ETV Bharat / state

মুথুট ফিনান্সের সোনা লুটে জড়িত মাওবাদীরা !  ধৃতদের জেরায় আসছে CID - 14 দিনের পুলিশি হেপাজতে দেওয়া হয়

24 অগাস্ট শিলিগুড়ির মুথুট ফিন্যান্স থেকে দশ কোটি টাকার সোনার গয়না লুট হয় ৷ ঘটনায় অশোক মাঝি, সনাতন কেরি, অশোক চন্দ্র মেহের, দিলেশ্বর মেহের ও ক্ষীরোদ চন্দ্র বল নামে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ । ধৃতদের সঙ্গে মাওবাদী সংগঠন পিপলস লিবারেশন আর্মির যোগ রয়েছে বলে পুলিশের অনুমান ৷

ছবি
author img

By

Published : Sep 23, 2019, 9:04 PM IST

শিলিগুড়ি, 23 সেপ্টেম্বর : 24 অগাস্ট শিলিগুড়ির মুথুট ফিনান্স থেকে 10 কোটি টাকার সোনার গয়না লুট হয় ৷ ঘটনার তদন্তে নেমে উঠে এল নতুন তথ্য ৷ একটি ফোন কলের সূত্র ধরে ওড়িশা যায় স্পেশাল টিমের সদস্যরা । সে রাজ্যের পুলিশের সাহায্য নিয়ে মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকা থেকে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয় । জিজ্ঞাসাবাদের পর পুলিশের হাতে যে তথ্য উঠে এসেছে, সেই মোতাবেক ধৃতদের সঙ্গে মাওবাদী সংগঠন পিপলস লিবারেশন আর্মির যোগ রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে ৷

অশোক মাঝি, সনাতন কেরি, অশোকচন্দ্র মেহের, দিলেশ্বর মেহের ও ক্ষীরোদচন্দ্র বল নামে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ । পুলিশ সূত্রে খবর, অশোকচন্দ্র মেহের ও দিলেশ্বর সম্পর্কে দুই ভাই । ওড়িশার সম্বলপুরে একটি মোবাইলের দোকান চালায় তারা । ওই দোকান থেকেই এক লাখ টাকা দিয়ে বিনা নথিতে সিম কার্ড কেনে অশোক মাঝি । তা 4 লাখ টাকার বিনিমিয়ে সনাতন কেরি ও ক্ষীরোদচন্দ্র বলকে দিয়ে দেয় । পুলিশ জানাচ্ছে, ওই সিমকার্ড শিলিগুড়িতে অ্যাক্টিভ ছিল । ডাকাতির দিন তা শিলিগুড়ির বর্ধমান রোড এলাকায় ছিল । পরে তার অবস্থান ছিল ওড়িশায় ৷ এই পাঁচজন বাগডোগরায় বাড়িভাড়া নিয়েছিল বলেও জানিয়েছে পুলিশ ৷

স্পেশাল টিমের সদস্যরা এখনও সম্পূর্ণভাবে নিশ্চিত নন ৷ তবে প্রাথমিকভাবে কিছু প্রমাণ তাদের কাছে রয়েছে ৷ অনুমান, ধৃতদের সঙ্গে ওড়িশার প্রত্যন্ত এলাকায় কাজ করা পিপলস লিবারেশন আর্মির যোগাযোগ ছিল । রেইকি করে ডাকাতি করা, পরে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে বিপুল পরিমাণ সোনা নিয়ে পালানো, সবেতেই দক্ষতার ছাপ রয়েছে ৷ এর পিছনে বড় কোনও সংগঠনের পাকা মাথা থাকতে পারে বলে মনো করা হচ্ছে । মাওবাদী সংগঠনের বিস্তারে অর্থ জোগাড় করতে ছক কষে এই ডাকাতি কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে ।

