দার্জিলিং, 14 সেপ্টেম্বর : টয়ট্রেনের রক্ষণাবেক্ষণে বাফার জ়োন সহ কম্প্রিহেনসিভ কনজ়ারভেশন ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান বা CCMP নিয়ে দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ের সঙ্গে বৈঠক করল UNESCO ৷ ক্রিস্টোফার ইউংয়ের নেতৃত্বে UNESCO-র সংস্কৃতি বিভাগ ও কর্মসূচি বিশেষজ্ঞ জুনি হানসহ একটি প্রতিনিধিদল দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ের আধিকারিকদের সঙ্গে দার্জিলিংয়ের একটি বিলাসবহুল হোটেলে শুক্র ও শনিবার বৈঠক করে ।
আজ বৈঠক শেষে উত্তর সীমান্ত রেলওয়ের জেনেরাল ম্যানেজার সঞ্জীব রায় বলেন, "বৈঠকে UNESCO-র প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠক করেন ৷ টয়ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়া রুখতে কাজ চলছে ৷ লোহা ও কাঠের স্লিপারের বদলে কংক্রিটের স্লিপার দেওয়ার কাজ চলছে ৷ রেললাইনে বেআইনি দখল, গাড়ি পার্কিং করার ক্ষেত্রে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে ৷ রেললাইনে গাড়ি পেলে তা বাজেয়াপ্তও করা হবে ৷" টয়ট্রেনের মতো হেরিটেজের সম্পত্তি তথা আর্কিটেক ভ্যালু রক্ষণাবেক্ষণের জন্যই UNESCO-র সঙ্গে বৈঠকে CCMP-র ভাবনাচিন্তা চলছে ৷
আরও পড়ুন : NRC ইশুতে অসমে বিনয় তামাঙের নেতৃত্বে মোর্চার প্রতিনিধি দল
সঞ্জীব রায় আরও জানান, টয়ট্রেনের রেললাইনের সঙ্গে সমান্তরালে থাকা হিলকার্ট রোডও ওতপ্রোতভাবে যুক্ত ৷ তাই শুধু রেল নয়, রাজ্য সরকার, বনবিভাগ, GTA ও পৌরসভাকেও স্টেকহোল্ডার হিসাবে কাজ করতে হবে । ঐতিহ্য ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বজায় রেখে রেললাইনের বাফার জ়োন নিয়ন্ত্রণ করতে হবে । UNESCO-র তরফে DHR-র ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তকমা প্রত্যাহার করার জল্পনাকে উড়িয়ে সঞ্জীববাবু বলেন, "দার্জিলিংয়ের এই ঐতিহ্যবাহী টয়ট্রেনের জয়রাইড পরিষেবা (ঘুম থেকে দার্জিলিং) খুবই ভালোভাবে চলছে ৷ গত বছরের তুলনায় 50 শতাংশ যাত্রী বেশি হয়েছে ৷ নিউ জলপাইগুড়ি ও দার্জিলিংয়ের মধ্যে চলা টয়ট্রেনেও যাত্রীসংখ্যা বেড়েছে ৷ এছাড়া টয়ট্রেনের লাইন পরিষ্কার রাখার বিষয়টিকে প্রশংসা করেছে UNESCO-র প্রতিনিধিরা ৷ পাহাড়ে আন্দোলন চলাকালীন টয়ট্রেনের ক্ষতিগ্রস্ত সোনাদা ও গয়াবাড়ি স্টেশন সংস্কার করা হয়েছে ৷ শীঘ্রই ওই দুই স্টেশন চালু করা হবে ৷ "