ETV Bharat / state

36-এর ইরাকে বিয়ে করে একাকিত্ব থেকে মুক্তি চান 72-এর অধ্যাপক

লকডাউন তাঁকে একাকিত্বের জ্বালা বুঝিয়েছে ৷ তাই স্ত্রীর মৃত্যুর পর দ্বিতীয়বার বিয়ের করলেন শ্রীরামপুরের বাসিন্দা 72 বছর বয়সী সমরেন্দ্রনাথ ঘোষ ৷

একাকীত্ব থেকে মুক্তি, বয়সের বাঁধ ভেঙে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ শ্রীরামপুরের বৃদ্ধ
একাকীত্ব থেকে মুক্তি, বয়সের বাঁধ ভেঙে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ শ্রীরামপুরের বৃদ্ধ
author img

By

Published : Aug 13, 2020, 9:00 AM IST

Updated : Aug 13, 2020, 10:23 AM IST

শ্রীরামপুর, 13 অগাস্ট: স্ত্রী গত হয়েছেন ৷ একমাত্র মেয়ে থাকেন বিদেশে ৷ একা থাকলেও বিপদ আপদে, প্রয়োজনে আত্মীয়-পরিজন, প্রতিবেশীদের পাশে পেয়েছেন ৷ কিন্তু লকডাউনের সময় শ্রীরামপুরের বাসিন্দা সত্তরোর্ধ্ব সমরেন্দ্রনাথ ঘোষের পাশে কেউ ছিল না ৷ লকডাউন শিথিল হতেই একাকিত্ব কাটাতে ও শেষ বয়সে কাউকে পাশে রাখার জন্য সিদ্ধান্তটা নিয়েই ফেললেন ৷ ব্যঙ্গ-বিদ্রুপের তোয়াক্কা না করেই দ্বিতীয়বার বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক 72 বছর বয়সী সমরেন্দ্রনাথ ঘোষ । পাত্রী রিষড়ার ইরা রায় ৷

শ্রীরামপুরের বড় বাগানের বাসিন্দা সমরেন্দ্রনাথবাবু 2008 সালে অবসর নেন । বর্তমানে একটি বেসরকারি B.ed ক‌লেজের অধ্যক্ষ তিনি । প্রথম স্ত্রী বেশ কয়েক বছর আগে মারা গেছেন । একমাত্র মেয়ে বিদেশে থাকেন । বিয়ের ইচ্ছা প্রকাশ করে কয়েক মাস আগে সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপ‌ন দেন । সেই সূত্রেই রিষড়ার বাসিন্দা ইরা রায়ের সঙ্গে সম্বন্ধ হয় । গত 27 জুলাই রেজিস্ট্রি বিয়ে হয় । সোমবার শ্রীরামপুরের ফ্ল্যাটে দুই পরিবারের উপস্থিতিতে সামাজিক অনুষ্ঠানে মাধ্যমে সমরেন্দ্রনাথ ও ইরার দুই হাত এক হয়েছে ।

কাজের মধ্যেই দিন কাটছিল সমরেন্দ্রনাথের । কিন্তু লকডাউনে বুঝতে পারেন তিনি কতটা একা । খাওয়া দাওয়া সমস্যার জন্য অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন । তাই সব কিছুর উর্ধ্বে গিয়ে এই সিদ্ধান্ত । এদিকে বাবার মৃত্যুর পর ইরা রায় মাকে নিয়ে রিষড়ায় থাকতেন । কলকাতায় বেসরকারি সংস্থায় কাজ করলেও লকডাউনে কাজ হারিয়েছেন । এই পরিস্থিতিতে কাগজে বিয়ের বিজ্ঞাপন দেখে যোগাযোগ করতে দেরি করেননি ৷ রেজিস্ট্রির পর মালাবদল, সিঁদুর দান করে বিবাহ সম্পন্ন হয় । দুটি বাড়ির আত্মীয়-স্বজন নিয়ে খাওয়া দাওয়ার আয়োজন ছিল ফ্ল্যাটেই ।

বাহাত্তর বছর বয়সে বিয়ের পিঁড়িতে সমরেন্দ্রনাথ ঘোষ
বাহাত্তর বছর বয়সে বিয়ের পিঁড়িতে সমরেন্দ্রনাথ ঘোষ

সমরেন্দ্রনাথবাবু বলেছেন, "জীবনে একাকিত্ব চেপে বসেছিল । স্ত্রীর মৃত্যুর পর কোনও পথ খুঁজে পাচ্ছিলাম না । জানি অনেক কটূ কথা শুনতে হবে । কিন্তু এই বয়সে জীবন কাটানোর জন্য সঙ্গীর প্রয়োজন । সেই মতো বিজ্ঞাপন দিয়ে ইরার সম্বন্ধ আসে । এই বিয়েতে ইরা খুশি আর আমি একটু স্বস্তি পাব । বাকি জীবনটা আমার পেনশনে ভালোভাবেই চলে যাবে । ইরার ভবিষ্যতে আর কোনও অসুবিধা হবে না ।" 36 বছরের নববধূ ইরা রায় বলেছেন, "ওনার সঙ্গে বয়সের পার্থক্য থাকলেও কোনও অসুবিধা থাকবে না । আশা করি দাম্পত্য জীবন সুখের হবে । ভেবেছিলাম বাকি জীবনটা মা মেয়েতে কাটিয়ে দেব । কিন্তু এমন শিক্ষিত ও আধুনিক চিন্তার মানুষ পেয়ে সিদ্ধান্ত বদল করেছি ।"