image
মাওবাদী সংগঠন পিপলস লিবারেশন আর্মির যোগ রয়েছে বলে পুলিশের অনুমান

ডাকাতির ঘটনার পর একমাস অতিক্রান্ত ৷ এখনও এক ছটাক সোনাও উদ্ধার হয়নি । পুলিশের অনুমান, সম্বলপুরের সনাতন কেরি ও জাজপুরের ক্ষীরোদচন্দ্র বলের সঙ্গে পিপলস লিবারেশন আর্মির যোগাযোগ রয়েছে । তবে এই দুজন পিপলস লিবারেশন আর্মির সেকেন্ডারি ফোর্স হিসেবেই কাজ করেন । মূলত রসদ ও তহবিল জোগানোই এদের কাজ । 12 জনের দল এই ডাকাতিতে জড়িত ছিল ৷ এই তথ্য উঠে এসেছে জিজ্ঞাসাবাদে ৷ ধৃতদের জেরার পাশাপাশি ওড়িশা পুলিশের শীর্ষস্থানীয় কর্তাদের সঙ্গেও তথ্য বিনিময় করা হচ্ছে । পুরো ঘটনায় নজর রাখছে রাজ্যের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (STF)।

এই বিষয়ে পুলিশের এক কর্তা জানান, "এখনই মাওবাদী তত্ত্ব নিশ্চিত নয় । আমরা আরও কিছু বিষয় খতিয়ে দেখছি । তবে সিম জোগানের কাজে এরা জড়িত ছিল। পাশাপাশি দলের পাণ্ডার খোঁজও জারি থাকবে । প্রয়োজনে ফের ওড়িশায় যাবে পুলিশের বিশেষ দল । ধৃতদের জেরা করতে আসছেন CID কর্তারাও ।"

ধৃতদের গতকাল শিলিগুড়ি আদালতে তোলা হলে 14 দিনের পুলিশি হেপাজতের নির্দেশ দেন বিচারক । তবে দলের পাণ্ডা এখনও অধরা ৷ তাহলে কি সত্যিই যোগ রয়েছে মাওবাদী সংগঠনের ? সংগঠনের বিস্তারের জন্যই কি বিপুল পরিমাণ গয়না লুট করা হয়েছে? জিজ্ঞাসাবাদ চলছে ৷

শিলিগুড়ি, 23 সেপ্টেম্বর : 24 অগাস্ট শিলিগুড়ির মুথুট ফিনান্স থেকে 10 কোটি টাকার সোনার গয়না লুট হয় ৷ ঘটনার তদন্তে নেমে উঠে এল নতুন তথ্য ৷ একটি ফোন কলের সূত্র ধরে ওড়িশা যায় স্পেশাল টিমের সদস্যরা । সে রাজ্যের পুলিশের সাহায্য নিয়ে মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকা থেকে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয় । জিজ্ঞাসাবাদের পর পুলিশের হাতে যে তথ্য উঠে এসেছে, সেই মোতাবেক ধৃতদের সঙ্গে মাওবাদী সংগঠন পিপলস লিবারেশন আর্মির যোগ রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে ৷

অশোক মাঝি, সনাতন কেরি, অশোকচন্দ্র মেহের, দিলেশ্বর মেহের ও ক্ষীরোদচন্দ্র বল নামে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ । পুলিশ সূত্রে খবর, অশোকচন্দ্র মেহের ও দিলেশ্বর সম্পর্কে দুই ভাই । ওড়িশার সম্বলপুরে একটি মোবাইলের দোকান চালায় তারা । ওই দোকান থেকেই এক লাখ টাকা দিয়ে বিনা নথিতে সিম কার্ড কেনে অশোক মাঝি । তা 4 লাখ টাকার বিনিমিয়ে সনাতন কেরি ও ক্ষীরোদচন্দ্র বলকে দিয়ে দেয় । পুলিশ জানাচ্ছে, ওই সিমকার্ড শিলিগুড়িতে অ্যাক্টিভ ছিল । ডাকাতির দিন তা শিলিগুড়ির বর্ধমান রোড এলাকায় ছিল । পরে তার অবস্থান ছিল ওড়িশায় ৷ এই পাঁচজন বাগডোগরায় বাড়িভাড়া নিয়েছিল বলেও জানিয়েছে পুলিশ ৷

