ETV Bharat / state

"রাতজুড়ে চলত পরিকল্পনা, সকালে ঝাঁপিয়ে পড়তাম পাকিস্তান সেনার উপর"

20 বছর আগে কারগিল যুদ্ধে পাকিস্তানকে হারিয়েছিল ভারত । সেনার পাশাপাশি যুদ্ধে অংশ নিয়েছিল ভারতীয় বায়ুসেনা । শিলিগুড়ির বাসিন্দা সত্যেন্দ্র আগরওয়াল ছিলেন বায়ুসেনার এয়ার কমোডর । অন্যদের মতো তাঁকেও ঝাঁপিয়ে পড়তে হয়েছিল যুদ্ধে ।

সত্যেন্দ্র আগরওয়াল
author img

By

Published : Jul 26, 2019, 8:39 PM IST

Updated : Jul 26, 2019, 9:00 PM IST


শিলিগুড়ি, 26 জুলাই : ঠিক 20 বছর আগে কারগিল যুদ্ধে পাকিস্তানকে হারিয়েছিল ভারত । সেনার পাশাপাশি দুর্গম পাহাড়ি যুদ্ধক্ষেত্রে পাকিস্তানি সেনাকে নাজেহাল করে দিয়েছিল ভারতীয় বায়ুসেনা । মিরাজ, মিগ বিমান নিয়ে দেশ রক্ষায় ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন বায়ুসেনার জওয়ানরা । শিলিগুড়ির বাসিন্দা সত্যেন্দ্র আগরওয়াল ছিলেন বায়ুসেনার এয়ার কমোডর । অন্যদের মতো তাঁকেও ঝাঁপিয়ে পড়তে হয়েছিল যুদ্ধে । তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন আমাদের প্রতিনিধি ।

সত্যেন্দ্র আগরওয়াল জানান, 1999 সালে নিয়ন্ত্রণরেখা বা লাইন অফ কন্ট্রোল পেরিয়ে ভারতে ঢুকে পড়ে পাকিস্তানের সেনা । ফলে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ অনিবার্য হয়ে ওঠে । কারগিলে আক্রমণ অপ্রত্যাশিত ছিল দেশের সেনার কাছে । স্থলসেনা ছাড়াও ডাক পেয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে বায়ুসেনা । তিনি বলেন, "মনে একটাই প্রত্যয় ছিল । আমরাই জিতব । জিতেও ছিলাম । কারগিল যুদ্ধে অংশ নিতে পারে আমি গর্বিত ।"

প্রাক্তন এয়ার কমোডর জানান, প্রথম দিকে ভারতীয় সেনা পালটা লড়াই শুরু করে । প্রত্যাঘাত চলতে থাকে । কিন্তু, দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় শত্রুপক্ষের সংখ্যা ছিল অনেক । তাই আকাশপথে আক্রমণের জন্যই ডাকা হয়েছিল বায়ুসেনাকে । মিগ এবং মিরাজ নিয়ে আকাশপথে শুরু হয় বায়ুসেনার প্রত্যাঘাত ।

কেমন ছিল লড়াইয়ের দিনগুলি? সত্যেন্দ্র বলেন, "সিনেমায় যুদ্ধের যে আবহ দেখানো হয়, তেমন নয় । আমরা শিফটে কাজ করতাম । আকাশে যে বিমান উড়ত তার গতিবিধি নিয়ন্ত্রণের জটিল অংক নিয়ে র্যাডারে থাকতাম আমরা । ওই যুদ্ধে বফর্স যেমন কাজে এসেছিল, তেমনি বায়ুসেনার মিগের তুলনায় মিরাজ নিয়ে আমাদের আক্রমণে কার্যত গুটিয়ে গেছিল শত্রুশিবির ।"

