শিলিগুড়ি, 18 নভেম্বর: আবারও শিলিগুড়িতে (Siliguri) উদ্ধার হল কোটি কোটি টাকার সোনার বিস্কুট (Gold Biscuits Recovered) ! ঘটনায় ভিনরাজ্য়ের তিন বাসিন্দাকে গ্রেফতার (Three Men Arrested) করা হয়েছে ৷ ধৃতদের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সোনাপাচার চক্রের (Gold Smuggling Racket) সম্পর্ক রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে ৷ কেন্দ্রীয় রাজস্ব গোয়েন্দা বিভাগ (Directorate of Revenue Intelligence) বা ডিআরআই (DRI)-এর অভিযানে মিলেছে এই সাফল্য ৷
ডিআরআই সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত তিন যুবক কোমরে আটকানো বেল্টের ভিতর সোনা লুকিয়ে পাচারের চেষ্টা করছিলেন ৷ কিন্তু, গোয়েন্দাদের তৎপরতায় তাঁদের পরিকল্পনা ভেস্তে যায় ৷ অভিযুক্তদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় 5 কিলো 312 গ্রাম সোনা ৷ যার আনুমানিক বাজারদর 2 কোটি 76 লক্ষ 38 হাজার 336 টাকা ৷ ঘটনায় ধৃতরা হলেন অমিত খণ্ডেলওয়াল, হসমুখ মধুরচাঁদ খণ্ডেলওয়াল এবং রাহুল গেহলত ৷ এঁদের মধ্যে অমিত ও হসমুখ গুজরাতের বাসিন্দা ৷ তবে অমিতের মুম্বইয়েও বাড়ি রয়েছে ৷ অন্যদিকে, রাহুল রাজস্থানের বাসিন্দা ৷ ধৃতদের শুক্রবার শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে পেশ করা হয় ৷ বিচারক ধৃতদের জামিনের আবেদন খারিজ করে প্রত্য়েককেই 14 দিনের জন্য বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন ৷ এই ঘটনায় আর কেউ জড়িত রয়েছেন কি না, তা খতিয়ে দেখছে ডিআরআই।
আরও পড়ুন: গাড়ি চালকের তৎপরতায় সোনা উদ্ধার, গ্রেফতার 2
প্রাথমিক তদন্তে ডিআইআর-এর হাতে আসা তথ্য বলছে, ভারত-মায়ানমারের মোরেহ সীমান্ত (Moreh Border) পার করে এই সোনার বিস্কুট ভারতে আনা হয় ৷ সেখানেই থেকে হাতবদল হয়ে এই সোনা ধৃতদের কাছে পৌঁছয় ৷ এরপর অসমের গুয়াহাটি থেকে কলকাতাগামী বাস ধরেন ভিনরাজ্যের এই তিন বাসিন্দা ৷ সেই বাস বৃহস্পতিবার রাতে শিলিগুড়ির তেনজিং নোরগে বাস টার্মিনাসে পৌঁছতেই অভিযান চালায় ডিআরআই ৷ গোপন সূত্রে আসা তথ্যের ভিত্তিতে এই অভিযান চালানো হয় ৷
বাসে সওয়ার তিন যুবকের আচরণ দেখে সন্দেহ হয় গোয়েন্দাদের ৷ এরপর তাঁদের আটক করে তল্লাশি শুরু করতেই সোনার বিস্কুটের হদিশ মেলে ৷ এই বিস্কুট পাচারের জন্য বিশেষ ধরনের বেল্ট কোমরে পরেছিলেন তাঁরা ৷ সবক'টি বেল্ট থেকে মোট 32টি সোনার বিস্কুট উদ্ধার করা হয় ৷ প্রত্যেকটি বিস্কুটের ওজন 166 গ্রাম করে ৷ এরপরই ওই তিন যুবককে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের প্রাথমিক জেরা করে জানা গিয়েছে, এই সোনা কলকাতায় পাচারের উদ্দেশ্যেই ভারতে আনা হয়েছিল ৷