দার্জিলিং, 31 মে: 2024 সালের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হয়ে চালু সেভক-রংপো রেলপথ । রেলপথের 14টি টানেল তৈরির কাজ শেষ । 14 নম্বর টানেলে এখন চলছে লাইন পাতার কাজ । যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু হয়েছে ওই প্রকল্পের কাজের । প্রায় ছয় হাজার শ্রমিক ওই প্রকল্পের কাজ করছে । মঙ্গল ও বুধবার সেভক রংপো রেলপথ প্রকল্প পরিদর্শন করে ইরকন সংস্থার আধিকারিক ও দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তা ।
ইরকনের প্রকল্প আধিকারিক মহিন্দর সিং বলেন, "45 কিলোমিটার দীর্ঘ ওই রেলপথের 86 শতাংশই সুড়ঙ্গের মধ্যে দিয়ে যাবে । সমগ্র রেলপথে 14টি টানেলের পাশাপাশি ছোট-বড় মিলিয়ে মোট 23টি সেতুও রয়েছে । ফলে পাহাড়ি এলাকায় রেললাইন পাতার উপযুক্ত পরিকাঠামো তৈরি করতে সময় লাগছে । সেই কারণে 2009 সালে ঘোষণা হওয়া ওই প্রকল্প সম্পূর্ণ করতে অনেকটা সময় লেগেছে ।’’
একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, তবে বর্তমানে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ চলছে । তাঁরা আধিকারিকদের কাজ শেষ করার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন । ওই প্রকল্পের পাশাপাশি রংপো থেকে গ্যাংটক পর্যন্ত রেললাইন পাতার জন্য সমীক্ষার কাজও শুরু হয়েছে । ফলে একদিকে যেমন পর্যটকরা আগামিদিনে খুব কম সময়ে ট্রেনে চেপে শিলিগুড়ি থেকে সরাসরি গ্যাংটক পৌঁছে যাবেন, তেমনই চিন সেনার চোখ রাঙানি রুখতে সীমান্তে ভারতীয় সেনার কাছে রসদও সব মরশুমে দ্রুত পৌঁছনো সম্ভব হবে ।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, সেভক রংপো রেলপথ নির্মাণে 12 হাজার 700 কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে । তবে খরচ আরও বাড়তে পারে । ডিসেম্বর মাসের মধ্যে কাজ শেষ করতে দিন-রাত পুরোদমে কাজ চলছে । আপাতত সিঙ্গল ব্রডগেজ লাইন পাতা হচ্ছে । সেই সঙ্গে ইলেকট্রিফিকেশন বা বৈদ্যুতিকরণেও প্রস্তুতি চলছে । সেভক থেকে রংপোর মধ্যে প্রথম থেকেই প্যাসেঞ্জার ট্রেন চলবে । সিকিমের বাসিন্দাদের সুবিধার্থে মালগাড়িও চলবে । তার জন্য গুডস শেড তৈরি করা হচ্ছে ।
আরও পড়ুন: সেবক-রংপো রেলপথ দ্রুত সম্প্রসারিত হোক, প্রত্যাশা পাহাড়বাসীর
রেল সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, প্রকল্প অনুমোদিত হলে রংপো থেকে গ্যাংটক পর্যন্ত আরও 40 কিলোমিটার রেললাইন পাতার কাজও শুরু হয়ে যাবে । ট্রেন চালু হলে সেভক থেকে এক ঘণ্টারও কম সময়ে রংপো পৌঁছে যাওয়া যাবে । যাত্রাপথে থাকছে পাঁচটি স্টেশন । তার মধ্যে তিস্তা বাজার স্টেশন থাকবে সুড়ঙ্গের মধ্যে ।