শিলিগুড়ি, 19 ডিসেম্বর: বন্ধুদের মধ্যে প্রেমঘটিত বিবাদের জের ! দুই ভাইকে নিয়ে যুবক কুপিয়ে খুন করল বন্ধুকে । ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শিলিগুড়িতে । ক্ষোভে অভিযুক্তদের বাড়িতে চড়াও হয় স্থানীয়রা । পাশাপাশি ভাঙচুর চালানো হয় একটি নার্সিংহোমে ।
জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম মণীষকুমার গুপ্তা (32)। পেশায় একজন গাড়িচালক ছিলেন তিনি । তাঁকে খুন করার অভিযোগ উঠেছে অঙ্কিত শর্মা, রোহিত শর্মা ও প্রভাত শর্মার বিরুদ্ধে । তাঁরা প্রত্যেকে শিলিগুড়ি পৌরনিগমের 42 নম্বর ওয়ার্ডের ভূপেন্দ্রনগরের বাসিন্দা ।
সূত্রের খবর, মৃত মণীষের সঙ্গে অভিযুক্ত প্রভাতের বেশ কয়েকদিন ধরেই প্রেমঘটিত বিষয় নিয়ে বিবাদ চলছিল । এরপর রবিবার রাতে মণীষকে এলাকারই একটি ফাঁকা জায়গায় ডেকে পাঠায় প্রভাত । এরপর বেশ কিছুক্ষণ ধরে দু'পক্ষের মধ্যে বিবাদ চলে । তারপরেই হাতাহাতি শুরু হয়ে যায় । মারপিটের সময়ই অভিযুক্তদের মধ্যে একজন ধারালো অস্ত্র নিয়ে মণীষের উপর হামলা করেন । এরপর মণীষকে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে পালিয়ে যান ওই তিনজন (Siliguri Youth Murder Case) ।
স্থানীয় ও পরিবারের সদস্যরা মণীষকে উদ্ধার করে সেভক রোডের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করে । সোমবার সকালে নার্সিংহোমেই মৃত্যু হয় মণীষের । এরপরই এলাকাবাসীরা ক্ষোভে প্রথমে অভিযুক্তদের বাড়িতে চড়াও হয় । জ্বালিয়ে দেওয়া হয় একটি বাইক । খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ভক্তিনগর থানার পুলিশ।
পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ঘটনাস্থলে যায় শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার অখিলেশ চতুর্বেদীও । তিনি পৌঁছনোর পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। মৃত্যুর খবর পেয়ে এলাকা থেকে ক্ষিপ্ত জনতা নার্সিংহোমে গিয়েও ভাঙচুর চালায় । পরে সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নামানো হয় র্যাফ । এখনও এলাকায় চাপা উত্তেজনা রয়েছে । সোমবার সকালে অভিযুক্ত তিন ভাইকে গ্রেফতার করে ভক্তিনগর থানার পুলিশ (Three arrested in murder charge of a Youth) ।
আরও পড়ুন: চা বাগান থেকে উদ্ধার নাবালিকার দেহ, খুনের অভিযোগ প্রতিবেশী যুবকের বিরুদ্ধে
মৃতের বাবা জয়প্রকাশ গুপ্তা বলেন, "আমি খুনিদের কড়া শাস্তি চাই । আমার ছেলেকে যারা খুন করেছে তাদের ফাঁসি চাই ।" অভিযুক্ত প্রভাত শর্মা বলেন, "আমাদের উপর আগে আক্রমণ করা হয়েছিল । আমার দাদাকে আগে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মারা হয় ।" শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার অখিলেশ চতুর্বেদী বলেন, "তিনজনকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে । কেন ওই ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে ।"