শুনুন সত্যেন্দ্র আগরওয়ালের বক্তব্য

আজ কারগিল যুদ্ধের 20 বছরে সত্যেন্দ্র বলেন, "আমরা যখন লড়াইতে ছিলাম তখন পরিবার নয়, ফোকাস ছিল যুদ্ধ । দেশই ছিল আমাদের পরিবার । দেখতে দেখতে আমাদের ওই যুদ্ধের এতগুলি বছর কেটে গেল । এখনও মানুষ আমাদের জিজ্ঞাসা করেন সফলতম লড়াইয়ের নানা দিক । আমরা গর্বিত । তবে দুঃখ একটাই, লড়াইতে আমাদের কিছু যোদ্ধা শহিদ হন । কিন্তু আমরা পিছু হটিনি । টিম গেমে বিশ্বাসী ছিলাম সকলে । রোজ রাতে পরিকল্পনা হত । আর সকাল হলেই যুদ্ধবিমান নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তাম । আমাদের জীবনের সফলতম যুদ্ধের নানা স্মৃতি আজও অমলিন ।"


শিলিগুড়ি, 26 জুলাই : ঠিক 20 বছর আগে কারগিল যুদ্ধে পাকিস্তানকে হারিয়েছিল ভারত । সেনার পাশাপাশি দুর্গম পাহাড়ি যুদ্ধক্ষেত্রে পাকিস্তানি সেনাকে নাজেহাল করে দিয়েছিল ভারতীয় বায়ুসেনা । মিরাজ, মিগ বিমান নিয়ে দেশ রক্ষায় ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন বায়ুসেনার জওয়ানরা । শিলিগুড়ির বাসিন্দা সত্যেন্দ্র আগরওয়াল ছিলেন বায়ুসেনার এয়ার কমোডর । অন্যদের মতো তাঁকেও ঝাঁপিয়ে পড়তে হয়েছিল যুদ্ধে । তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন আমাদের প্রতিনিধি ।

সত্যেন্দ্র আগরওয়াল জানান, 1999 সালে নিয়ন্ত্রণরেখা বা লাইন অফ কন্ট্রোল পেরিয়ে ভারতে ঢুকে পড়ে পাকিস্তানের সেনা । ফলে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ অনিবার্য হয়ে ওঠে । কারগিলে আক্রমণ অপ্রত্যাশিত ছিল দেশের সেনার কাছে । স্থলসেনা ছাড়াও ডাক পেয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে বায়ুসেনা । তিনি বলেন, "মনে একটাই প্রত্যয় ছিল । আমরাই জিতব । জিতেও ছিলাম । কারগিল যুদ্ধে অংশ নিতে পারে আমি গর্বিত ।"

প্রাক্তন এয়ার কমোডর জানান, প্রথম দিকে ভারতীয় সেনা পালটা লড়াই শুরু করে । প্রত্যাঘাত চলতে থাকে । কিন্তু, দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় শত্রুপক্ষের সংখ্যা ছিল অনেক । তাই আকাশপথে আক্রমণের জন্যই ডাকা হয়েছিল বায়ুসেনাকে । মিগ এবং মিরাজ নিয়ে আকাশপথে শুরু হয় বায়ুসেনার প্রত্যাঘাত ।

কেমন ছিল লড়াইয়ের দিনগুলি? সত্যেন্দ্র বলেন, "সিনেমায় যুদ্ধের যে আবহ দেখানো হয়, তেমন নয় । আমরা শিফটে কাজ করতাম । আকাশে যে বিমান উড়ত তার গতিবিধি নিয়ন্ত্রণের জটিল অংক নিয়ে র্যাডারে থাকতাম আমরা । ওই যুদ্ধে বফর্স যেমন কাজে এসেছিল, তেমনি বায়ুসেনার মিগের তুলনায় মিরাজ নিয়ে আমাদের আক্রমণে কার্যত গুটিয়ে গেছিল শত্রুশিবির ।"

