দার্জিলিং, 19 এপ্রিল: এখন আরও সস্তায় পৌঁছে যাওয়া যাবে শৈলরানি দার্জিলিংয়ে। তাও আবার শীততাপ নিয়ন্ত্রিত গাড়িতেই ৷ শিলিগুড়ি পৌঁছে আর পড়তে হবে না বেসরকারি গাড়ি চালকদের হয়রানির খপ্পরে। ছুটে গিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে আর কাটতে হবে না টিকিটও। পর্যটকদের জন্য এমনই এক নতুন পরিষেবা নিয়ে এল উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগম। এনবিএসটিসির তরফে চালু করা হল চার্টার্ড বাস পরিষেবা। তাও আবার একদম অল্প খরচে। আর এই পরিষেবা চালু হতেই খুশি পর্যটকরা।
আগামিকাল অর্থাৎ 20 এপ্রিল থেকে চালু হচ্ছে ওই চার্টার্ড বাস পরিষেবা। এনবিএসটিসির অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকেই অনায়াসে বুক করা যাবে ওই চার্টার্ড বাস। তবে একার জন্য নয়। 18 কিংবা 20 জন সদস্যের জন্য রাখা হয়েছে ওই পরিষেবায়। বন্ধুবান্ধব কিংবা পরিবার নিয়ে গেলে আরামে ওই চার্টার্ড বাসের আমেজ উপভোগ করতে পারবেন পর্যটকরা ৷ আর তার জন্য অনেকটাই হয়রানি কমবে ৷ ওই বাস পরিষেবার জন্য অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের কাজও সেরে ফেলেছে কর্তৃপক্ষ। পর্যটকরা উত্তরে বেড়াতে গিয়ে মাঝেমধ্যেই খপ্পরে পরে যায় বেসরকারি গাড়ি চালকদের। ইচ্ছামতো পর্যটকদের থেকে নেওয়া হয় ভাড়া এমন অভিযোগ কম ওঠেনি। আর ওইসব অভিযোগ পেতেই এবার ওই সরকারি চার্টার্ড বাস পরিষেবা চালু করার উদ্যোগ নেয় এনবিএসটিসি।
এনবিএসটিসির চেয়ারম্যান পার্থপ্রতিম রায় বলেন, "মাঝেমধ্যেই বেসরকারি গাড়ি চালকদের বিরুদ্ধে ইচ্ছেমতো ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। সেজন্য এই পরিষেবা চালু করা হল। দার্জিলিং-সহ আরও বেশ কিছু রুটে ওই পরিষেবা দেওয়া হবে ৷ পর্যটকরা বুক করলে আমাদের বাস গন্তব্যে পৌঁছে দিয়ে চলে আসবে ৷" শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব বলেন, "দারুণ উদ্যোগ। সরকারি শীততাপ নিয়ন্ত্রক চার্টার্ড বাস পর্যটনে আলাদা মাত্রা এনে দেবে।" এনবিএসটিসি সূত্রে জানা গিয়েছে, মাত্র আট হাজার টাকা দিয়ে বুকিং করা যাবে চার্টার্ড বাসের।
আরও পড়ুন: দার্জিলিংয়ে ইতিহাস ! পাহাড়ের প্রথম মহিলা পাইলট সাক্ষ্মী প্রধান
25 সিটের ওই বাসে তাহলে দার্জিলিংয়ের ভাড়া মাথাপিছু 300 টাকার কিছুটা বেশি দাঁড়াচ্ছে। বেসরকারি চারচাকা গাড়িতে গেলে অন্তত 600 টাকা গুনতে হয় পর্যটকদের। নিউ জলপাইগুড়ি রেল স্টেশন, বাগডোগরা বিমানবন্দর ও তেনজিং নোরগে বাসস্ট্যান্ড থেকে রয়েছে পিকআপের ব্যবস্থা। সেখান থেকে দার্জিলিং, কালিম্পং, বিন্দু, কার্শিয়াং, মিরিক, লাটাগুড়ি, ডেলো, মাদারিহাট ও জলদাপাড়ায় চলবে ওই চার্টার্ড বাস। বাসে থাকছে মোবাইল চার্জের ব্যবস্থা, ফ্লোর বেড, পর্দা। গরম ও পুজোর ছুটির মরশুমকে মাথায় রেখেই এই পরিষেবা চালু করা হয়েছে। আপাতত 7টি রুটে চললেও মোট রুট তৈরি করা হয়েছে 60টি। মোট 5টি বাস নিয়মিত চলবে। আরও কিছু বাস প্রস্তুত রাখা হবে।