ETV Bharat / state

River Erosion: নদী ভাঙন রোধে প্রস্তাবিত 30টি প্রকল্পের অনুমোদন দিল না কেন্দ্র, হতাশ মন্ত্রী - নদী ভাঙন

উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে নদী ভাঙন (River Erosion) রুখতে 30টি প্রকল্পের প্রস্তাব দিয়েছিল রাজ্য সরকার (West Bengal Government) ৷ সেই প্রকল্পগুলি বাস্তবায়নের অনুমোদন দিল না কেন্দ্র (Centre) ৷ ঘটনায় হতাশ রাজ্য়ের সেচ মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক (Partha Bhowmick) ৷

Partha Bhowmick slams Centre for denying to give approval of 30 proposed project to check River Erosion
River Erosion: নদী ভাঙন রোধে প্রস্তাবিত 30টি প্রকল্পের অনুমোদন দিল না কেন্দ্র, হতাশ মন্ত্রী
author img

By

Published : Nov 28, 2022, 5:19 PM IST

শিলিগুড়ি, 28 নভেম্বর: নদী ভাঙন (River Erosion) রোধে রাজ্যের (West Bengal Government) পাঠানো প্রকল্পের প্রস্তাব বাতিল করে দিল কেন্দ্রীয় সরকার (Centre) ৷ তাও একটা বা দু'টো নয়, সব মিলিয়ে মোট 30টি প্রস্তাবিত প্রকল্প বাতিল করা হয়েছে ৷ শিলিগুড়িতে এসে একথা জানালেন রাজ্য়ের সেচ মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক (Partha Bhowmick) ৷ সূত্রের খবর, প্রস্তাবিত ওই 30টি প্রকল্পের খরচ বাবদ 64 কোটি 50 লক্ষ টাকার বাজেট ধরা হয়েছিল ৷ কিন্তু, এখন আর তার কোনও অর্থ রইল না ৷ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সেচ মন্ত্রী ৷

পার্থ জানিয়েছেন, উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলা আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং ও মালদায় নদী ভাঙনের সমস্যা ভয়াবহ আকার নিয়েছে ৷ নদীগর্ভে চলে গিয়েছে অন্তত 17টি গ্রাম ৷ বিপদের মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছে কমপক্ষে আরও 39টি গ্রাম ৷ কিন্তু, ভাঙন মোকাবিলায় কেন্দ্রের তরফে কোনও সহযোগিতা মিলছে না বলে অভিযোগ করেছেন পার্থ ৷ এক্ষেত্রে উত্তরবঙ্গের বিজেপি বিধায়ক ও সাংসদদের ভূমিকারও সমালোচনা করেছেন তিনি ৷ পার্থ বলেন, "ভাঙন প্রতিরোধ করতে চারটি জেলার 30টি প্রকল্পের প্রস্তাব কেন্দ্রের কাছে পাঠানো হয়েছিল অনুমোদনের জন্য ৷ কিন্তু কেন্দ্র তা বাতিল করে দিয়েছে ৷ তারা আমজনতাকে বিপদের মুখে ঠেলে দিতে চাইছে ৷"

আরও পড়ুন: শুধু চিঠি চালাচালি নয়, গঙ্গা থেকে আয়ের টাকা নদী বাঁচাতে খরচ হোক, দাবি স্থানীয়দের

নদী ভাঙনের বিস্তারিত তথ্য দিতে গিয়ে মন্ত্রী বলেন, "উত্তরের বিভিন্ন এলাকায় নদী ভাঙন অব্যাহত ৷ সেগুলি চিহ্নিত করা হয়েছে ৷ তার মধ্যে 148টি এলাকা অত্যন্ত বিপজ্জনক ৷ আরও 30টি এলাকার পরিস্থিতি ভয়াবহ ৷ সেগুলির জন্যই 30টি প্রকল্পের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল ৷ কিন্তু, প্রকল্প রূপায়নের অনুমোদন দেয়নি কেন্দ্র ৷ সবথেকে দুঃখের বিষয় হল, উত্তরবঙ্গে বিজেপির যে জনপ্রতিনিধিরা রয়েছেন, তাঁরাও কোনও উদ্যোগ গ্রহণ করছেন না ৷"

হতাশ সেচ মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক ৷

সেচ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তরের সংশ্লিষ্ট চারটি জেলার (মালদা বাদে) মধ্যে জলপাইগুড়ি জেলায় আটটি, আলিপুরদুয়ারে 11টি প্রকল্প, কোচবিহারে সাতটি এবং দার্জিলিংয়ে চারটি প্রকল্প মিলিয়ে মোট 30টি প্রকল্প রূপায়নের আবেদন জানিয়ে গ্রামীণ পরিকাঠামো উন্নয়ন তহবিল (Rural Infrastructure Development Fund) বা আরআইডিএফ (RIDF)-এর আওতায় কেন্দ্রের অনুমোদন চাওয়া হয়েছিল ৷ কিন্তু, কেন্দ্র সেই আবেদন বাতিল করে দেয় ৷ উত্তরবঙ্গের তিস্তা, তোর্সা, মহানন্দা, করলা, ধরলা, জলঢাকা, করতোয়া, নাগর, কুলিক, ফুলহার, ইনডং, আত্রেয়ী, টাঙন নদীর ভাঙন লাগাতার চলছে ৷ এছাড়াও ধলধলি, সালটিয়া, কালজানি, রায়ডাক, মানসাই, বানিয়াদহ নদীতেও কম-বেশি ভাঙন চলছে ৷ ভাঙন কবলিত অঞ্চলের মধ্যে 148টি জায়গা অত্যন্ত বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে ৷ সব মিলিয়ে এই এলাকার বিস্তার প্রায় 1 লক্ষ বর্গকিলোমিটার ৷ এই বিস্তীর্ণ এলাকার মধ্যে রয়েছে 2 হাজারেরও বেশি মৌজা ৷