স্পেশাল টিমের সদস্যরা এখনও সম্পূর্ণভাবে নিশ্চিত নন ৷ তবে প্রাথমিকভাবে কিছু প্রমাণ তাদের কাছে রয়েছে ৷ অনুমান, ধৃতদের সঙ্গে ওড়িশার প্রত্যন্ত এলাকায় কাজ করা পিপলস লিবারেশন আর্মির যোগাযোগ ছিল । রেইকি করে ডাকাতি করা, পরে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে বিপুল পরিমাণ সোনা নিয়ে পালানো, সবেতেই দক্ষতার ছাপ রয়েছে ৷ এর পিছনে বড় কোনও সংগঠনের পাকা মাথা থাকতে পারে বলে মনো করা হচ্ছে । মাওবাদী সংগঠনের বিস্তারে অর্থ জোগাড় করতে ছক কষে এই ডাকাতি কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে ।

image
মাওবাদী সংগঠন পিপলস লিবারেশন আর্মির যোগ রয়েছে বলে পুলিশের অনুমান

ডাকাতির ঘটনার পর একমাস অতিক্রান্ত ৷ এখনও এক ছটাক সোনাও উদ্ধার হয়নি । পুলিশের অনুমান, সম্বলপুরের সনাতন কেরি ও জাজপুরের ক্ষীরোদচন্দ্র বলের সঙ্গে পিপলস লিবারেশন আর্মির যোগাযোগ রয়েছে । তবে এই দুজন পিপলস লিবারেশন আর্মির সেকেন্ডারি ফোর্স হিসেবেই কাজ করেন । মূলত রসদ ও তহবিল জোগানোই এদের কাজ । 12 জনের দল এই ডাকাতিতে জড়িত ছিল ৷ এই তথ্য উঠে এসেছে জিজ্ঞাসাবাদে ৷ ধৃতদের জেরার পাশাপাশি ওড়িশা পুলিশের শীর্ষস্থানীয় কর্তাদের সঙ্গেও তথ্য বিনিময় করা হচ্ছে । পুরো ঘটনায় নজর রাখছে রাজ্যের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (STF)।

এই বিষয়ে পুলিশের এক কর্তা জানান, "এখনই মাওবাদী তত্ত্ব নিশ্চিত নয় । আমরা আরও কিছু বিষয় খতিয়ে দেখছি । তবে সিম জোগানের কাজে এরা জড়িত ছিল। পাশাপাশি দলের পাণ্ডার খোঁজও জারি থাকবে । প্রয়োজনে ফের ওড়িশায় যাবে পুলিশের বিশেষ দল । ধৃতদের জেরা করতে আসছেন CID কর্তারাও ।"

ধৃতদের গতকাল শিলিগুড়ি আদালতে তোলা হলে 14 দিনের পুলিশি হেপাজতের নির্দেশ দেন বিচারক । তবে দলের পাণ্ডা এখনও অধরা ৷ তাহলে কি সত্যিই যোগ রয়েছে মাওবাদী সংগঠনের ? সংগঠনের বিস্তারের জন্যই কি বিপুল পরিমাণ গয়না লুট করা হয়েছে? জিজ্ঞাসাবাদ চলছে ৷

Intro:শিলিগুড়িতে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান মুথুট ফিন্যান্স এ দশ কোটি টাকার সোনার গহনা ডাকাতির ঘটনায় মূল ডাকাত দলের সহযোগী হিসেবে উড়িষ্যা থেকে পাঁচজন গ্রেপ্তার হলেও মূল পান্ডারা এখনো অধরাই। এদিকে ধৃতদের জিঞ্জাসাবাদের পর পুলিশের সন্দেহ এর পেছনে পিপলস লিবারেশন আর্মির ভূমিকা থাকতে পারে। ওই সংগঠনের বিস্তারের উদ্দেশ্যেই লুঠ হয়ে থাকতে পারে এই বিপুল পরিমাণ সোনার গহনা। নিশ্চিত হতে তাই ধৃতদের দফায় দফায় জিঞ্জাসাবাদ করছে পুলিশ ও গোয়েন্দারা। ধৃতদের জেরা করতে আসছেন সিআইডি কর্তারাও।


Body:অগাস্টার 24 তারিখ শিলিগুড়িতে সোনার গহনার বিনিময়ে ঋণ প্রদানকারী সংস্থা মুথুট ফিন্যান্স এ দশ কোটি টাকার সোনা লুঠের তদন্তে নেমে একটি ফোন কলের সূত্র ধরেই উড়িষ্যা যায় স্পেশাল টিমের সদস্যরা। সে রাজ্যের পুলিশের সাহায্য নিয়ে মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকা থেকে 5 জনকে গ্রেপ্তারও করা হয়। ধৃতদের গতকাল শিলিগুড়ি আদালতে হাজির করিয়ে 14 দিনের পুলুসি হেফাজতে নেওয়া হয়।

