দার্জিলিং, 21 এপ্রিল: উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগ থেকে সদ্যজাত চুরির অভিযোগে রাতভর তুমুল বিক্ষোভ দেখাল শিশুর পরিবার । স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ থেকে শুরু করে বিজেপির যুব মোর্চাও সামিল হল বিক্ষোভে। বৃহস্পতিবার দুপুরের ঘটনার রেশ চলল সারারাত । হাসপাতালের প্রশাসনিক ভবনের গেট ভেঙে ঢুকে যান বিক্ষোভকারীরা। রাতে আটকে রাখা হয় হাসপাতাল সুপারকে। ঘটনায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয় হাসপাতাল চত্ত্বরে ৷ পুলিশের সঙ্গেও বচসায় জড়িয়ে পড়েন বিক্ষোভকারীরা।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগ থেকে চুরি যায় নবজাতক। বয়স মাত্র দু'দিন। ঘটনার পরই হাসপাতালের ভূমিকা থেকে শুরু করে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। প্রশ্নের মুখে পড়ে রোগীদের সুরক্ষার বিষয়টি। খবর পেয়ে বিকেলে থেকে হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে বিজেপির যুব সংগঠন । পরে বিক্ষোভে সামিল হন শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা বিজেপি সভাপতি তথা মাটিগাড়া নকশালবাড়ির বিধায়ক আনন্দময় বর্মনও। হাসপাতালের সুপারের কার্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তারা। এমনকী সুপার সঞ্জয় মল্লিক হাসপাতাল থেকে বেরতে গেলে তাঁকে আটকে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের প্রসূতি বিভাগ থেকে নবজাতক চুরির অভিযোগ
এরপর কার্যালয়ের বাইরেই অবস্থান বিক্ষোভে বসে পরেন বিক্ষোভকারীরা। অন্যদিকে, শারিরীক অবস্থার অবনতি হয়েছে নিখোঁজ শিশুর মা রঞ্জিতা প্রধান সিংহের। এরপরই আরও একবার ক্ষোভে ফেটে পড়েন আন্দোলনকারীরা। বিক্ষোভে যোগ দেন নিখোঁজ শিশুর পরিবারের সদস্যরাও। সুপারের কাছে বিক্ষোভ দেখাতে গেলে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রশাসনিক কার্যালয়ের গেট বন্ধ করে দেয়। কিন্তু ক্ষুব্ধ বিক্ষোভকারীরা গেট ভেঙে সুপারের অফিসে ঢুকে যান ৷ সেই সময় পুলিশের সঙ্গে বচসাতেও জড়িয়ে পড়েন বিক্ষোভকারীরা। পরে পরিস্থিতি সামাল দিতে নামানো হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী।
উল্লেখ্য, শুক্রবার ভোর পর্যন্ত শিশুটির খোঁজ মেলেনি। নবজাতকের খোঁজ পেতে গোটা শহরে নাকা তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। শহরে প্রবেশ ও বেরোনোর পথে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। বিজেপি বিধায়ক আনন্দময় বর্মন বলেন, "খুবই লজ্জাজনক ঘটনা। হাসপাতাল থেকে একটা শিশু চুরি হয়ে গেল। আমরা অবাক। হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষীরা কী করছেন? অবিলম্বে ওই নবজাতককে খুঁজে বের করতে হবে। না হলে, আমরা আরও বৃহত্তর আন্দোলন করব।"