শুনুন সত্যেন্দ্র আগরওয়ালের বক্তব্য

আজ কারগিল যুদ্ধের 20 বছরে সত্যেন্দ্র বলেন, "আমরা যখন লড়াইতে ছিলাম তখন পরিবার নয়, ফোকাস ছিল যুদ্ধ । দেশই ছিল আমাদের পরিবার । দেখতে দেখতে আমাদের ওই যুদ্ধের এতগুলি বছর কেটে গেল । এখনও মানুষ আমাদের জিজ্ঞাসা করেন সফলতম লড়াইয়ের নানা দিক । আমরা গর্বিত । তবে দুঃখ একটাই, লড়াইতে আমাদের কিছু যোদ্ধা শহিদ হন । কিন্তু আমরা পিছু হটিনি । টিম গেমে বিশ্বাসী ছিলাম সকলে । রোজ রাতে পরিকল্পনা হত । আর সকাল হলেই যুদ্ধবিমান নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তাম । আমাদের জীবনের সফলতম যুদ্ধের নানা স্মৃতি আজও অমলিন ।"

Intro:মিরাজ নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম, জিতেছিলাম কার্গিলে


শিলিগুড়ি, 26 জুলাই: কার্গিলে আক্রমণ অপ্রত্যাশিত ছিল আমাদের কাছে। ভারতীয় সেনা ছাড়াও আমরা ডাক পেয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম। মনে একটাই প্রত্যয় ছিল। আমরাই জিতব। জিতেছিল। কার্গিলে যুদ্ধ অংশ নিতে পারে আমি গর্বিত। শিলিগুড়িতে আলাপচারিতায় বললেন অবসরপ্রাপ্ত এয়ার কমোডর সত্যেন্দ্র আগরওয়াল।


Body:প্রথক দিকে ভারতীয় সেনাই পাল্টা লড়াই শুরু করে। প্রত্যাঘ্যত চলতে থাকে। কিন্তু দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় শত্রুপক্ষের সংখ্যা ছিল অনেক। তাই আকাশ পথে আক্রমণের জন্যেই ডাকা হয়েছিল বায়ুসেনাকে। মিগ এবং মিরাজ নিয়ে আকাশ পথে শুরু হয় বায়ুসেনার প্রত্যাঘ্যত।
কেমন ছিল লড়াই এর দিনগুলি? সত্যেন্দ্র জানান, সিনেমায় যুদ্ধের যে আবহ দেখানো হয়, তেমন নয়। আমরা শিফটে কাজ করতাম। আকাশে যে বিমান উড়ত তার গতিবিধি নিয়ন্ত্রণের জটিল অংক নিয়ে রেডারে থাকতাম আমরা। ওই যুদ্ধে বফোর্স যেমন কাজে এসেছিল, তেমনি বায়ুসেনার মিগের তুলনায় মিরাজ নিয়ে আমাদের আক্রমণে কার্যত গুটিয়ে গিয়েছিল শত্রুশিবির।


Conclusion:আজ কার্গিলর যুদ্ধের কুড়ি বছর সামনে রেখে সত্যেন্দ্র বলেন আমরা যখন লড়াইতে ছিলাম তখন, পরিবার নয়, ফোকাস ছিল যুদ্ধই। দেশ ছিল পরিবার। দেখতে দেখতে আমাদের ওই যুদ্ধের কুড়ি বছর কেটে গেল। এখনো মানুষ আমাদের জিঞ্জাসা করেন সফলতম লড়াইয়ের নানা দিক। আমরা গর্বিত। দু:খ একটাই, লড়াইতে আমাদের কিছু যোদ্ধাও শহীদ হয়ে যান। কিন্তু আমরা পিছু হটি নি। টিমগেমে বিশ্বাসী ছিলাম সকলে। রোজ রাতে পরিকল্পনা হতো। আর সকাল হলেই মিসাইল নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তে আমাদের যুদ্ধবিমান। আমাদের জীবনের সফলতম যুদ্ধের নানা স্মৃতি আজও অমলীন।
Last Updated : Jul 26, 2019, 9:00 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.