ধৃতরা হল অশোক মাঝি, সনাতন কেরি, অশোক চন্দ্র মেহের, দিলেশ্বর মেহের ও ক্ষীরোদ চন্দ্র বল। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে অশোক চন্দ্র মেহের ও দিলেশ্বর সম্পর্কে দুই ভাই। উড়িষ্যার সম্বলপুরে একটি মোবাইলের দোকান চালান তারা। ওই দোকান থেকে এক লক্ষ টাকা দিয়ে বিনা নথিতে সিমকার্ড কেনেন অশোক মাঝি। সেই সিমকার্ড 4 লক্ষ টাকার বিনিমিয়ে অশোক মাঝি তা দিয়ে দেন সনাতন কেরি ও ক্ষীরোদ চন্দ্র বলকে। এরপর তা পৌঁছায় ডাকাতির ঘটনায় যুক্ত মুলপাণ্ডাদের হাতে।

পুলিশের দাবি ওই সিমকার্ড শিলিগুড়িতে এক্টিভ ছিল। ডাকাতির দিন তা শিলিগুড়ির বর্ধমান রোড এলাকায় ছিল। পরে তার অবস্থান ফের উড়িষ্যার চলে যায়।

স্পেশাল টিমের সদস্যরা এখনো নিশ্চিত না হলেও প্রাথমিক ভাবে কিছু প্রমাণ তাদের কাছে পৌঁছেছে জার ভিত্তিতে পুলিশের অনুমান মূল পাণ্ডাদের সঙ্গে উড়িষ্যার প্রত্যন্ত এলাকায় কাজ করা পিপলস লিবারেশন আর্মির যোগাযোগ ছিল।
কারা মূল পান্ডা তা এখনো নিশ্চিত করা না গেলেও পুলিশের ধারণা রেইকি করে ডাকাতি করা, এরপর পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে বিপুল পরিমাণ সোনা নিয়ে পালানো সবেতেই দক্ষতার সাথে কাজ সারা হয়েছে। ফলে এর পেছনে বড় কোন সংগঠনের পাকা মাথা থাকতে পারে। মাওবাদীদের সংগঠন বিস্তারে অর্থ জোগাড় করতে ছক কোষেই এই ডাকাতি কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

ঘটনার পর একমাস অতিক্রান্ত হলেও এখনো এক ছটাক সোনাও উদ্ধার হয় নি। উড়িষ্যায় তন্ন তন্ন করে খুঁজেও কার্যত মূল পাণ্ডাদের টিকিটিও ছুতে পারে নি পুলিশ।
পুলিশের অনুমান, সম্বলপুরের সনাতন কেরি ও জাজপুরের ক্ষীরোদ চন্দ্র বলের সঙ্গে পিপলস লিবারেশন আর্মির সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে। তবে এই দুজন পিপলস লিবারেশন আর্মির সেকেন্ডারী ফোর্স হিসেবেই কাজ করেন। মূলত রসদ ও তহবিল জোগানোই এদের কাজ। 12 জনের ডাকাতদল এই ডাকাতিতে যুক্ত বলে জিঞ্জাসাবাদে জেনেছে পুলিশ। তাই সত্যিই মাওবাদীরা এর পিছনে ছিল কিনা এবং আরো কোন পরিকল্পনা আছে কিনা তা জানিতে ধৃতদের জেরা করার পাশাপাশি উড়িষ্যা পুলিশের শীর্ষস্থানীয় কর্তাদের সঙ্গেও তথ্য বিনিময় করা হচ্ছে। পুরো ঘটনায় নজর রাখছে রাজ্যের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স বা এসটিএফ।

পুলিশের এক কর্তা জানান এখনই মাওবাদী তত্ত্ব নিশ্চিত নয়। আমরা আরো কিছু বিষয় খতিয়ে দেখছি। তবে সিম জোগানের কাজে এরা ছিল। তাই আর প্রমাণ মিললে প্রয়োজনে আমরা নতুন নতুন ধারা মামলায় যুক্ত করব। পাশাপাশি মূল পান্ডাদের খোঁজ জারি থাকবে। প্রয়োজনে ফের উড়িষ্যায় যাবে পুলিশের বিশেষ দল।


Conclusion:
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.