দার্জিলিং, 2 জানুয়ারি : ফের ভ্রমণপিপাসু মানুষের পায়ে বেড়ি। ওমিক্রন ও করোনার সংক্রমণ ব্যাপক বৃদ্ধি পাওয়ায় রবিবার বিকেলে ফের কড়া বিধিনিষেধের পথে হেঁটেছে রাজ্য। সোমবার থেকেই কার্যকর হচ্ছে বিধিনিষেধের নিয়ম। এতেই ফের একবার সিঁদুরে মেঘ দেখছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। আগামিকাল থেকে পুনরায় তালা রাজ্যের সমস্ত পর্যটনকেন্দ্র, অভয়ারণ্য, চিড়িয়াখানায়। পর্যটন ব্যবসায়ীদের ধারণা, পুনরায় বড়সড় ধাক্কা খাবে পাহাড়ের পর্যটন শিল্প (Tourism industry about to collapse again as WB government announce new Covid guidelines)।
দীর্ঘ দেড় বছর পর শীতের মরশুমে পর্যটকদের আগমনে যেই আশার আলো দেখতে শুরু করেছিল উত্তরবঙ্গের পর্যটন, ঠিক সেই মুহূর্তে নেমে এল করোনার নয়া প্রজাতির থাবা ৷ যার জেরে পুনরায় লাগু বিধিনিষেধ ৷ যা পর্যটন ব্যবসার কোমর ভেঙে দেবে বলে আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা ৷ করোনাবিধি শিথিল থাকায় চলতি মরশুমে দার্জিলিং-সহ পাহাড়ে তুষারপাত উপভোগ করতে ঢল নেমেছিল পর্যটকদের । এখনও পাহাড়, তরাই, ডুয়ার্সে 15 থেকে 20 হাজার পর্যটক রয়েছেন। এমনকী জানুয়ারির শেষ পর্যন্ত সমস্ত হোটেল এবং হোম-স্টেগুলোতে রয়েছে অগ্রিম বুকিং। কিন্তু সোমবার থেকে বিধিনিষেধ লাগু হওয়ায় চরম সংকটে গোটা ব্যবস্থাপনা।
হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্রাভেল ডেভলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বলেন, "দেড় বছর পর সবেমাত্র পর্যটন শিল্প ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছিল। আরও বাড়তি সুবিধা করেছিল তুষারপাত। বহু পর্যটক এখন উত্তরে রয়েছেন। আরও বুকিং আসছে। এই অবস্থায় ফের পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ হওয়ায় আমরা চরম সংকটের মুখোমুখি হব। আমরা রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন করব যাতে একটি সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থার বন্দোবস্ত করা যায়।"
আরও পড়ুন : West Bengal new Covid Guidelines : ফের রাজ্যে কোভিডবিধি, বন্ধ স্কুল-কলেজ, সন্ধের পর চলবে না লোকাল ট্রেনও
অ্যাসোসিয়েশন ফর কনজারভেশন অ্যান্ড ট্যুরিজমের আহ্বায়ক রাজ বসু বলেন, "আমরা খুবই চিন্তিত। নির্দেশিকা জারি হওয়ার পর প্রচুর পর্যটক ইতিমধ্যেই জানতে চাইছেন কী হবে? দীর্ঘ দু'বছর পর পর্যটন অল্প সময়ের জন্য খুলেছিল। কিন্তু ফের এই বিধিনিষেধ আমাদের জন্য বড় ধাক্কা। রাজ্য সরকার যাতে একটু আমাদের কথা চিন্তা করে সেই আবেদন রাখব।"