ETV Bharat / state

জেলা পরিষদ সদস্যার বাড়িতে হামলার অভিযোগ প্রধানের বিরুদ্ধে - জেলা পরিষদ সদস্য শম্পা দাস

আমফানে ভেঙে পড়া গাছ বিনা টেন্ডারে বিক্রি করে দিয়েছেন এলাকার পঞ্চায়েত প্রধান৷ অভিযোগ শাসক দলেরই জেলা পরিষদ সদস্যার৷ অভিযোগ তোলায় তাঁর বাড়িতে পঞ্চায়েত প্রধান লোক দিয়ে হামলা করিয়েছেন বলেও অভিযোগ করছেন জেলা পরিষদ সদস্যা শম্পা দাস৷

allegation attack district council member
জেলা পরিষদ সদস্য শম্পা দাস৷
author img

By

Published : Jun 13, 2020, 12:51 AM IST

হুগলি, 12 জুন: আমফানে ভেঙে পড়া গাছ বিনা টেন্ডারে বিক্রি করে দেওয়া নিয়ে অন্তর্দ্বন্দ্ব তৃণমূলে৷ দলের নেতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় জেলা পরিষদের সদস্যার বাড়িতে হামলা করা হয়েছে বলে অভিযোগ৷ জেলা পরিষদ সদস্যা শম্পা দাস অভিযোগ তুললেন আশুতোষ গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সুমিত সরকারের বিরুদ্ধে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পঞ্চায়েত প্রধান৷ অন্যদিকে, এই বিষয়ে উচ্চ নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানালেন হুগলি তৃণমূল জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব৷

শম্পা দাস জানান, ঘটনার সূত্রপাত আমফান ঝড়ে পড়ে যাওয়া গাছ বিনা টেন্ডার বিক্রি করে দেওয়া নিয়ে৷ শম্পাদেবীর অভিযোগ, এই কাজ করেন স্থানীয় কিছু তৃণমূল নেতাই। তাঁর আরও অভিযোগ, গাছ বিক্রির বিরুদ্ধে সরকারি দপ্তরে অভিযোগ করায় তাঁর উপর চড়াও হয় দলের লোকারাই৷ দু'দিন আগে ব্লক অফিসে ডেকে নিয়ে গিয়ে ঘণ্টা খানেক ধরে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়। জেলা পরিষদ সদস্যা শম্পা দাসের চাঞ্চল্যকর অভিযোগ, হরিপাল বিধায়ক বেচারাম মান্না সহ ব্লক নেতৃত্ব থেকে নিদান দেওয়া হয়, দলের বিরুদ্ধে মুখ খোলার জন্য তাঁকে ক্ষমা চাইতে হবে৷ পাশাপাশি এই বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমের সামনে মুখ খোলা যাবে না বলেও জানানো হয়। এছাড়াও সরকারি কোনও অনুসন্ধান হলে তিনি ভুল অভিযোগ করেছেন বলে স্বীকার করতে হবে তাঁকে৷ এরপরই গতকাল শম্পা দাস মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর, হুগলি জেলা অবজার্ভার ফিরহাদ হাকিম এবং তৃণমূল হুগলি জেলা সভাপতি দিলীপ যাদবের কাছে লিখিত অভিযোগ জানান৷ এবং আজ তাঁর বাড়িতে হামলা চালানো হয়।

শম্পাদেবী জানান, সকালে তৃণমূল নেতা তথা হরিপাল আশুতোষ গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সুমিত সরকারের নেতৃত্বে প্রায় শ'দুয়েক জবকার্ডধারীদের দিয়ে তাঁর বাড়িতে হামলা চালানো হয়৷ বাড়িতে ঢুকে তাঁকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়। তাঁর আরও অভিযোগ, সেই সময় হরিপাল থানায় ফোন করলেও পুলিশ সহযোগিতা করেনি৷ স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের মদতেই দু'দিন আগে তাঁর বাড়ির সামনে গাছ ফেলে রাস্তা অবরুদ্ধ করারও চেষ্টা হয়৷

যদিও পঞ্চায়েত প্রধান সুমিত সরকার তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেন৷ তিনি বলেন, "আজকের ঘটনা সম্পর্কে কিছু জানা নেই৷ তবে, শম্পাদেবী কয়েক দিন ধরেই দল বিরোধী কাজ করছেন। হরিপাল হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় বনসৃজন প্রকল্পের লাগানো গাছ তিনি উপড়ে ফেলে দেন৷ তার ফলেই হয়তো আজকের ঘটনা ঘটেছে।"

