জাঙ্গিপাড়া, 3 জানুয়ারি : পাখির চোখ একুশের বিধানসভা নির্বাচন । বিহারের সাফল্যের পর এবার বাংলার নির্বাচনকে লক্ষ্য রেখে ফুরফুরা শরিফে মিম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসি । আজ সকালে হুগলির জাঙ্গিপাড়ার ফুরফুরা শরিফে পীরজ়াদা আব্বাস সিদ্দিকীর সঙ্গে দেখা করেন মিম প্রধান । জানিয়ে দেন, বাংলায় আব্বাস সিদ্দিকির নেতৃত্বে লড়াই করবে তাঁর দল ।
-
At Furfura Sharif, West Bengal in a meeting with Pirzada Abbas Siddiqui sb, Pirzada Naushad Siddiqui sb, Pirzada Baizid Amin sb & Janab Sabir Ghaffar sb pic.twitter.com/lptUX24JnJ
— Asaduddin Owaisi (@asadowaisi) January 3, 2021 " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data="
">At Furfura Sharif, West Bengal in a meeting with Pirzada Abbas Siddiqui sb, Pirzada Naushad Siddiqui sb, Pirzada Baizid Amin sb & Janab Sabir Ghaffar sb pic.twitter.com/lptUX24JnJ
— Asaduddin Owaisi (@asadowaisi) January 3, 2021At Furfura Sharif, West Bengal in a meeting with Pirzada Abbas Siddiqui sb, Pirzada Naushad Siddiqui sb, Pirzada Baizid Amin sb & Janab Sabir Ghaffar sb pic.twitter.com/lptUX24JnJ
— Asaduddin Owaisi (@asadowaisi) January 3, 2021
আজ সকালে কলকাতায় পৌঁছে সোজা ফুরফুরা শরিফে চলে যান মিম প্রধান । সেখানে প্রার্থনার পর আব্বাস সিদ্দিকীর সঙ্গে বৈঠক করেন । বাংলার বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে দু'পক্ষের মধ্যে আলোচনা হয় । সম্প্রতি নিজের দল গড়ার কথা জানিয়েছেন আব্বাস সিদ্দিকী । মিম-এর সঙ্গে জোটের বিষয়ে আসাদউদ্দিন আজ বলেন, "মিম এখন আব্বাস সিদ্দিকীর সঙ্গে রয়েছে । তিনি তাঁর গুরুজনদের দেখানো পথেই চলছেন । আমরা তাঁর নেতৃত্বে কাজ করব, সমর্থন করব । তিনি যা সিদ্ধান্ত নেবেন, মিম তার পাশে আছে । রাজ্যের সর্বত্র আব্বাস সিদ্দিকীকে সমর্থন করবে মিম ।"
আরও পড়ুন : বিধানসভা নির্বাচনের আগে কর্মীসভা মিমের
যদিও 'বহিরাগত' বলে মিম-কে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । মমতা নাম না করে অভিযোগ করেন, "বিজেপি হায়দরাবাদ থেকে দল এনে বাংলা দখলের চেষ্টা করছে ।"
বিধানসভা নির্বাচনের আগে হঠাৎ করেই মিম এ রাজ্যে নিজেদের প্রার্থী দেবে বলে ঘোষণা করেছে ৷ সেই মতো মিমের প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসির বাংলায় রাজনৈতিক সভা করার কথা রয়েছে ৷ এমনকি রাজ্যের সংখ্যালঘু মুসলমান ভোট টানতে বিভিন্ন সংখ্য়ালঘু সংগঠনের সঙ্গেও তারা যোগাযোগ শুরু করেছে ৷ যারপর থেকেই গুঞ্জন শুরু হয়েছে, বিহার নির্বাচনের মতো এ রাজ্য়েও মিম সংখ্য়ালঘু ভোটে ভাগ বসিয়ে বিজেপির সুবিধা করে দিতে পারে ।
যদিও মিমের 'উত্থান' নিয়ে তৃণমূল-বিজেপি বা বাম-কংগ্রেস কেউ-ই তেমন গুরুত্ব দিতে রাজি নয় । তৃণমূলের দাবি, রাজ্য়ে মিমের শীর্ষ স্তরে ভাঙন ধরতে শুরু করেছে । যার শুরুটা হয়েছিল 23 নভেম্বর । সেদিন রাজ্য়ে মিমের শীর্ষনেতা আনোয়ার শাহ-সহ একাধিক সদস্য় তৃণমূলে যোগদান করেন । তৃণমূলে যোগ দিয়ে আনোয়ার শাহ জানিয়েছিলেন, সাম্প্রদায়িক ভেদাভেদের ঊর্ধ্বে, তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্য়োপ্য়ায়ের সঙ্গে কাজ করতে চান তিনি । এর পর রাজ্য়ে মিমের যুব সংগঠনের সভাপতি-সহ মোট 30 জন তৃণমূলে যোগ দেন । তৃণমূলে যোগ দিয়ে মহম্মদ শফিউল্লাহ খান জানিয়েছিলেন, যে কোনওভাবে রাজ্য়ে বিজেপিকে আটকানোই তাঁদের লক্ষ্য় । আর সেই লক্ষে পৌঁছাতে লংখ্য়ালঘু মুসলিম ভোট তাঁরা ভাগ হতে দিতে চান না । আর এখানেই কিছুটা স্বস্তি পাচ্ছে রাজ্য়ের শাসক দল ।
রাজ্য়ের সংখ্য়ালঘু বিভিন্ন সংগঠন চায় না বিজেপি এ-রাজ্য়ে ক্ষমতায় আসুক । আর সেক্ষেত্রে বিজেপিকে আটকাতে পারে একমাত্র তৃণমূল কংগ্রেস । তবে, মিম যদি এ-রাজ্য়ে নিজেদের সামান্য় প্রভাব ফেলতে পারে, তবে আসন্ন বিধানসভায় বেশ কিছুটা সংখ্য়ালঘু ভোট তারা ভাঙিয়ে নেবে । যা আদতে বিজেপির সুবিধা করে দেবে ।