ETV Bharat / state

গতবারের রেকর্ড ভেঙে আয়ের নজির বেঙ্গল সাফারি পার্কে, নতুন বছরে ঢেলে সাজাতে বরাদ্দ আড়াই কোটি

Bengal Safari Park: ক্রিসমাসে রেকর্ড পর্যটকদের ঢল বেঙ্গল সাফারিতে ৷ দু'দিনেই বিপুল আয় পার্ক কর্তৃপক্ষর ৷ নতুন বছরে ঢেলে সাজাতে বরাদ্দ হল আড়াই কোটি ৷

বেঙ্গল সাফারি পার্ক
Bengal Safari Park
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Dec 27, 2023, 6:43 PM IST

শিলিগুড়ি, 27 ডিসেম্বর: ক্রিসমাস ও তার পরের দিন রেকর্ড পর্যটকদের ঢল নামল বেঙ্গল সাফারি পার্কে। গতবারের রেকর্ড ভেঙে এবার রেকর্ড আয় বেঙ্গল সাফারি পার্কে। যতদিন যাচ্ছে ততোই পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়ছে বেঙ্গল সাফারি পার্কে। তাই নতুন বছরে বেঙ্গল সাফারি পার্ককে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নিল জু অথোরিটি। 12টি প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে প্রায় আড়াই কোটি টাকা। ইংরেজি নতুন বছর থেকে পর্যটকদের জন্য আরও আকর্ষণীয় হতে চলেছে বেঙ্গল সাফারি পার্ক।

বছরের শুরুতেই ত্রিপুরা থেকে আসছে সিংহ। ইতিমধ্যে পার্কে এসে পৌঁছেছে লেপার্ড কৃষ্ণা, স্পেকট্যাকল লেঙ্গুর। এরপর আসার কথা রয়েছে জিরাফ, জেব্রা, জলহস্তির মতো প্রাণীর। এছাড়াও বাচ্চাদের জন্য নতুন করে তৈরি করা হয়েছে অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টসের বিভাগ। রাজ্য জু অথোরিটির সদস্য সচিব সৌরভ চৌধুরী বলেন, "বেঙ্গল সাফারি পার্ককে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। আরও বেশ কয়েকটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। টেন্ডার প্রক্রিয়াও প্রায় শেষের পথে। নতুন প্রাণী আসছে। নতুন বছরের আগে পর্যটকদের জন্য আরও আকর্ষণীয় করা হচ্ছে।"

সাফারি পার্কের ডিরেক্টর কমল সরকার বলেন, "ক্রিসমাসে গতবারের থেকে এবার পর্যটক অনেক বেশি এসেছে। রেকর্ড আয় হয়েছে। ক্রিসমাসে পাঁচ হাজারের বেশি পর্যটক এসেছে। নতুন বছরে আরও বেশি ঢল নামবে বলে আশাবাদী।" জানা গিয়েছে, ক্রিসমাস ও তার পরের দিন প্রায় 11 হাজার পর্যটক এসেছে বেঙ্গল সাফারি পার্কে। ওই দু'দিনেই আয় হয়েছে প্রায় 12 লক্ষ টাকা। বেঙ্গল সাফারি পার্কে আরও 12টি প্রকল্পের জন্য প্রায় আড়াই কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে জু অথোরিটি।

প্রশাসনিক ব্লক ও পার্কিং এলাকার জন্য 24 লক্ষ টাকা, গিবন এনক্লোজার তৈরির জন্য 12 লক্ষ টাকা, তৃণভোজি এনক্লোজার পর্যন্ত সাফারির রাস্তা তৈরির জন্য প্রায় 12 লক্ষ টাকা, সিংহের নাইট শেল্পারে সৌরবিদ্যুৎ চালিত পাওয়ার প্লান্ট তৈরির জন্য 22 লক্ষ টাকা, মাংসাশী প্রাণীর নাইট শেল্টার ও দেওয়াল তৈরির জন্য প্রায় 60 লক্ষ টাকা, গন্ডারের শেড তৈরির জন্য আড়াই লক্ষ টাকা, পর্কুপাইন প্রাণীর এনক্লোজার তৈরির জন্য প্রায় নয় লক্ষ টাকা, কুমিরের এনক্লোজার, গেট, জলের চ্যানেল তৈরির জন্য 30 লক্ষ টাকা, কনস্ট্রিকটর হাউজ নির্মাণের জন্য 28 লক্ষ টাকা, আন্ডারগ্রাউন্ড রিজার্ভারের জন্য প্রায় 10 লক্ষ টাকা, হুলক গিবন এনক্লোজার তৈরির জন্য 30 লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এইসব প্রকল্পের কাজ আগামী এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন:

