শিলিগুড়ি, 22 ফেব্রুয়ারি: বনধকে সমর্থন নয়, কিন্তু বিনয় তামাং এবং অজয় এডওয়ার্ডদের (Binay Tamang and Ajoy Edwards) প্রতি নৈতিক সমর্থন রয়েছে বিজেপির (Raju Bista Backs Binay-Ajoy)। বুধবার গুয়াহাটি থেকে বাগডোগরা বিমানবন্দরে পৌঁছে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এমনটাই জানালেন দার্জিলিংয়ের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা (BJP pledges moral support)। তাঁর এই মন্তব্যের পরই ফের শৈলরানির রাজনীতিতে বিতর্ক দানা বেঁধেছে । বিনয় তামাং এবং অজয় এডওয়ার্ডদের প্রতিবাদ ও বনধ নিয়ে বিজেপি দ্বিচারিতা করছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ ।
একদিকে পাহাড়ের যে কোনও ইস্যুতে বিনয় তামাং এবং অজয় এ্যাডওয়ার্ডদের মতো দলবদলু নেতাদের কোনও রকম সমর্থন করতে চাইছে না গেরুয়া শিবির নেতৃত্বের একাংশ । সেটা পরিষ্কার করে দিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলিপ ঘোষ । তাঁর মতে, বিনয় তামাং, বিমল গুরুং এবং অজয় এডওয়ার্ডদের মতো দলবদলু নেতাদের হাতে পাহাড়ের রাশ গেলে পাহাড়বাসী খালি প্রতারিতই হবেন । সে ক্ষেত্রে পাহাড়বাসীকে সঠিক নেতৃত্ব বেছে নিতে হবে ।
আরও পড়ুন: চাপের কাছে নতিস্বীকার ! মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারির পরই পাহাড় বনধ স্থগিত রাখলেন অজয়-বিনয়রা
আর অন্যদিকে, বিনয় তামাংদের পক্ষে সওয়াল করে তাঁদের প্রতিবাদের ভাষাকে নৈতিক সমর্থন জানালেন দার্জিলিংয়ের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা । আর এখানেই বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে । তাহলে কি পাহাড় ইস্যুতে দ্বিধাবিভক্ত গেরুয়া শিবির ? এখন এই প্রশ্নই উঠতে শুরু করেছে রাজনৈতিক মহলে । এই বিষয়ে অবশ্য গেরুয়া শিবিরকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি রাজ্যের শাসক দল । শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব বলেন, "বরাবরই পাহাড় নিয়ে এক প্রকার খেলা চালিয়ে যাচ্ছে বিজেপি । উত্তরবঙ্গে আসলে বিজেপি নেতারা এক কথা বলেন, আবার দক্ষিণবঙ্গে চলে গেলে আর এক কথা বলেন । আসলে গোটাটাই একটা লোক দেখানো বিষয় । তবে পাহাড় এখন রাজ্য সরকারের নেতৃত্বে শান্তিপূর্ণভাবে রয়েছে ।"
প্রসঙ্গত, পৃথক রাজ্য গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে দ্বিধাবিভক্ত হতে দেখা গিয়েছিল বিজেপিকে । বিজেপির উত্তরবঙ্গের নির্বাচিত জন প্রতিনিধিরা বারবার করে পৃথক রাজ্যের দাবি তুলেছেন ৷ অন্যদিকে বিজেপির দক্ষিণবঙ্গ বা কেন্দ্রীয় স্তরের নেতারা সেই দাবিকে নস্যাৎ করে দিয়েছেন । এ বার বনধ ইস্যুতেও একই ছবি দেখা গেল বিজেপি শিবিরে ।