শিলিগুড়ি, 9 এপ্রিল : শাসকদলের মহিলা কাউন্সিলরের বাড়িতে চড়াও হয়ে মারধর ও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল একই ওয়ার্ডের বহিষ্কৃত তৃণমূল কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে (Attack on TMC Councilor)। পালটা মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলরের স্বামী ও অনুগামীদের বিরুদ্ধে বহিষ্কৃত ওই তৃণমূল কংগ্রেসের নেতার বাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি শিলিগুড়ি পৌরনিগমের 39 নম্বর ওয়ার্ডের হায়দার পাড়া এলাকার।
সূত্রের খবর, গত পৌরনির্বাচনে টিকিট না-পেয়ে নির্দল হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল 39 নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি স্বপন দাসের স্ত্রী মিনা দাস। তারপরেই স্বপন দাস-সহ তার অনুগামীদের বহিষ্কার করে দলীয় নেতৃত্ব। অন্যদিকে, পৌরনির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী পিংকি সাহার কাছে পরাজিত হয় স্বপন দাসের স্ত্রী। অভিযোগ, শুক্রবার রাতে স্বপন দাস তাঁর দলবল নিয়ে আচমকা কাউন্সিলর পিংকি সাহার বাড়িতে চড়াও হয়। এরপর তাদের মারধর ও প্রাণনাশের হুমকি দেয় বলে অভিযোগ।
শনিবার সকালে কাউন্সিলর পিংকি সাহা ভক্তিনগর থানায় গিয়ে স্বপন দাস-সহ তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি বলেন, "ভোটে পরাজিত ও দল থেকে বহিষ্কার হওয়ার জন্যই ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে আমার বাড়িতে হামলা চালিয়েছে স্বপন দাস ও তাঁর অনুগামীরা। আমি চাই, এর সুবিচার পুলিশ করুক।"
আরও পড়ুন : তবে কি মেটেনি অন্তর্দ্বন্দ্ব ? এসএসসি ইস্যুতে তৃণমূলের বিভাজন ফের প্রকাশ্যে
ওই ঘটনার পর পালটা কাউন্সিলরের স্বামী বিবেকানন্দ সাহার বিরুদ্ধে একই অভিযোগ তুলেছেন বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা স্বপন দাস। তিনি বলেন, "আমি বহিষ্কৃত হয়েছি। এরপর নির্বাচনের পরই আমার আর আমার পরিবারের উপর একাধিকবার হামলা চালানো হয়েছে। গতকাল রাতে আমার বাড়িতে মদ্যপ অবস্থায় কাউন্সিলরের স্বামী বিবেকানন্দ সাহা তাঁর দলবল নিয়ে হামলা চালায়। আমার স্ত্রীকে মারধর করে ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। তারপর লোকজন এলে চলে যায়"। তিনি আরও বলেন, "রাত একটা নাগাদ ফের একইভাবে হামলা করে। আমি বহিষ্কৃত হয়েছি, ভোটে হেরেছি। তারপরও আমার উপর এই ধরনের অত্যাচার করা হচ্ছে। আমি নির্দল হিসেবে লড়েছি বলেই আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।"