শিলিগুড়ি, 12 মে: শিলিগুড়ি পলিটেকনিক কলেজে এবিভিপির ডাকা ছাত্র ধর্মঘট ঘিরে ধুন্ধুমার কাণ্ড বাঁধল । মারামারিতে জড়ালেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ও এবিভিপির কর্মী সমর্থকরা । এই ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায় । মারামারির ঘটনায় আহত হয়েছেন এবিভিপির দুজন কর্মী । পরিস্থিতি সামাল দিতে নামানো হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী ও উইনার্স টিম । গোটা এলাকায় দিনভর চাপা উত্তেজনা বজায় থাকায় মোতায়েন রাখা হয়েছে পুলিশ পিকেট ।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ি পলিটেকনিক কলেজের কিছু সমস্যা নিয়ে কলেজের অধ্যক্ষকে স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি ছিল টিএমসিপি ও এবিভিপির । দুপক্ষই স্মারকলিপি দিতে গেলে প্রথমে তাঁদের মধ্যে বচসা ও পরে মারামারি হয় । টিএমসিপির কর্মী সমর্থকদের বিরুদ্ধে এবিভিপির কর্মীদের মারধরের অভিযোগ ওঠে । ওই ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার শিলিগুড়ি পলিটেকনিক কলেজে 12 ঘণ্টার ছাত্র ধর্মঘটের ডাক দেয় এবিভিপি ।
এ দিন সকাল থেকেই কলেজের গেট বন্ধ করে, পতাকা লাগিয়ে পিকেটিং শুরু করে এবিভিপি । এরপর পালটা বনধের প্রতিবাদ জানিয়ে কলেজের সামনে স্লোগান তুলে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন টিএমসিপির কর্মী সমর্থকরা । প্রথমে দু'পক্ষই বচসা ও হাতাহাতিতে জড়ায় । কিন্তু সেই সময় মোতায়েন থাকা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে । এরপর শিলিগুড়ি থানার পুলিশ দুপক্ষকেই কলেজ গেট থেকে দূরে সরিয়ে দেয় ।
অভিযোগ, সেই সময় টিএমসিপির কর্মী সমর্থকরা উলটোদিক থেকে এসে এবিভিপির কর্মী সমর্থকদের উপর চড়াও হয় ও মারধর শুরু করে বলে অভিযোগ । আরও অভিযোগ, এবিভিপির দুই কর্মকর্তার মধ্যে একজন নিজেকে বাঁচাতে একটি বাড়িতে ঢুকে গেলে সেই বাড়িতে ঢুকে তাঁকে মারধর করা হয়। অন্যদিকে, আর এক কর্মকর্তা নিজেকে বাঁচাতে একটি দোকানে ঢুকলে, সেই দোকানে ঢুকে তাঁকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ । খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে দুজনকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে পাঠায় ।
এই বিষয়ে এবিভিপির কর্মকর্তা অনিকেত দে বলেন, "শান্তিপূর্ণভাবে ধর্মঘট আর আমাদের বিক্ষোভ চলছিল । টিএমসিপির সদস্য আর বহিরাগতরা আচমকা লাঠি, ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা করে । আর পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে ।" আরেক কর্মকর্তা পূজা রাম বলেন, "টিএমসিপির গুন্ডারা বাড়িতে ঢুকে, দোকানে ঢুকে আমাদের সদস্যদের মারধর করেছে ।"
যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দার্জিলিং জেলা সভাপতি তনয় তালুকদার বলেন, "কোনও মারধর করা হয়নি । ওরা নিজেরাই ভয়ে পালিয়ে গিয়েছে । আর মুখ্যমন্ত্রীর শাসনকালে বনধ শব্দটাই বেমানান ।"
আরও পড়ুন: পাচারের আগে শিলিগুড়ি থেকে উদ্ধার সাড়ে 8 কোটির সোনা, ধৃত 2