন্য বিশেষ পরিবেশ তৈরি করা - এসব নিয়েই মেতে থাকেন চন্দন ৷
আরও পড়ুন: Cobra Snake Fight : এলাকা নিয়ে দুই বিষধরের লড়াই; আতঙ্কে পরিবার
সাপের প্রতি ভালোবাসা থেকে এই কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি । সেই দেখেই তাঁর মেয়েরও সাপের প্রতি ভালোবাসা বেড়েছে । এখনই সে বিষবিহীন সাপ ধরা ও তার চিকিৎসা করার প্রশিক্ষণ নিচ্ছে বাবার কাছে । এই পরিবারের একটাই আর্জি, পরিবেশ রক্ষায় সাপকে না মেরে বাঁচিয়ে রাখতে হবে ৷ না হলে প্ৰাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যাবে ।
চন্দনের কথায়, জমিতে কীটনাশক দেওয়ার ফলে সাপের খাবারে বিষক্রিয়ায় বহু সাপের মৃত্যু হচ্ছে । যাঁরা সাপ ভালোবাসেন, সেই সর্পবন্ধুদের তিনি প্রশিক্ষিত করার চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে জানালেন তিনি । বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ সরকার এবং আরজিকর ফরেনসিক মেডিসিন টক্সিকোলজির উদ্যোগে একটা অ্যাপ তৈরি হচ্ছে । সেখানে সর্পবন্ধুদের নাম ঠিকানা যুক্ত করা হচ্ছে । বিভিন্ন সাপের পরিচিতি সম্বন্ধেও কিছু তথ্য তিনি দিয়েছেন সেই অ্যাপে । তাঁর একটাই আবেদন, সাপেদের রক্ষা করতে বন দফতরের এগিয়ে আসা উচিত । সে ক্ষেত্রে যাঁরা পশুপ্রেমী তাঁদের কাজে লাগানো উচিত সরকারের (snake is a part of ecosystem)৷
আরও পড়ুন: Snake Bite : গৃহস্থ বাড়ি থেকে সাপ ধরতে গিয়ে ছোবলে মৃত সর্পপ্রেমী