কুকথা শুনতে হলেও আবার অনেকের সাধুবাদ পেয়েছেন সমরেন্দ্রবাবু ।

শ্রীরামপুর, 13 অগাস্ট: স্ত্রী গত হয়েছেন ৷ একমাত্র মেয়ে থাকেন বিদেশে ৷ একা থাকলেও বিপদ আপদে, প্রয়োজনে আত্মীয়-পরিজন, প্রতিবেশীদের পাশে পেয়েছেন ৷ কিন্তু লকডাউনের সময় শ্রীরামপুরের বাসিন্দা সত্তরোর্ধ্ব সমরেন্দ্রনাথ ঘোষের পাশে কেউ ছিল না ৷ লকডাউন শিথিল হতেই একাকিত্ব কাটাতে ও শেষ বয়সে কাউকে পাশে রাখার জন্য সিদ্ধান্তটা নিয়েই ফেললেন ৷ ব্যঙ্গ-বিদ্রুপের তোয়াক্কা না করেই দ্বিতীয়বার বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক 72 বছর বয়সী সমরেন্দ্রনাথ ঘোষ । পাত্রী রিষড়ার ইরা রায় ৷

শ্রীরামপুরের বড় বাগানের বাসিন্দা সমরেন্দ্রনাথবাবু 2008 সালে অবসর নেন । বর্তমানে একটি বেসরকারি B.ed ক‌লেজের অধ্যক্ষ তিনি । প্রথম স্ত্রী বেশ কয়েক বছর আগে মারা গেছেন । একমাত্র মেয়ে বিদেশে থাকেন । বিয়ের ইচ্ছা প্রকাশ করে কয়েক মাস আগে সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপ‌ন দেন । সেই সূত্রেই রিষড়ার বাসিন্দা ইরা রায়ের সঙ্গে সম্বন্ধ হয় । গত 27 জুলাই রেজিস্ট্রি বিয়ে হয় । সোমবার শ্রীরামপুরের ফ্ল্যাটে দুই পরিবারের উপস্থিতিতে সামাজিক অনুষ্ঠানে মাধ্যমে সমরেন্দ্রনাথ ও ইরার দুই হাত এক হয়েছে ।

কাজের মধ্যেই দিন কাটছিল সমরেন্দ্রনাথের । কিন্তু লকডাউনে বুঝতে পারেন তিনি কতটা একা । খাওয়া দাওয়া সমস্যার জন্য অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন । তাই সব কিছুর উর্ধ্বে গিয়ে এই সিদ্ধান্ত । এদিকে বাবার মৃত্যুর পর ইরা রায় মাকে নিয়ে রিষড়ায় থাকতেন । কলকাতায় বেসরকারি সংস্থায় কাজ করলেও লকডাউনে কাজ হারিয়েছেন । এই পরিস্থিতিতে কাগজে বিয়ের বিজ্ঞাপন দেখে যোগাযোগ করতে দেরি করেননি ৷ রেজিস্ট্রির পর মালাবদল, সিঁদুর দান করে বিবাহ সম্পন্ন হয় । দুটি বাড়ির আত্মীয়-স্বজন নিয়ে খাওয়া দাওয়ার আয়োজন ছিল ফ্ল্যাটেই ।

বাহাত্তর বছর বয়সে বিয়ের পিঁড়িতে সমরেন্দ্রনাথ ঘোষ
বাহাত্তর বছর বয়সে বিয়ের পিঁড়িতে সমরেন্দ্রনাথ ঘোষ

সমরেন্দ্রনাথবাবু বলেছেন, "জীবনে একাকিত্ব চেপে বসেছিল । স্ত্রীর মৃত্যুর পর কোনও পথ খুঁজে পাচ্ছিলাম না । জানি অনেক কটূ কথা শুনতে হবে । কিন্তু এই বয়সে জীবন কাটানোর জন্য সঙ্গীর প্রয়োজন । সেই মতো বিজ্ঞাপন দিয়ে ইরার সম্বন্ধ আসে । এই বিয়েতে ইরা খুশি আর আমি একটু স্বস্তি পাব । বাকি জীবনটা আমার পেনশনে ভালোভাবেই চলে যাবে । ইরার ভবিষ্যতে আর কোনও অসুবিধা হবে না ।" 36 বছরের নববধূ ইরা রায় বলেছেন, "ওনার সঙ্গে বয়সের পার্থক্য থাকলেও কোনও অসুবিধা থাকবে না । আশা করি দাম্পত্য জীবন সুখের হবে । ভেবেছিলাম বাকি জীবনটা মা মেয়েতে কাটিয়ে দেব । কিন্তু এমন শিক্ষিত ও আধুনিক চিন্তার মানুষ পেয়ে সিদ্ধান্ত বদল করেছি ।"

কুকথা শুনতে হলেও আবার অনেকের সাধুবাদ পেয়েছেন সমরেন্দ্রবাবু ।

Last Updated : Aug 13, 2020, 10:23 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.