দার্জিলিং, 7 ফেব্রুয়ারি: পাহাড়বাসীদের স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নয়নে উদ্যোগী হল রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর ও গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়্যাল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (জিটিএ)। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের তরফে এবার মিরিক ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রকে (Mirik Block Primary Health Center)পূর্ণাঙ্গ হাসপাতালে উন্নীত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে । আগামী এক বছরের মধ্যে ওই ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রকে পূর্ণাঙ্গ হাসপাতালে পরিণত করার লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে । আর রাজ্যের ওই উদ্যোগে স্বভাবতই প্রায় এক লক্ষ পাহাড়বাসী সুবিধা পাবে বলে জানা গিয়েছে । একে পাহাড়ি এলাকা, তার উপর এলাকায় পূর্ণাঙ্গ হাসপাতালের অভাব থাকায় পাহাড়বাসীদের চিকিৎসা পরিষেবার জন্য নার্সিংহোম বাদে সরকারি চিকিৎসার জন্য দার্জিলিং জেলা হাসপাতাল অথবা উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল বা শিলিগুড়ির নার্সিংহোমে নির্ভর করতে হত । এই হাসপাতাল হলে পাহাড়বাসীর একটা বড় অংশ চিকিৎসা পরিষেবা পাবে । এর ফলে তাঁদের যাতায়াতের অনেকটাই হয়রানি পাশাপাশি সমস্যা কমবে ।
এই বিষয়ে জিটিএ'র স্বাস্থ্য সভাসদ ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার অরুণ সিগচি বলেন, "আমাদের বহুদিনের দাবি ছিল যাতে পাহাড়ের স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নতি করা যায় । সেই মতো আমরা ক্ষমতায় আসা মাত্র পদক্ষেপ করে রাজ্য সরকারের মাধ্যমে উদ্যোগী হই । রাজ্য সরকার ও জিটি-এর চিফ এগজিকিউটিভ অনিত থাপার সহযোগিতায় এবার মিরিক মহকুমা হাসপাতাল পূর্ণাঙ্গ হাসপাতাল হতে চলেছে ।"
আরও পড়ুন : মিরিক যেন একটুকরো ডাল লেক, পুরোদমে চালু হচ্ছে শিকারা পরিষেবা
জানা গিয়েছে, স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নয়নে জিটিএর একটি বিশেষ প্রতিনিধি দল রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের একটি বৈঠক করে । স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে রাজ্য সরকারের তরফে বরাদ্দ অনুমোদন করা হয়েছে । এক বছরের মধ্যে কাজ করা শেষ হবে । মিরিক মহকুমা হাসপাতালে বর্তমানে 30টি বেড রয়েছে । 8 জন চিকিৎসক ও 25 নার্স রয়েছেন এখানে ৷ গড়ে প্রতিদিন অন্তত 10জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয় । রাজ্যের তরফে ওই হাসপাতালকে 100 বেডের হাসপাতালে উন্নীত করা হবে বলে জানিয়েছে । চিকিৎসক ও চিকিৎসা কর্মী মিলিয়ে অন্তত 70 জন কর্মী অতিরিক্ত নিয়োগ করা হবে । রাজ্যের তরফে হাসপাতাল ভবন নির্মাণের জন্য 16 কোটি 80 লক্ষ 50 হাজার টাকা এবং ভবনের বিদ্যুতিকরণের জন্য তিন কোটি 72 লক্ষ 13 হাজার টাকা বরাদ্দ করা হবে । হাসপাতালটি নির্মাণ হলে মিরিকের পাশাপাশি সুখিয়াপোখরি, পোখরিয়াবঙ, ঢাজিয়া, মানে বস্তি-সহ একাধিক এলাকার মানুষ উপকৃত হবে ।