এই বিষয়ে হুগলির তৃণমূল জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব বলেন, "শম্পা দাস বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর, হুগলি জেলা অবজার্ভর ফিরহাদ হাকিম এবং আমার কাছে জানিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে দলের উচ্চ নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলব।"

হুগলি, 12 জুন: আমফানে ভেঙে পড়া গাছ বিনা টেন্ডারে বিক্রি করে দেওয়া নিয়ে অন্তর্দ্বন্দ্ব তৃণমূলে৷ দলের নেতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় জেলা পরিষদের সদস্যার বাড়িতে হামলা করা হয়েছে বলে অভিযোগ৷ জেলা পরিষদ সদস্যা শম্পা দাস অভিযোগ তুললেন আশুতোষ গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সুমিত সরকারের বিরুদ্ধে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পঞ্চায়েত প্রধান৷ অন্যদিকে, এই বিষয়ে উচ্চ নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানালেন হুগলি তৃণমূল জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব৷

শম্পা দাস জানান, ঘটনার সূত্রপাত আমফান ঝড়ে পড়ে যাওয়া গাছ বিনা টেন্ডার বিক্রি করে দেওয়া নিয়ে৷ শম্পাদেবীর অভিযোগ, এই কাজ করেন স্থানীয় কিছু তৃণমূল নেতাই। তাঁর আরও অভিযোগ, গাছ বিক্রির বিরুদ্ধে সরকারি দপ্তরে অভিযোগ করায় তাঁর উপর চড়াও হয় দলের লোকারাই৷ দু'দিন আগে ব্লক অফিসে ডেকে নিয়ে গিয়ে ঘণ্টা খানেক ধরে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়। জেলা পরিষদ সদস্যা শম্পা দাসের চাঞ্চল্যকর অভিযোগ, হরিপাল বিধায়ক বেচারাম মান্না সহ ব্লক নেতৃত্ব থেকে নিদান দেওয়া হয়, দলের বিরুদ্ধে মুখ খোলার জন্য তাঁকে ক্ষমা চাইতে হবে৷ পাশাপাশি এই বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমের সামনে মুখ খোলা যাবে না বলেও জানানো হয়। এছাড়াও সরকারি কোনও অনুসন্ধান হলে তিনি ভুল অভিযোগ করেছেন বলে স্বীকার করতে হবে তাঁকে৷ এরপরই গতকাল শম্পা দাস মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর, হুগলি জেলা অবজার্ভার ফিরহাদ হাকিম এবং তৃণমূল হুগলি জেলা সভাপতি দিলীপ যাদবের কাছে লিখিত অভিযোগ জানান৷ এবং আজ তাঁর বাড়িতে হামলা চালানো হয়।

শম্পাদেবী জানান, সকালে তৃণমূল নেতা তথা হরিপাল আশুতোষ গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সুমিত সরকারের নেতৃত্বে প্রায় শ'দুয়েক জবকার্ডধারীদের দিয়ে তাঁর বাড়িতে হামলা চালানো হয়৷ বাড়িতে ঢুকে তাঁকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়। তাঁর আরও অভিযোগ, সেই সময় হরিপাল থানায় ফোন করলেও পুলিশ সহযোগিতা করেনি৷ স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের মদতেই দু'দিন আগে তাঁর বাড়ির সামনে গাছ ফেলে রাস্তা অবরুদ্ধ করারও চেষ্টা হয়৷

যদিও পঞ্চায়েত প্রধান সুমিত সরকার তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেন৷ তিনি বলেন, "আজকের ঘটনা সম্পর্কে কিছু জানা নেই৷ তবে, শম্পাদেবী কয়েক দিন ধরেই দল বিরোধী কাজ করছেন। হরিপাল হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় বনসৃজন প্রকল্পের লাগানো গাছ তিনি উপড়ে ফেলে দেন৷ তার ফলেই হয়তো আজকের ঘটনা ঘটেছে।"

এই বিষয়ে হুগলির তৃণমূল জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব বলেন, "শম্পা দাস বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর, হুগলি জেলা অবজার্ভর ফিরহাদ হাকিম এবং আমার কাছে জানিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে দলের উচ্চ নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলব।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.