  1. বড়দিনের ভিড়ে মন ভরল না চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের, একদিনে দর্শকসংখ্যা কমল 10 হাজার
  2. চিড়িয়াখানা-ভিক্টোরিয়ার পাশাপাশি ক্রিসমাসে দিনভর ভিড় টানল ইকোপার্কও, চলল দেদার পিকনিক
  3. রেকর্ড আয়ের পথে বেঙ্গল সাফারি পার্ক, নয়া বিভাগের উদ্বোধন মন্ত্রী বীরবাহার

শিলিগুড়ি, 27 ডিসেম্বর: ক্রিসমাস ও তার পরের দিন রেকর্ড পর্যটকদের ঢল নামল বেঙ্গল সাফারি পার্কে। গতবারের রেকর্ড ভেঙে এবার রেকর্ড আয় বেঙ্গল সাফারি পার্কে। যতদিন যাচ্ছে ততোই পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়ছে বেঙ্গল সাফারি পার্কে। তাই নতুন বছরে বেঙ্গল সাফারি পার্ককে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নিল জু অথোরিটি। 12টি প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে প্রায় আড়াই কোটি টাকা। ইংরেজি নতুন বছর থেকে পর্যটকদের জন্য আরও আকর্ষণীয় হতে চলেছে বেঙ্গল সাফারি পার্ক।

বছরের শুরুতেই ত্রিপুরা থেকে আসছে সিংহ। ইতিমধ্যে পার্কে এসে পৌঁছেছে লেপার্ড কৃষ্ণা, স্পেকট্যাকল লেঙ্গুর। এরপর আসার কথা রয়েছে জিরাফ, জেব্রা, জলহস্তির মতো প্রাণীর। এছাড়াও বাচ্চাদের জন্য নতুন করে তৈরি করা হয়েছে অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টসের বিভাগ। রাজ্য জু অথোরিটির সদস্য সচিব সৌরভ চৌধুরী বলেন, "বেঙ্গল সাফারি পার্ককে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। আরও বেশ কয়েকটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। টেন্ডার প্রক্রিয়াও প্রায় শেষের পথে। নতুন প্রাণী আসছে। নতুন বছরের আগে পর্যটকদের জন্য আরও আকর্ষণীয় করা হচ্ছে।"

সাফারি পার্কের ডিরেক্টর কমল সরকার বলেন, "ক্রিসমাসে গতবারের থেকে এবার পর্যটক অনেক বেশি এসেছে। রেকর্ড আয় হয়েছে। ক্রিসমাসে পাঁচ হাজারের বেশি পর্যটক এসেছে। নতুন বছরে আরও বেশি ঢল নামবে বলে আশাবাদী।" জানা গিয়েছে, ক্রিসমাস ও তার পরের দিন প্রায় 11 হাজার পর্যটক এসেছে বেঙ্গল সাফারি পার্কে। ওই দু'দিনেই আয় হয়েছে প্রায় 12 লক্ষ টাকা। বেঙ্গল সাফারি পার্কে আরও 12টি প্রকল্পের জন্য প্রায় আড়াই কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে জু অথোরিটি।

প্রশাসনিক ব্লক ও পার্কিং এলাকার জন্য 24 লক্ষ টাকা, গিবন এনক্লোজার তৈরির জন্য 12 লক্ষ টাকা, তৃণভোজি এনক্লোজার পর্যন্ত সাফারির রাস্তা তৈরির জন্য প্রায় 12 লক্ষ টাকা, সিংহের নাইট শেল্পারে সৌরবিদ্যুৎ চালিত পাওয়ার প্লান্ট তৈরির জন্য 22 লক্ষ টাকা, মাংসাশী প্রাণীর নাইট শেল্টার ও দেওয়াল তৈরির জন্য প্রায় 60 লক্ষ টাকা, গন্ডারের শেড তৈরির জন্য আড়াই লক্ষ টাকা, পর্কুপাইন প্রাণীর এনক্লোজার তৈরির জন্য প্রায় নয় লক্ষ টাকা, কুমিরের এনক্লোজার, গেট, জলের চ্যানেল তৈরির জন্য 30 লক্ষ টাকা, কনস্ট্রিকটর হাউজ নির্মাণের জন্য 28 লক্ষ টাকা, আন্ডারগ্রাউন্ড রিজার্ভারের জন্য প্রায় 10 লক্ষ টাকা, হুলক গিবন এনক্লোজার তৈরির জন্য 30 লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এইসব প্রকল্পের কাজ আগামী এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন:

  1. বড়দিনের ভিড়ে মন ভরল না চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের, একদিনে দর্শকসংখ্যা কমল 10 হাজার
  2. চিড়িয়াখানা-ভিক্টোরিয়ার পাশাপাশি ক্রিসমাসে দিনভর ভিড় টানল ইকোপার্কও, চলল দেদার পিকনিক
  3. রেকর্ড আয়ের পথে বেঙ্গল সাফারি পার্ক, নয়া বিভাগের উদ্বোধন মন্ত্রী বীরবাহার
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.