ETV Bharat / state

মিথুন পালনে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে দিশা খুঁজছে পাহাড় - দার্জিলিং নেচার গার্ডেনার মিথুন

দার্জিলিং -এ এবার পালন করা হবে মিথুন ৷ পাহাড়ি এলাকার মানুষের আর্থ-সামাজিক বিকাশে সাহায্যই মূল উদ্দেশ্য ৷ দুধ, মাংস সব দিক থেকেই মিথুন উপযোগী ৷ এছাড়া চাষের কাজেও মিথুনকে ব্যবহার করা যাবে

মিথুন
author img

By

Published : Nov 16, 2019, 8:50 PM IST


কালিম্পং, 16 নভেম্বর :কিছুদিন আগে দার্জিলিং চিড়িয়াখানায় আনা হয়েছে ভুটানের জাতীয় পশু টাকিন ৷ পর্যটকদের মনোরঞ্জনই প্রধান কারণ ৷ আর এবার আসছে মিথুন ৷ তবে তার স্থান চিড়িয়াখানা নয় ৷ পাহাড়ের মানুষের আর্থিক বিকাশের জন্য আনা হচ্ছে মিথুনকে ৷ পাহাড়ের মানুষের আর্থ-সমাজিক উন্নয়ন ও খাদ্যের জোগান বাড়াতে মিথুন নামে এই গৃহপালিত পশুপালনে উদ্যোগ নিয়েছে NRC (ন্যাশনাল রিসার্চ সেন্টার)

মিথুন গো-বংশীয় প্রজাতির পশু ৷ নাগাল্যান্ড থেকে আনা হচ্ছে মিথুনকে ৷ প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তরের দার্জিলিং জেলা আধিকারিক এস চট্টোপাধ্যায় ৷ তিনি আরও জানান, শুক্রবার কালিম্পংয়ে এনিয়ে একটি কর্মশালার আয়োজন করা হয় । সেখানে ছিলেন কালিম্পং জেলার চাষি, চিকিৎসক, সমাজকর্মী সহ অন্যরা ৷ খুব তাড়াতাড়ি এই প্রকল্পটির বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানাচ্ছেন তিনি ৷

pic
কালিম্পং এ আয়োজিত কর্মশালা

জাতীয় গবেষণা সংস্থার ডিরেক্টর অভিজিৎ মিত্র জানান , মিথুন শান্ত স্বভাবের প্রাণী । এটিকে নেচার গার্ডেনার বলা হয় । এই পশু সাধারণত কারও ক্ষতি করে না । জন্মের পরেই অন্তত 25 কেজি ওজন হয় । চার বছরে ওজন বেড়ে প্রায় 400 কিলো হয় । একটি পূর্ণবয়স্ক মিথুনের দাম 60 হাজার টাকা । মিথুন দিনে প্রায় তিন লিটার দুধ দেয় । ক্যালোরির হিসেবে দুই লিটার গরুর দুধ মিথুনের এক লিটার দুধের সমান । এছাড়া পাহাড়ি এলাকায় যেখানে ট্রাক্টর চালানো যায় না সেখানে মিথুনকে ব্যবহার করে জমি চাষ করা হয় । অরুণাচল, নাগাল্যান্ড, মিজোরাম, মণিপুর সহ উত্তর-পূর্ব ভারতে অনেক রাজ্যে মিথুনকে চাষের কাজের পাশাপাশি দুগ্ধ উৎপাদন ও মাংসের জন্য পালন করা হয় । উত্তর-পূর্ব ভারতের বাইরে এই প্রথম পশ্চিমবঙ্গের পাহাড়ি এলাকায় মিথুন পালনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে ৷

অভিজিৎ মিত্রের বক্তব্য

সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে 300 মিটার থেকে 3000 মিটার পর্যন্ত উচ্চতায মিথুন পালনের পক্ষে অনুকূল । এজন্য কালিম্পং সহ দার্জিলিংয়ের পাহাড়ি এলাকায় মিথুন পালনে জোর দেওয়া হচ্ছে । তবে সমতলে শিলিগুড়ি ও মালদহেও মিথুন পালন সম্ভব বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা । মিথুন নিয়ে উত্তর-পূর্ব ভারতে অনেক কল্পকথা রয়েছে । সাধারণ মানুষের অনেকে মিথুনকে গোরু, মোষ বা ষাঁড় বলে মনে করেন । কিন্তু প্রাণী বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, মিথুন গোরু, মোষ বা ষাঁড় নয় । এটি গো-প্রজাতির অন্তর্গত আলাদা একটি পশু । পাহাড়ের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে মিথুন সহায়ক হবে বলে মনে করছেন প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তর ।


