চন্দননগর, 8 নভেম্বর: রাস্তায় দু'ধারে সারি সারি প্রদীপ ৷ মাটির নয়, সেগুলি আলোর প্রদীপ ৷ সেই রাস্তা পেরিয়ে প্রবেশ করতে হবে রাম মন্দিরে ৷ আগামী বছর জানুয়ারি মাসে উদ্বোধন হতে চলেছে অযোধ্যার রাম মন্দিরের ৷ তার আগে চন্দননগরের অপরূপ আলোয় সেজে উঠল রাম মন্দিরের সামনের পাঁচ কিলোমিটার রাস্তা ৷ দীপাবলি ও ধনতেরাস উপলক্ষে এই আয়োজন ৷ তবে শুধু রাম মন্দির নয়, অযোধ্যা থেকে 270 কিলোমিটার দূরে চিত্ৰকূটের রাস্তাও আলোকিত হচ্ছে চন্দননগরের আলোয় ৷ এই আলোর বাজেট 70 থেকে 80 লক্ষ টাকা ৷
জানা গিয়েছে, দীপাবলি ও ধনতেরাস উপলক্ষে রাম মন্দিরে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ থেকে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ । তাই তার আগে জোরকদমে চলছে প্রস্তুতি । এর জন্য চন্দননগরের শিল্পীরা দিন রাত এক করে আলো লাগাতে ব্যস্ত । রামমন্দিরের রাস্তায় আলো লাগানোর অর্ডার পেয়েছেন চন্দননগরের আলোক শিল্পী মনোজ সাহা ।
তিনি বলেন, "রাম মন্দিরের আদলে আলো তৈরি করা হয়েছে । যার উপর রামের ছবি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে । অযোধ্যা ও চিত্ৰকূটের মন্দিরের আশেপাশের রাস্তায় লাগানো হয়েছে এই আলোগুলি । চন্দননগর থেকে আমি একাই ওখানে আলো লাগাছি । অযোধ্যা ও চিত্ৰকূট মিলিয়ে যে আলো পাঠানো হয়েছে তার বাজেট 70 থেকে 80 লক্ষ টাকা হবে । নকশার আলোর গেটের উপরে রামের প্রতিকৃতি তৈরি করা হয়েছে । রামের সঙ্গে লক্ষণ, সীতা ও হনুমানকেও ফুটিয়ে তোলা হয়েছে । 2024 সালের জানুয়ারিতে রামমন্দির উদ্বোধন হবে । এর মধ্যেই সেখানে আলোর কাজের টেন্ডার হবে । সেটা হলেই রামমন্দিরে কাজের জন্য প্রস্তুত আছি ৷ সেইমতো কথাও হয়ে গিয়েছে ।"
আলোকসজ্জার কথা বললেই সবার প্রথমে মাথায় আসে চন্দননগরের নাম ৷ কারণ এখানকার আলোকসজ্জা জগৎ খ্যাত ৷ সেই চন্দননগরের আলোর খেলা এবার দেখা যাবে উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যার রাম মন্দিরের রাস্তায় ৷ বাইরে থেকে মন্দিরের দিকে যেতে গেলে চোখে পড়বে এই আলো ৷ যাতে ফুটে উঠেছে রামের কাহিনী ৷ মন্দির ঢোকার আগে রাস্তার দু'পাশে লাইটের গেট ও লাইটের বোর্ড লাগানো হয়েছে ।
আরও পড়ুন: 24-এর লোকসভা ভোটের মুখে ভক্তদের জন্য খুলবে রাম মন্দির
পুরাণ অনুযায়ী, রাম সীতা বনবাসে যাওয়ার সময় চিত্ৰকূটে ছিলেন । তাই অযোধ্যার মতো চিত্রকূট ধামও সমান গুরুত্বপূর্ণ । এই স্থানে যাওয়ার রাস্তাও চন্দননগরের আলো দিয়ে সাজানো হয়েছে । দুই জায়গায় চন্দননগরের আলোয় ফুটে উঠেছে রাম মন্দির ও রামের ছবি । সেই সঙ্গে লক্ষণ, সীতা ও হনুমানের ছবিও আলোর মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে । এছাড়াও বিভিন্ন সুন্দর আলোর নকশা দিয়ে সাজানো হচ্ছে মন্দির প্রবেশের আগের অংশ, যা দেখে মুগ্ধ হচ্ছেন দর্শনার্থীরা ।