চুঁচুড়া, 13 অক্টোবর : স্বামী বিবেকানন্দ প্রথম মুসলিম মেয়ের কুমারী পুজো করেছিলেন। সেই আদর্শের পথ ধরেই কুমারী পুজো হয়ে আসছে চুঁচুড়া ঝিঙেপাড়ার সারদা রামকৃষ্ণ সেবাশ্রম। মহাষ্টমীতে বছর আটেকের সাহেবা খাতুন কুমারী রূপে এবার পূজিত হল সেখানে। গত চার বছর ধরে তাঁর বড় দিদিকেও কুমারী রূপে পেয়েছে ঝিঙেপাড়ার সারদা রামকৃষ্ণ সেবাশ্রম।
কুমারীর মধ্যেই দুর্গা থাকেন। হিন্দুশাস্ত্র মতে, মুনি-ঋষিরা কুমারীর মধ্যে প্রকৃতি দেখতেন, আর প্রকৃতি মানেই নারী। সেই কুমারীতে মা দুর্গার আবির্ভাব হয়। বেলুড় মঠে স্বামী বিবেকানন্দ কুমারী পুজো শুরু করেছিলেন ৷ বেলুড় মঠ ও শাখাগুলিতে কুমারী পুজো হয় মহাষ্টমীতে ।
আরও পড়ুন : শক্তিরূপেন সংস্থিতা ; মালদায় কন্যাশ্রী, যুবশ্রী সহযোগে দশভুজা মমতা
চুঁচুড়া মঠের মহারাজ স্বামী দুর্গাত্মানন্দ মহারাজ বলেন, "আমরা রামকৃষ্ণের মতে পুজো করি। তাই ধর্মের বিভেদ করি না। আমরা তাঁর অনুগামী। যারা বলেন ব্রাহ্মণের মেয়ে ছাড়া কুমারী পূজা হয় না, তারা পুরোহিত তত্ত্বের কথা ব্যবসায়িক দৃষ্টিতে বলে থাকেন। কিন্তু চণ্ডীকথা অনুযায়ী বিবেকানন্দ প্রথম কাশ্মীরে মুসলিম মেয়েকে কুমারী হিসেবে পুজো করেন। কুমারীকে মা দুর্গার প্রতীক হিসেবে পুজো করা হয়। জগতের সমস্ত মহিলারাই মা দুর্গার প্রতীক। শ্রীরামকৃষ্ণ ছিলেন সকল ধর্মের যোগসূত্রধর ৷ তিনি বলে গেছেন, 'যত মত তত পথ।' অষ্টমীর কুমারী মেয়েটি মুসলিম একটি মেয়ে ৷ সে মুসলিম ধর্মের হতে পারে । কিন্তু সে আমাদের কাছে মা। মৃন্ময়ী প্রতিমা চিন্ময়ী রূপ হিসেবে আমরা পুজো করে আসছি।"