শিলিগুড়ি, 5 জানুয়ারি: উদ্বোধনের পর দু'বার পাথর দিয়ে হামলার পর নিরাপত্তা দ্বিগুণ করা হল বন্দে ভারত ট্রেনের (Vande Bharat)। যদিও ইতিমধ্যেই জানা গিয়েছে, দু'টি ঘটনার মধ্যে একটি ঘটেছে মালদার কুমারগঞ্জে । অন্য ঘটনা বিহারের । এমনটাই জানানো হয়েছে রেল কর্তৃপক্ষের তরফে । সেই ঘটনায় ইতিমধ্যে বিহার পুলিশের সঙ্গে মিলে পদক্ষেপ করেছে আরপিএফ (Security of Vande Bharat tightened after stone pelting incident)।
জানা গিয়েছে, 3 জানুয়ারিতে পাথর ছোড়ার ঘটনাটি বিহারের মাগুরজান ও ধূলাবাড়ির মাঝে ঘটেছে । সেই ঘটনায় ইতিমধ্যে পদক্ষেপ করেছে বিহারের পোর্টিয়া থানা । ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে গিয়েছেন আরপিএফের ডিআইজি । ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আটক করা হয়েছে তিন নাবালককে । তাদের জুভেনাইল আদালতে পেশ করা হয়েছে । অন্যদিকে, প্রথম ঘটনাটি মালদার কুমারগঞ্জের হওয়ায় সেই তদন্তভার নিতে চাইছে রেল পুলিশ ।
ফলে কিছুটা হলেও স্বস্তিতে রাজ্য সরকার ও রেল পুলিশ । পাশাপাশি কোনরকম ঝুঁকি না-নিয়ে আরপিএফের সঙ্গে বন্দে ভারতের নিরাপত্তায় থাকবে রেল পুলিশও । আগে রেল পুলিশের তরফে জানানো হয়েছিল, বন্দে ভারতের নিরাপত্তায় আরপিএফের 9 জন কর্মীর পাশাপাশি রেল পুলিশের 3 জন পুলিশ কর্মী মোতায়েন থাকবে । সেই জায়গায় পুলিশ কর্মীর সংখ্যা বাড়িয়ে 7 জন করা হয়েছে । এখন থেকে বন্দে ভারতের নিরাপত্তায় একজন অফিসার-সহ 7 কনস্টেবল মোতায়েন রাখা হবে । নিউ জলপাইগুড়ি রেল স্টেশন থেকে মালদা পর্যন্ত ট্রেনে নিরাপত্তায় থাকবেন রেল পুলিশকর্মীরা ।
বৃহস্পতিবার নিউ জলপাইগুড়ি রেল স্টেশনে বন্দে ভারতের নিরাপত্তা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন রেল পুলিশের পুলিশ সুপার এস সেলভামুরুগান। তাঁর সামনেই ট্রেনের নিরাপত্তা বৃদ্ধি-সহ এই ঘটনায় যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কড়া শাস্তির দাবি জানিয়েছেন যাত্রীদের একাংশও । পুলিশ সুপার (জিআরপি) এস সেলভামুরুগান বলেন, "কুমারগঞ্জের ঘটনা আমরা তদন্ত করে দেখব । ইতিমধ্যে আরপিএফের কাছে মামলা হস্তান্তরের জন্য আবেদন করা হয়েছে । অন্য ঘটনাটি বিহারের । সেটা আমাদের অধীনে নয় । তবে আমরা কোনও ঝুঁকি নিচ্ছি না । আরপিএফের পাশাপাশি জিআরপিও থাকবে নিরাপত্তায় ।"
আরও পড়ুন: আরও দুটি ভালো ট্রেন হারাতে পারে বাংলা, বন্দে ভারতে পাথর ছোড়া প্রসঙ্গে মন্তব্য সুকান্তর
কলকাতা থেকে বন্দে ভারত ট্রেনে আগত যাত্রী সন্দীপন ভট্টাচার্য বলেন, "খুবই নিন্দনীয় ঘটনা । এই ট্রেন আমাদের টাকাতেই তৈরি হয়েছে । এটা সাধারণের সম্পত্তি । এভাবে ঢিল মেরে সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করা মানা যায় না । কড়া শাস্তি হওয়া উচিৎ ।" আরেক যাত্রী কৃষ্ণা ঘোষ বলেন, "বাইরে থেকে ঢিল মারলে আরপিএফের কিছু করার নেই । তবে নিরাপত্তা বাড়ানো উচিৎ । এর থেকেও বড় বিষয় সাধারন মানুষের সচেতন হওয়া উচিত ।"