দার্জিলিং, 16 অক্টোবর: গোয়েন্দাদের নজর থেকে বাঁচাতে গাছের মগডালে পোঁটলাবন্দি করে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল প্রচুর জাল পাসপোর্ট ও ভারতের নাগরিকত্বের ভুয়ো নথি। জাল পাসপোর্ট চক্রের তদন্তে নেমে সিবিআই মোট ছয় জনকে গ্রেফতার করেছে। যার মধ্যে রয়েছে গ্যাংটকের লঘু পাসপোর্ট ও আধার সেবা কেন্দ্রের সুপারিন্টেন্ডেন্ট ও তাঁর সহায়ক। অন্যদিকে, শিলিগুড়ি সংলগ্ন নকশালবাড়ি ব্লকে টানা 28 ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়।
যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তারা হল বরুণ সিং রাঠোর, উদয়শঙ্কর রায়, দীপু ছেত্রী ও গৌতম সাহা। এই চক্রে বরুণ সিং রাঠোর মূল পাণ্ডা বলে মনে করছেন সিবিআই আধিকারিকরা। আর তার বাড়ির বাগানের গাছ থেকেই পোঁটলাবন্দি অবস্থায় উদ্ধার হয় কয়েকশো জাল পাসপোর্ট ও ভারতের নাগরিকত্বের ভুয়ো আধার-কার্ড, ভোটার-কার্ড-সহ অন্যান্য নথি। পাশাপাশি এই অভিযানে দু'দফায় উদ্ধার হয়েছে মোট প্রায় সাড়ে 5 লক্ষ টাকা। ধৃতদের সোমবার গ্যাংটকের আদালতে তুলে ট্রানজিট রিমান্ডে কলকাতা নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।
যদিও ওই ঘটনায় মুখে কুলুপ এঁটেছেন সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। তবে ধৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করে চাঞ্চল্যকর কিছু তথ্য উঠে এসেছে সিবিআইয়ের হাতে। এই চক্রের সঙ্গে আন্তর্জাতিক মানব পাচার চক্রের যোগাযোগ রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। নেপালের নাগরিকদের মধ্য প্রাচ্যের দেশে পাঠাতেই জাল পাসপোর্ট তৈরি করা হত বলে জানা গিয়েছে। তবে বেশ কয়েকটি দুবাইয়ের পাসপোর্ট উদ্ধার হয়েছে। আর তা নিয়েই ধন্দে রয়েছে সিবিআই।
এই চক্রের সঙ্গে নেপালের একটি বড় চক্র জড়িত রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। গোটা কাজই এজেন্টের মারফৎ করত বরুণ সিং ও উদয়শঙ্কররা ৷ উল্লেখ্য, জাল পাসপোর্ট চক্রের জালের কিনারা করতে 14 অক্টোবর, শনিবার নকশালবাড়িতে সিবিআইয়ের দল চারটি জায়গায় অভিযান চালিয়েছিল ৷ সেদিন আটক করা হয় দু'জনকে ৷ ওইদিনও উদ্ধার হয় জাল পাসপোর্ট, জাল আধার কার্ড ও নগদ টাকা ৷
আরও পড়ুন: জাল পাসপোর্ট চক্রের সন্ধানে নকশালবাড়িতে সিবিআই অভিযান, আটক দুই