শিলিগুড়ি, 28 নভেম্বর: নদী ভাঙন (River Erosion) রোধে রাজ্যের (West Bengal Government) পাঠানো প্রকল্পের প্রস্তাব বাতিল করে দিল কেন্দ্রীয় সরকার (Centre) ৷ তাও একটা বা দু'টো নয়, সব মিলিয়ে মোট 30টি প্রস্তাবিত প্রকল্প বাতিল করা হয়েছে ৷ শিলিগুড়িতে এসে একথা জানালেন রাজ্য়ের সেচ মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক (Partha Bhowmick) ৷ সূত্রের খবর, প্রস্তাবিত ওই 30টি প্রকল্পের খরচ বাবদ 64 কোটি 50 লক্ষ টাকার বাজেট ধরা হয়েছিল ৷ কিন্তু, এখন আর তার কোনও অর্থ রইল না ৷ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সেচ মন্ত্রী ৷

পার্থ জানিয়েছেন, উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলা আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং ও মালদায় নদী ভাঙনের সমস্যা ভয়াবহ আকার নিয়েছে ৷ নদীগর্ভে চলে গিয়েছে অন্তত 17টি গ্রাম ৷ বিপদের মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছে কমপক্ষে আরও 39টি গ্রাম ৷ কিন্তু, ভাঙন মোকাবিলায় কেন্দ্রের তরফে কোনও সহযোগিতা মিলছে না বলে অভিযোগ করেছেন পার্থ ৷ এক্ষেত্রে উত্তরবঙ্গের বিজেপি বিধায়ক ও সাংসদদের ভূমিকারও সমালোচনা করেছেন তিনি ৷ পার্থ বলেন, "ভাঙন প্রতিরোধ করতে চারটি জেলার 30টি প্রকল্পের প্রস্তাব কেন্দ্রের কাছে পাঠানো হয়েছিল অনুমোদনের জন্য ৷ কিন্তু কেন্দ্র তা বাতিল করে দিয়েছে ৷ তারা আমজনতাকে বিপদের মুখে ঠেলে দিতে চাইছে ৷"

আরও পড়ুন: শুধু চিঠি চালাচালি নয়, গঙ্গা থেকে আয়ের টাকা নদী বাঁচাতে খরচ হোক, দাবি স্থানীয়দের

নদী ভাঙনের বিস্তারিত তথ্য দিতে গিয়ে মন্ত্রী বলেন, "উত্তরের বিভিন্ন এলাকায় নদী ভাঙন অব্যাহত ৷ সেগুলি চিহ্নিত করা হয়েছে ৷ তার মধ্যে 148টি এলাকা অত্যন্ত বিপজ্জনক ৷ আরও 30টি এলাকার পরিস্থিতি ভয়াবহ ৷ সেগুলির জন্যই 30টি প্রকল্পের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল ৷ কিন্তু, প্রকল্প রূপায়নের অনুমোদন দেয়নি কেন্দ্র ৷ সবথেকে দুঃখের বিষয় হল, উত্তরবঙ্গে বিজেপির যে জনপ্রতিনিধিরা রয়েছেন, তাঁরাও কোনও উদ্যোগ গ্রহণ করছেন না ৷"

হতাশ সেচ মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক ৷

সেচ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তরের সংশ্লিষ্ট চারটি জেলার (মালদা বাদে) মধ্যে জলপাইগুড়ি জেলায় আটটি, আলিপুরদুয়ারে 11টি প্রকল্প, কোচবিহারে সাতটি এবং দার্জিলিংয়ে চারটি প্রকল্প মিলিয়ে মোট 30টি প্রকল্প রূপায়নের আবেদন জানিয়ে গ্রামীণ পরিকাঠামো উন্নয়ন তহবিল (Rural Infrastructure Development Fund) বা আরআইডিএফ (RIDF)-এর আওতায় কেন্দ্রের অনুমোদন চাওয়া হয়েছিল ৷ কিন্তু, কেন্দ্র সেই আবেদন বাতিল করে দেয় ৷ উত্তরবঙ্গের তিস্তা, তোর্সা, মহানন্দা, করলা, ধরলা, জলঢাকা, করতোয়া, নাগর, কুলিক, ফুলহার, ইনডং, আত্রেয়ী, টাঙন নদীর ভাঙন লাগাতার চলছে ৷ এছাড়াও ধলধলি, সালটিয়া, কালজানি, রায়ডাক, মানসাই, বানিয়াদহ নদীতেও কম-বেশি ভাঙন চলছে ৷ ভাঙন কবলিত অঞ্চলের মধ্যে 148টি জায়গা অত্যন্ত বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে ৷ সব মিলিয়ে এই এলাকার বিস্তার প্রায় 1 লক্ষ বর্গকিলোমিটার ৷ এই বিস্তীর্ণ এলাকার মধ্যে রয়েছে 2 হাজারেরও বেশি মৌজা ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.