শিলিগুড়ি, ২9 নভেম্বর : করোনা আবহে গোটা রাজ্যের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো বৃদ্ধিতে জোর দিচ্ছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর ৷
যেকোনও ধরনের ভাইরাস ঘটিত রোগের নমুনা পরীক্ষার জন্য উত্তরবঙ্গের সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে অনেকাংশে ভরসা করতে হয় কলকাতার নাইসেড বা ট্রপিক্যাল মেডিসিনের মতো সংস্থাগুলির উপর ৷ এর ফলে একদিকে যেমন চিকিৎসা পদ্ধতির গতি অনেকটাই কমে, অন্যদিকে জরুরী পরিস্থিতিতেও নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট আসতেও অনেকটা সময় লেগে যায় ৷ ফলে অপেক্ষা করতে হয় রোগী ও চিকিৎসকদের ৷
সেই সমস্যার সমাধানে এবার উত্তরবঙ্গে নাইসেড এবং স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিন, এই দুই প্রতিষ্ঠানের ইউনিট খোলার উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর (unit of niced and tropical medicine will be set up in north bengal) । এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সঙ্গে প্রাথমিক কথা বলেছেন স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা ৷ মনে করা হচ্ছে উত্তরবঙ্গে এই দুই প্রতিষ্ঠানের ইউনিট তৈরি হলে চিকিৎসা পরিষেবা আরও উন্নত হবে ৷
আরও পড়ুন : Udayan Guha on BSF : গ্রামে গ্রামে ঘুরছে কেন বিএসএফ, 2024-এর প্রস্তুতি, ফের বিতর্ক উস্কে দিলেন উদয়ন
এই বিষয়ে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান তথা শিলিগুড়ির পৌর প্রশাসক গৌতম দেব বলেন, "এর আগে নাইসেডের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে খোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল কিন্তু জমি জটের কারণে অনেকটা পিছিয়ে যায়। এবার মুখ্যমন্ত্রী খোদ বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন। যত দ্রুত সম্ভব নাইসেডের দ্বিতীয় ইউনিট এই হাসপাতালে খোলার জন্য উদ্যোগ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি নমুনা পরীক্ষার ক্ষেত্রটি আরও বৃদ্ধি করতে স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনের মতো গবেষণাগারও উত্তরবঙ্গে গড়ে তোলা হবে।"
উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষ ইন্দ্রজিৎ সাহা বলেছেন, "নাইসেডের জন্য ইতিমধ্যে হাসপাতাল চত্বরে জমি চিহ্নিত করা হয়েছে। অনুমোদনের জন্য সেটি স্বাস্থ্য দফতরে পাঠানো হয়েছে। সব ঠিক থাকলে আগামী বছরের মধ্যে সেই কাজ শুরু করা হবে। অন্যদিকে, স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনের মত হাসপাতালেই অত্যাধুনিক গবেষণাগার গড়ে তোলা হচ্ছে। তাতে 24 রকমের ভাইরাল রোগের নমুনা পরীক্ষা করা সম্ভব হবে। " এই উদ্য়োগকে্ স্বাগত জানিয়ে শিলিগুড়ির পালমোনোলজিস্ট চিকিৎসক তরুণ বৈদ বলেছেন, "উত্তরবঙ্গবাসীদের জন্য সত্যিই এটি খুব ভালো খবর। সরকারি বা বেসরকারি হাসপাতালগুলিকেও নমুনা পরীক্ষার জন্য দক্ষিণবঙ্গের উপর নির্ভর করতে হয় । এই দুই ইউনিট গড়ে উঠলে চিকিৎসা ব্যবস্থার গতিও অনেকটাই ত্বরান্বিত হবে।"