দার্জিলিং, 29 জুন: ভোট পরবর্তী হিংসার আশঙ্কা ! নির্বাচনের পরেও রাখা হোক কেন্দ্রীয় বাহিনী । এই দাবি জানিয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের দ্বারস্থ হলেন তৃণমূল কংগ্রেস বিরোধী মহাজোট ইউনাইটেড গোর্খা অ্যালায়েন্সের প্রতিনিধিরা ৷ রাজ্যপাল বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন ৷ তিনি বলেছেন, ‘‘আমি গ্রাউন্ড জিরো রাজ্যপাল । আমার দায়িত্ব হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করানোর । মানুষ যাতে নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারে তাই নিশ্চিত করা । সেটাই আমি করব ।’’
বৃহস্পতিবার সকালে ইউনাইটেড গোর্খা অ্যালায়েন্সের আট জন সদস্যের এক প্রতিনিধি দল শিলিগুড়ি স্টেট গেস্ট হাউজে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে স্মারকলিপি তুলে দেয় । প্রতিনিধি দলে ছিলেন দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তা, বিধায়ক নীরজ জিম্বা, অখিল ভারতীয় গোর্খা লিগের সভাপতি প্রতাপ খাতি-সহ অন্যান্যরা ।
আরও পড়ুন: এক দফাতেই ভোট, স্পর্শকাতর এলাকায় যাবেন পরিদর্শনে; শিলিগুড়িতে জানালেন রাজ্যপাল
রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বক্তব্য: এ দিন রাজ্যপাল সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, "রাজ্যে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করানোর নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট । এরপরেও বেশকিছু জায়গায় সন্ত্রাসের রাজনীতি, খুনের রাজনীতি চলছে । রাজু বিস্তারাও জানালেন, পাহাড়ে নাকি তাঁদের প্রার্থীদের প্রচার করতে দেওয়া হচ্ছে না । অনেককে মনোনয়ন জমা পর্যন্ত করতে দেওয়া হয়নি । তাঁরা আমাকে একটি অডিয়ো শুনিয়েছেন, যাতে স্পষ্ট শোনা যাচ্ছে যে স্থানীয় এক নেতা প্রার্থীদের হুমকি দিচ্ছেন ।’’
রাজ্যপাল আরও বলেন, ‘‘যখন হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করানোর । তখন এসব মেনে নেওয়া যায় না । আমি গ্রাউন্ড জিরো রাজ্যপাল । নিজের সন্তুষ্টির জন্য বিভিন্ন জায়গায় গিয়েছি । আক্রান্তের সঙ্গে কথা বলেছি । আমার দায়িত্ব হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করানোর । মানুষ যাতে নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারে, সেটাই নিশ্চিত করা । সেটাই আমি করব। রাজুরা আবেদন করেছেন নির্বাচন শেষ হলেই যাতে কেন্দ্রীয় বাহিনী সরানো না হয় । ওরা নির্বাচন পরবর্তী হিংসা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন । বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা হবে ।"
আরও পড়ুন: বিজেপির কার্যালয় পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ, কাঠগড়ায় তৃণমূল
দার্জিলিংয়ের সাংসদ বিজেপির রাজু বিস্তার বক্তব্য: রাজু বিস্তা বলেন, "পাহাড়ে সন্ত্রাসের আশঙ্কা রয়েছে । ভোট পরবর্তী হিংসার আশঙ্কা করছি আমরা । সেই কারণে নির্বাচনের পরেও যাতে অন্তত ছয় সপ্তাহ কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রাখা হয়, সেই দাবি জানানো হয়েছে । কারণ, পুলিশ ও প্রশাসন তৃণমূল কংগ্রেসের বর্ধিত ক্যাডারের কাজ করছে ।"