দার্জিলিং, 25 মে: ভুটান থেকে অস্ট্রেলিয়ার সোনা পাচার করতে গিয়ে গ্রেফতার ভিন রাজ্যের দুই-সহ তিনজন। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ওই তিন পাচারকারীকে গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় রাজস্ব গোয়েন্দা বিভাগ। বুধবার পাচারকারীদের শিলিগুড়ি সংলগ্ন এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে খবর। তাঁদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে দু'কেজি ওজনের সোনার বাঁট। তার বাজারদর আনুমানিক 1 কোটি 20 লাখ টাকা।
সূত্রের খবর, সোনা পাচারের উদ্দেশ্যে নিত্যনতুন ছক এঁটে চলে পাচারকারীরা। গোয়েন্দাদের চোখে ধুলো দিতে জুতোর সোলে সোনার বাঁট লুকিয়ে পাচারের ছক কষেছিল তারা। কিন্তু সেই পরিকল্পনা ভেস্তে দেয় কেন্দ্রীয় রাজস্ব গোয়েন্দা বিভাগ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে হাতেনাতে ধরা হয় তিন পাচারকারীকে।
জানা গিয়েছে, অস্ট্রেলিয়ার ওই সোনা শিলিগুড়ি হয়ে উত্তরপ্রদেশের গোরখপুরে পাচারের ছক কষেছিল পাচারকারীরা। ধৃতদের নাম সারওয়ান কাসৌধন, অজয় গুপ্তা এবং অলোক কুমার। সারওয়ান ও অলোক উত্তরপ্রদেশ এবং অজয় কলকাতার বাসিন্দা। ধৃতদের মধ্যে সারওয়ান মূল পাণ্ডা বলে জানা গিয়েছে। মঙ্গলবার রাতে ডিআরআই গোপন সূত্রে খবর পায় যে ভুটান থেকে শিলিগুড়ি হয়ে উত্তরপ্রদেশে সোনা পাচার হবে। সেই খবর পেয়েই ডিআরআইয়ের বিশেষ দল শিলিগুড়ি সংলগ্ন ফাটাপুকুরের পানিকৌড়ি টোল প্লাজার কাছে ফাঁদ পাতে।
সেইসময় শিলিগুড়ির দিকে আসা একটি যাত্রীবাহী গাড়ি দেখে সন্দেহ হয় তাঁদের । এরপরই আধিকারিকরা গাড়ি থামিয়ে তিন যুবককে প্রথমে আটক করে। পরে তাদের শিলিগুড়ির কেন্দ্রীয় সংস্থা অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তিন জনের তল্লাশি নেওয়া হলে তাঁদের জুতো থেকে উদ্ধার হয় চারটে সোনার বাঁট। উদ্ধার হওয়া সোনার বাঁটে অস্ট্রেলিয়ার কারখানার চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। সোনার বাঁটের মোট ওজন দু'কেজি। উদ্ধার হওয়া সোনার আনুমানিক বাজারমূল্য 1 কোটি 20 লক্ষ 44 হাজার টাকা। ধৃতরা সোনার কোনও বৈধ নথি দেখাতে না পারায় তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়।
আরও পড়ুন: ডাকাতিতে বাধা দেওয়ায় সোনার দোকানে চলল গুলি, মৃত মালিকের ছেলে
বুধবার ধৃতদের শিলিগুড়ি আদালতে তোলা হলে বিচারক জামিনের আবেদন খারিজ করে 14 দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, 23 মে তিন যুবক এনজেপি থেকে একটি ছোট চারচাকা গাড়ি করে ইন্দো-ভুটান সীমান্তের জয়গাঁতে যায়। সেখানে ভুটানের এক মহিলার থেকে তাঁরা সোনা নিয়ে পাচার করার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে ডিআরআই । এই চক্রে আর কেউ জড়িত রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান কেন্দ্রীয় রাজস্ব গোয়েন্দা বিভাগ আইনজীবী ত্রিদীপ সাহা।