কালিম্পং, 16 নভেম্বর :কিছুদিন আগে দার্জিলিং চিড়িয়াখানায় আনা হয়েছে ভুটানের জাতীয় পশু টাকিন ৷ পর্যটকদের মনোরঞ্জনই প্রধান কারণ ৷ আর এবার আসছে মিথুন ৷ তবে তার স্থান চিড়িয়াখানা নয় ৷ পাহাড়ের মানুষের আর্থিক বিকাশের জন্য আনা হচ্ছে মিথুনকে ৷ পাহাড়ের মানুষের আর্থ-সমাজিক উন্নয়ন ও খাদ্যের জোগান বাড়াতে মিথুন নামে এই গৃহপালিত পশুপালনে উদ্যোগ নিয়েছে NRC (ন্যাশনাল রিসার্চ সেন্টার)

মিথুন গো-বংশীয় প্রজাতির পশু ৷ নাগাল্যান্ড থেকে আনা হচ্ছে মিথুনকে ৷ প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তরের দার্জিলিং জেলা আধিকারিক এস চট্টোপাধ্যায় ৷ তিনি আরও জানান, শুক্রবার কালিম্পংয়ে এনিয়ে একটি কর্মশালার আয়োজন করা হয় । সেখানে ছিলেন কালিম্পং জেলার চাষি, চিকিৎসক, সমাজকর্মী সহ অন্যরা ৷ খুব তাড়াতাড়ি এই প্রকল্পটির বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানাচ্ছেন তিনি ৷

pic
কালিম্পং এ আয়োজিত কর্মশালা

জাতীয় গবেষণা সংস্থার ডিরেক্টর অভিজিৎ মিত্র জানান , মিথুন শান্ত স্বভাবের প্রাণী । এটিকে নেচার গার্ডেনার বলা হয় । এই পশু সাধারণত কারও ক্ষতি করে না । জন্মের পরেই অন্তত 25 কেজি ওজন হয় । চার বছরে ওজন বেড়ে প্রায় 400 কিলো হয় । একটি পূর্ণবয়স্ক মিথুনের দাম 60 হাজার টাকা । মিথুন দিনে প্রায় তিন লিটার দুধ দেয় । ক্যালোরির হিসেবে দুই লিটার গরুর দুধ মিথুনের এক লিটার দুধের সমান । এছাড়া পাহাড়ি এলাকায় যেখানে ট্রাক্টর চালানো যায় না সেখানে মিথুনকে ব্যবহার করে জমি চাষ করা হয় । অরুণাচল, নাগাল্যান্ড, মিজোরাম, মণিপুর সহ উত্তর-পূর্ব ভারতে অনেক রাজ্যে মিথুনকে চাষের কাজের পাশাপাশি দুগ্ধ উৎপাদন ও মাংসের জন্য পালন করা হয় । উত্তর-পূর্ব ভারতের বাইরে এই প্রথম পশ্চিমবঙ্গের পাহাড়ি এলাকায় মিথুন পালনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে ৷

অভিজিৎ মিত্রের বক্তব্য

সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে 300 মিটার থেকে 3000 মিটার পর্যন্ত উচ্চতায মিথুন পালনের পক্ষে অনুকূল । এজন্য কালিম্পং সহ দার্জিলিংয়ের পাহাড়ি এলাকায় মিথুন পালনে জোর দেওয়া হচ্ছে । তবে সমতলে শিলিগুড়ি ও মালদহেও মিথুন পালন সম্ভব বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা । মিথুন নিয়ে উত্তর-পূর্ব ভারতে অনেক কল্পকথা রয়েছে । সাধারণ মানুষের অনেকে মিথুনকে গোরু, মোষ বা ষাঁড় বলে মনে করেন । কিন্তু প্রাণী বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, মিথুন গোরু, মোষ বা ষাঁড় নয় । এটি গো-প্রজাতির অন্তর্গত আলাদা একটি পশু । পাহাড়ের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে মিথুন সহায়ক হবে বলে মনে করছেন প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তর ।

Intro:আর্থিক বিকাশে উত্তর পূর্ব ছাড়িয়ে কালিম্পং সহ দার্জিলিং পাহাড়ে আসছে ' ' মিথুন'

