শিলিগুড়ি, ৪ নভেম্বর: উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হল সাজাপ্রাপ্ত এক আসামির । বৃহস্পতিবার আচমকা ওই বন্দির মৃত্যুতে রীতিমতো অস্বস্তিতে কারাগার কর্তৃপক্ষ । উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ওই আসামীর নাম রবি দাস (43)। সে শিলিগুড়ি পৌরনিগমের 20 নম্বর ওয়ার্ডের দুর্গাদাস কলোনির বাসিন্দা । মৃত ওই বন্দি প্রতিবেশী এক নাবালিকাকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে তিন বছরের সশ্রম কারাদন্ডের সাজা পেয়েছিল ।
শিলিগুড়ির বিশেষ সংশোধনাগার সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় এক বছর আগে ওই নাবালিকাকে শ্লীলতাহানির ঘটনায় ওই ব্যক্তির তিন বছরের সাজা ঘোষণা করেছিল দার্জিলিং জেলা ও দায়রা আদালত । সাজা ঘোষণার পর থেকেই ওই ব্যক্তি জলপাইগুড়ি কেন্দ্রীয় কারাগারেই ছিল। বুধবার আচমকা ওই বন্দির শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। তাকে প্রথমে জলপাইগুড়ি জেলা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল এবং পরে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। শিলিগুড়ি বিশেষ সংশোধনাগারের অধীনে হাসপাতালের বন্দিদের জন্য পৃথক সেলে রেখে তার চিকিৎসা চলছিল । কিন্তু বৃহস্পতিবার মাঝরাতে তার মৃত্যু হয় । শুক্রবার তার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে ৷
আরও পড়ুন: পুলিশি হেফাজতে থাকা বন্দির মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই বন্দির লিভার খারাপ ছিল । যে কারণে তার অন্যান্য অঙ্গ নিষ্ক্রিয় হয়ে গিয়েছিল । মস্তিস্কেও জটিল রোগের সৃষ্টি হয়েছিল । এই প্রসঙ্গেই শিলিগুড়ি বিশেষ সংশোধনাগারের সুপার দীপক কুমার সার্কি বলেন, "জলপাইগুড়ি কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের বন্দির মৃত্যু হয়েছে । ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলেই মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে । দেহটি পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।" উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ডিন সন্দীপ সেনগুপ্ত বলেন, "ওই রোগী জটিল রোগে আক্রান্ত ছিল । লিভার নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। যার থেকে অন্যান্য অঙ্গও সম্পূর্ণ নিষ্ক্রিয় হয়ে গিয়েছিল। নিয়মানুযায়ী দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।"