শিলিগুড়ি, 6 ডিসেম্বর: কোনও রাখঢাক নয়, উত্তরবঙ্গকে অবহেলা করে রাজ্য টেবিল টেনিসের প্রশাসনে দক্ষিণবঙ্গ আধিপত্য কায়েম করেছে অভিযোগ তুললেন বিএসটিটিএ-র কোষাধ্যক্ষ সুব্রত রায়। চার বছরের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও কেন নির্বাচন হচ্ছে না এই প্রশ্ন নিয়ে ইটিভি ভারত চ্যাপ্টার ওয়ান এবং চ্যাপ্টার টু-এর দুই সচিবের কাছে গিয়েছিল। চ্যাপ্টার ওয়ানের সচিব শর্মি সেনগুপ্ত যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। চ্যাপ্টার টু-এর সচিব মান্তু ঘোষের বদলে উত্তর দিয়েছেন তাঁর স্বামী এবং রাজ্য টেবিল টেনিস সংস্থার কোষাধ্যক্ষ সুব্রত রায়।
চ্যাপ্টার ওয়ান এবং চ্যাপ্টার টু-এর প্রশাসনিক ক্ষমতা নিয়ে আকচাআকচি এখন আদালত চত্বর ঘুরে এসেছে। চ্যাপ্টার টু-এর সচিব মান্তু ঘোষ আগেই জানিয়েছিলেন যেহেতু আইনি ব্যাপার সবকিছু কোষাধ্যক্ষ সুব্রত রায় দেখছেন তাই নির্বাচন সংক্রান্ত যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর দেবেনও তিনি। মঙ্গলবার শিলিগুড়িতে কেন নির্বাচন নিয়ে জটিলতা তা নিয়ে বিস্ফোরক সুব্রত রায়। তিনি বলেছেন, স্পোর্টস কোড চালু না-করে নির্বাচন করা হলে তাঁরা আইনি পথে হাঁটবেন। তার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছ। যুগ্মসচিব মান্তু ঘোষকে অন্ধকারে রেখে আরেক যুগ্ম সচিব শর্মি সেনগুপ্ত যাবতীয় কর্মকাণ্ড চালাচ্ছেন।
তিনি আরও জানান, এই কাজে তাঁকে সমর্থন করছেন রাজ্য টেবিল টেনিস সংস্থার সভাপতি স্বপন বাবুন বন্দ্যোপাধ্যায়। বিদায়ী সভাপতি মায়াঙ্ক জালান ইস্তফা দেওয়ার পর থেকে প্রেসিডেন্ট হয়েছেন স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়। চেয়ারে বসে সংবিধানকে পাত্তা না-দিয়ে যাবতীয় কাজ করে চলেছেন। আগেও দক্ষিণবঙ্গের আধিপত্য ছিল। মাঝে উত্তরবঙ্গকে গুরুত্ব দেওয়া হলেও এখন তা আর হচ্ছে না। ফের উত্তরবঙ্গ বঞ্চনার শিকার বলে সুব্রত রায় অভিযোগ তুলেছেন।
কোনও মিটিং ডাকার সময় মান্তু ঘোষকে অন্ধকারে রাখা হয়। গত 15 নভেম্বর যে মিটিং ডাকা হয়েছিল সেক্ষেত্রেও স্বাক্ষর ছিল কেবলমাত্র শর্মি সেনগুপ্তর। তাই সেই মিটিং উত্তরবঙ্গের প্রতিনিধিরা ইচ্ছাকৃতভাবে বয়কট করেছিল। উত্তরবঙ্গের প্রতিনিধিত্ব রাজ্য টেবিল টেনিস সংস্থার এক্সিকিউটিভ কমিটিতে মাত্র 30 শতাংশ। তারাও দক্ষিণবঙ্গের দাদাগিরিতে অবহেলিত। 2012 সালের স্পোর্টস কোড অনুযায়ী নির্বাচন করার দাবিতে সুব্রত রায় অটল বলে জানিয়েছেন।
স্পোর্টস কোড চালু হলে বর্তমান পদাধিকারীদের 90 শতাংশের পদ চলে যাবে বলে অভিযোগ তুলেছেন। সেই তালিকায় মান্তু ঘোষ, সুব্রত রায় নিজেও রয়েছেন। সুব্রত রায় বলছেন স্পোর্টস কোড চালু করলে স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়, শর্মি সেনগুপ্তর চেয়ার টলে যাবে। একঝাঁক অভিযোগ তুলে রাজ্য টেবিল টেনিসের আবহাওয়া গরম করে দিলেন সুব্রত রায়।
আরও পড়ুন: