শিলিগুড়ি, 16 ডিসেম্বর: উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের (North Bengal Medical College) উদ্যোগে ঘরে ফিরলেন মানসিক ভারসাম্যহীন যুবতী। দশ বছর ধরে নিখোঁজ থাকার পর পরিবারের কাছে ফিরলেন বছর সাতাশের মিনা মির্দা ৷ যিনি মেটেলি ব্লকের কিলকোট চা বাগানের বাসিন্দা ৷ নাম , বয়স 27।
জানা গিয়েছে, প্রথম থেকেই কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন ওই যুবতী ৷ মাঝে-মধ্যেই এক-দু'দিনের জন্য নিরুদ্দেশ হয়ে যেতেন। দু-একদিন বাদে আবার বাড়িও ফিরে আসতেন। কিন্তু আজ থেকে প্রায় 10 বছর আগে আচমকা একদিন হারিয়ে যান তিনি (NBMC helps young woman to get back her family after ten years)। পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন জায়গায় খুঁজেও তাঁর হদিশ পাননি। আর্থিক অনটনের অভাবে তাঁকে ফিরে পাওয়ার আশা একপ্রকার ছেড়েই দিয়েছিল তাঁর পরিবার।
অন্যদিকে, মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ যেসব ভবঘুরে হাসপাতালে থাকেন তাঁদের বাড়ি ফেরানোর উদ্যোগ নেয়। এরপরই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ভবঘুরে রোগীদের ছবি সমাজসেবী, পুলিশ প্রশাসনের কাছে পাঠায়। আর এই পথেই স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সহযোগিতায় প্রায় 10 বছর পর ফের ঘরে ফিরলেন মিনা মির্দা। 30 নভেম্বর মানসিক ভারসাম্যহীন মিনা চিকিৎসার জন্য ভরতি হন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। তাঁর মাথায় ক্ষতের চিহ্ন ছিল। হাসপাতালেই চলছিল তাঁর চিকিৎসা। নাম ঠিকানা কিছুই বলতে পারছিলেন না তিনি ৷
আরও পড়ুন: এনবিএসটিসি'র রায়গঞ্জ শাখায় বিনা ব্যবহারে পড়ে 50 লক্ষ টাকা মূল্যের অ্যাম্বুলেন্স
অবশেষে মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ শিলিগুড়ি লিগ্যাল এইড ফোরামের সহযোগিতা চান। ফোরামের সভাপতি অমিত সরকারের উদ্যোগে এবং হাসিমারার সমাজসেবী শুক্লা দেবনাথের সহযোগিতায় 24 ঘণ্টার মধ্যে ওই যুবতীর পরিবারের খোঁজ মেলে। শুক্রবার মিনা মির্দাকে তাঁর পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেওয়া হয় (Mentally Imbalance Young Woman Returned Home) । উপস্থিত ছিলেন মেডিক্যাল কলেজের ডিন সন্দীপ সেনগুপ্ত, অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার গৌতম দাস, অনিমেষ বর্মন, দেব কুমার প্রধান, বঙ্গরত্ন ভারতী ঘোষ ও লিগ্যাল এইড ফোরামের সভাপতি অমিত সরকার-সহ অন্যান্যরা। সন্দীপ সেনগুপ্ত বলেন, "এইভাবে একজনকে বাড়িতে ফিরিয়ে দিতে পেরে আমরা সত্যিই খুব খুশি।"