কালিম্পং, 16 নভেম্বর : ভুটানের জাতীয় পশু টাকিনের পর এবার মিথুন আসছে দার্জিলিং পাহাড়ে । তবে টাকিনের মতো মিথুনের স্থান হবে না চিড়িয়াখানায় । দার্জিলিং চিড়িয়াখানায় পর্যটকদের মনোরঞ্জনে আনা হয়েছে টাকিন । কিন্তু মিথুন আসছে কালিম্পং সহ দার্জিলিং পাহাড়ের মানুষের স্বনির্ভর করে আর্থিক সমাজিক বিকাশে ।Body:
নাগাল্যান্ড থেকে এই গো বংশীয় প্রজাতি মিথুন আনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রাণী সম্পদ বিকাশ দফতরের আধিকারিক ডা: এস চ্যাটার্জি । তিনি বলেন, শুক্রবার কালিম্পংয়ে এনিয়ে একটি কর্মশালার আয়োজন করা হয় । এখানে কালিম্পং জেলার ফার্মার, চিকিৎসক, সমাজকর্মী সহ অন্যান্যরা হাজির ছিলেন । মিথুন নিয়ে জাতীয় গবেষণা সংস্থার ডিরেক্টর ডা : অভিজিৎ মিত্র বলেন, মিথুন শান্ত স্বভাবের প্রণী । এটিকে নেচার গার্ডেনার বলা হয় । নিজের জীবনের ক্ষতির সম্ভাবনা দেখা না দিলে কারও ক্ষতি করে না । নিজে বাঁচো ও অন্যকে বাঁচতে দাও নীতি নিয়ে চলে । জন্মের পরেই অন্তত 25 কেজি ওজন হয় । চার বছরে 400 কিলোর মতো ওজন হয়ে যায় । তখন ওই মিথুনের দাম 60 হাজার টাকা হয়ে যায় । দুধও ভাল দেয় । এক একটি মিথুন তিন লিটার দুধ দেয় । ক্যালোরির দিক থেকে দুই লিটার গরুর দুধ ও এক লিটারের মিথুনের দুধের সমান । এছাড়া পাহাড়ি এলাকায় যেখানে ট্রাক্টর চালানো যায় না সেসব এলাকায় বলদ হিসাবেও মিথুনকে ব্যবহার করা যায় । অরুণাচল, নাগাল্যান্ড, মিজোরাম, মণিপুর সহ উত্তর পূর্ব ভারতে মিথুনের দেখা মিলে । ওইসব এলাকায় বিভিন্ন ধর্মীয়, সংস্কৃতি ও আর্থ সমাজিকের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা মিথুন এখন বিলুপ্তের পথে । তাই আর্থ সমাজিক উন্নয়ন ও ভবিষৎতে মানুষের খাদ্যের জোগান স্বভাবিক রাখতে মিথুন প্রজাতিকে বাঁচাতে আসরে নামে ন্যশনাল রিসার্চ সেন্টার বা এনআরসি । উত্তর পূর্ব ভারতের বাইরে এই প্রথম পশ্চিমবঙ্গের পাহাড়ি এলাকায় মিথুন পালনের পরিকল্পনা নেওয়া হয় । Conclusion:সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে 300 মিটার থেকে 3000 মিটার পর্যন্ত উচ্চতায় মিথুন পালনের পক্ষে অনুকূল । এজন্যই কালিম্পং সহ দার্জিলিংয়ের পাহাড়ি এলাকায় মিথুন পালনে জোর দেওয়া হচ্ছে । তবে সমতলের শিলিগুড়ি ও মালদহেও মিথুন পালন সম্ভব হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা । মিথুন নিয়ে উত্তর পূর্ব ভারতে অনেক কল্প কথা রয়েছে । এটিকে অনেকে গরু, অনেকে মোষ আবার অনেকে ষাঁড় হিসাবে দেখেন । কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মিথুন আসলে মিথুনই। এটি না গরু, না মোষ না ষাঁড় । পরিবেশ প্রেমী মিথুন পালন কালিম্পং জেলা সহ পশ্চিমবঙ্গের পাহাড়ি এলাকার মানুষের অর্থনৈতিক বিকাশে সহায়ক হবে বলে মনে করছেন রাজ্যের প্রাণী সম্পদ বিকাশ দফতরের কর্তারা ।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.